Last Updated on: 10th নভেম্বর 2024, 11:51 পূর্বাহ্ন
হ্যালো বন্ধুরা আজকের পোস্ট এ ডিজিটাল মার্কেটিং কি ও ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে হলো কোনো পণ্য বা প্রোডাক্ট এর ডিজিটাল বিপণন।
বর্তমান যুগে হলো ডিজিটাল যুগ ।এখন বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে তাদের জিনিস কিনতে ভালোবাসেন।বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার গত দশকে তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের অনলাইনে কেনাকাটার বহর।
তাই এই অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আজকাল সহজেই বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের জিনিসপত্র বা পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে তুলনামূলকভাবে অনেক কম খরচে নিয়ে আসতে পারে।
এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে পড়ছে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন )বিভিন্ন রকমের গুগল এড ,ফেসবুক এড, ইমেইল মার্কেটিং ডেটাবেজ মার্কেটিং ,রি -মার্কেটিং ডিজিটাল ব্যানার ,ডিজিটাল বিলবোর্ড ,মোবাইল মেসেজ এবং আরও অনেক কিছু ।
এছাড়াও বর্তমান যুগে ভিডিও মার্কেটিং তথা ইউটিউব মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে ।
বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স /কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিভিন্ন Programmatic ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হিসেবে উঠে আসছে।
এছাড়াও বিভিন্ন চ্যাটবট, ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বর্তমানে পরিগণিত হচ্ছে।
বিভিন্ন অনলাইন সার্ভে থেকে উঠে আসছে যে দুই হাজার কুড়ি সালের মধ্যে প্রায় 85 শতাংশ বিজনেস এই চ্যাটবট কে কাস্টমার সার্ভিস এর একটি অংশ হিসেবে তুলে ধরবে।
ফরেস্টারের একটি অনলাইন রিসার্চ থেকে জানা যাচ্ছে যে ডিজিটাল মার্কেটিং সমস্ত বিশ্বজুড়ে করা বিজ্ঞাপন খরচের প্রায় 45% অংশ জুড়ে অবস্থান করছে।
তো এর থেকে সহজেই বুঝা যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বর্তমান জগতে কতখানি শুধু এখানেই শেষ নয় মার্কেটিং যেমন একদিকে বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ডের জন্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
বিভিন্ন পেশাদারী কোর্সের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সহজেই একটি আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে উঠে আসছে
বিভিন্ন অনলাইন সার্ভের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে আসছে যে অনলাইনে যতগুলি পোস্টিং করা হয় 40 শতাংশই ডিজিটাল মার্কেটিং নির্ভর হয়ে থাকে।
তো আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চান তো বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার একটি আদর্শ পেশা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
তো আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং আমরা কিভাবে শিখব।
ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত একটি অনেক বড় বিষয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও ,সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, পেইড মার্কেটিং, কন্তেন্ট মার্কেটিং,সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং, মোবাইল মার্কেটিং ,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ,ভাইরাল মার্কেটিং প্রোগ্রামের টিক ডিসপ্লে মার্কেটিং আরো অনেক কিছু ।
তো আসুন এক একই জিনিস যা ভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তো আসুন এক এক করে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্র
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ৬ প্রকার :
- সার্চ ইঞ্জিন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- affiliate মার্কেটিং
- ডিসপ্লে মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
এস ই ও ,সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটের গুগোল রেংকিং বৃদ্ধি করা হয় ।
সহজ কথায় বলতে গেলে কোন অ্যাড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া গুগল সার্চের সাহায্যে সাইটে ভিজিটর আনার পদ্ধতি কি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয় এখন এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর দুটি অংশ রয়েছে ।
একটি হলো অন পেজ অপরটি হল অফ পেজ ।
অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন
অন পেইজে মূলত ওয়েব সাইটের কনটেন্ট, টাইটেল ট্যাগ ,মেটা ট্যাগ ,ইমেজ অল্ট ট্যাগ ,ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড ,মোবাইল ফ্রেন্ডলি ভার্শন ইত্যাদি আলোচিত হয়ে থাকে ।
কি সার্চ কিওয়ার্ড বাছাই অন পেজ অপটিমাইজেশন এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মানুষ যখন গুগলে কোন কিছু খুঁজে নিন তখন কিছু কিওয়ার্ড ইউজ করেন কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে আমরা যদি কলকাতা সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজে চাই তো google-এ আমরা রেস্টুরেন্ট ইন কলকাতা কলকাতার সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্ট কি সার্চ করি কীওয়ার্ড নির্বাচন এসইও এর সর্বপ্রথম কাজ এবং সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন না করতে পারলে কোন এশীয় ক্যাম্পেইন সফল ভাবে কাজ করতে পারে না ।
অফ পেজ এসইও অপটিমাইজেশন
Off-page এসইও অপটিমাইজেশন হল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালো করে অন পেজ করার পর ওয়েবসাইটের রেংকিং গুগল off-page কাজের প্রয়োজন হয় ।
গুগোল মূলত ওয়েবপেইজের রেংকিং এর জন্য দুশোরও বেশি ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে এরমধ্যে ব্যাকলিংক একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
off-page করার মূল উদ্দেশ্যই হলো ভালো ভালো ব্যাকলিংক তৈরি করা এখন এই ব্যাকলিংক কি ব্যাকলিংক হল ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আসা একটি ওয়েব লিংক আপনি এই ব্যাকলিংক এ অনেকটা ভোট এর মত বলতে পারেন।
কোন নির্বাচনে যেমন সেই প্রার্থী জয়ী হয় যে সবথেকে বেশি ভোট বা আসন পায় তেমনি গুগোল সেই ওয়েবসাইট থেকেই ভালো রেংকিং দেয় যার ব্যাকলিংক এর সংখ্যা বেশি।
এখন ব্যাকলিংক বানাবার সময় একটি জিনিস মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ গুগোল সেইসব ব্যাকলিংক কি ভালো বলে যেগুলো আপনার ওয়েবসাইটের জন্য মানানসই হয় এবং ভালো সোর্স থেকে পাওয়া যায় আপনি যদি আপনার ইচ্ছে মত যেখান থেকে খুশি ব্যাকলিংক তৈরি করেন তবে সিটি স্ট্যাম্প ব্যাকলিংক হিসেবে পরিগণিত হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের গুগোল র্যাঙ্কিংয়ের জন্য সেটি ক্ষতিকর হবে।
তাই ব্যাকলিংক বানানোর সময় এই সকল বিষয় মাথায় রাখা উচিত এছাড়াও অফ পেজ এর মধ্যে ডাইরেক্টলি সাবমিশন আর্টিকেল সাবমিশন ইমেজ সাবমিশন ডকুমেন্ট সাবমিশন গেস্ট পোস্টিং এইসব বিষয়ে পরিগণিত হয়।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এসিএম
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং মূলত এক রকমের পেট মার্কেটিং এই পদ্ধতিতে সাধারণভাবে গুগলে বিজ্ঞাপন চালানো হয় যাকে আমরা অনেকে পিপিসি বা পেপারক্লিপ বলে থাকি বিপিসি বা পেপার কিক একটি খুবই মাধ্যম পিপিসি এর সাহায্যে আমরা খুব সহজেই ডাক পরিষেবা কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি এই পিপিসি করবার আগে সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন,বিডিং এইসব বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে আর পড়ি আপনি পিপিসি থেকে ভালো কাস্টমার পাবেন।
আরো পড়ুন : ভারতের ১০ জন সবথেকে জনপ্রিয় ইউটিউবার কারা
গুগল এড ছাড়াও ইউটিউব ফেইসবুক ইনস্টাগ্রাম কুড়া এই সমস্ত প্ল্যাটফর্মেও আপনারা পিপিসি বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন
এছাড়াও রি মার্কেটিং ও সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মধ্যে পড়ে।
রি-মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশেষ অংশ যেখানে বুক পরিচিত ভিজিটরদের গুগলের বিজ্ঞাপন দেখে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সার্ভিসেস এর বিজ্ঞাপন করতে পারেন রি মার্কেটিং এর খরচ তুলনায় অনেক কম হয় এর থেকে পাওয়া খুবই ভালো হয়।
কনটেন্ট সৃষ্টি করা বা কনটেন্ট মার্কেটিং
কনটেন্ট মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার ওয়েবসাইটে e-content রয়েছে সিটি এখানে মূল আলোচ্য বিষয় গুগোল নিয়মিত তাদের সার্চ অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে এবং গুগল এটা চায় যে ওয়েব পাবলিশাররা তাদের ওয়েবসাইটে ভালো মানের অরিজিনাল কনটেন্ট যেন পাবলিশ করেন কারণ কন্তেন্ট ইস কিং।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে দুপ্লিকেট বা নকল লেখা পাবলিশ করেন গুগোল কখনোই আপনার ওয়েবসাইটটিকে ভালো সার্চ রেংকিং দেবেনা ।
আরো পড়ুন:ইউটিউব এসইও কি ?
তাই আপনার ওয়েবসাইটটি যে বিষয়েই হোক আপনার সর্বদা আপনার ওয়েবসাইটে অরজিনাল কনটেন্ট দেওয়া উচিত এছাড়াও পয়েন্ট মার্কেটিং এর জন্য নিয়মিত ওয়েবসাইটে দিয়ে ব্লগ পোস্টিং সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং কনটেন্ট সিন্ডিকেশন।
এইগুলি করা জরুরি এই কনটেন্ট শুধু যে লিখিত আকারে হতে হবে তা কিন্তু নয় ।
ভিডিও পাবলিশিং এর মধ্যে সুন্দর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি, স্লাইড শেয়ার বানানো কিছু বিষয় হয়ে থাকে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের ছবি দিয়ে পাবলিশ করেন তাহলে ইমেজ সার্চ থেকেও ভালো পরিমাণ ভিজিটর পেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রাকচার্ড ডাটা পাবলিশ করে গুগল ভয়েস সার্চের জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজেশন করতে পারেন ।
বর্তমানে গুগল ভয়েস সার্চ ইন্টারনেট মার্কেটিং এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ভয়েস সার্চ এনাবেল ডিভাইস যেমন গুগল হোম আমাজন ইকো এগুলি আপনার ভয়েস কে রেকগনাইজ করে আপনাকে সঠিক রেজাল্ট দিতে পারে।
আরো পড়ুন: সেরা ১০টি ডিজিটাল মার্কেটিং সার্টিফিকেট কোর্স
সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন
সোশ্যাল মিডিয়াবিজ্ঞাপন টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বর্তমানে আমরা আমাদের অনেকটা সময় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে কাটাই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট বলতে ফেসবুক, টুইটার ,ইনস্টাগ্রাম ,ইউটিউব, স্নাপচাট এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আমরা যদি উপযুক্ত সময় এর সঠিক বিজ্ঞাপন দিতে পারি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি ভালো সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে বিভিন্ন রকমের বিকল্প রয়েছে সাহায্যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর জন্য পেইজ লাইক জন্য লিড জেনারেশন ক্যাম্পেইন ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প এই সমস্ত রকমের বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন চালাতে পারি।
সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনে আরেকটি সুবিধা হল মিডিয়া বিজ্ঞাপনের খরচ অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং বিজ্ঞাপন খরচের চেয়ে অনেক কম হয় তোর যদি অনুচিত দিকে থেকে আমরা দেখি আমাদের কম খরচে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপ ফোরাম ইত্যাদি তৈরী করে আমরা আমাদের ব্র্যান্ডের এনগেজমেন্ট বাড়াতে পারি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন অনলাইন টুল যেমন হট সুইট, বাফার ইত্যাদি ব্যবহার হয়।
আরো পড়ুন: ১৫ টি সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং টুল
ডিসপ্লে মার্কেটিং
ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং মূলত মার্কেটিং এ ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরি করার কাজে ব্যবহার হয় গুগোল এডস এর সাহায্যে আমরা ডিসপ্লে ব্যানার ক্যাম্পেইন চালিয়ে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এ ব্যবহার করতে পারি।
এছাড়াও বর্তমানে গুগোল আমাদের বিভিন্ন অনলাইন ক্যাম্পেন অপশন যেমন ইউনিভার্সাল অ্যাপ ক্যাম্পেইন স্মার্ট ডিসপ্লে ক্যাম্পেইন এই সমস্ত দিয়ে সাহায্য করছে।
এই সমস্ত এর সাহায্যে আমরা সহজেই আমাদের টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে কম খরচে পৌঁছে যেতে পারি।
মোবাইল মার্কেটিং এবং হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম ।এই হোয়াটস অ্যাপের সাহায্যে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারি হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন গ্রুপ বা নিয়ে আমরা আমাদের মেসেজগুলো শেয়ার করতে পারি ।
হোয়াটসঅ্যাপে বিজনেস অ্যাপ ডাউনলোড করে তাকে বলা হয় হোয়াটস্যাপ ফর বিজনেস আমরা আমাদের ব্র্যান্ডকে অনেকের কাছে পৌঁছে দিতে পারি সকলের কাছে মেসেজ পাঠাতে পারি বিনা খরচায়।
মোবাইল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, মোবাইল একটি ছোট ডিভাইস ডিসপ্লে ব্যানার বা মেসেজগুলি পাঠানো হবে সেগুলো জন্য আকর্ষণীয় ছোট আকারে হয় বড় মেসেজ গ্রাফিক্স অনেক সময় মোবাইলে সঠিকভাবে করেনা তাই আমাদের এক্ষেত্রে সতর্কভাবে অন্যান্য কি এটি ব্যবহার করতে হয়।
আরো পড়ুন :কলকাতার ৭টি সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং ইনস্টিটিউট
আফিলিয়েট মারকেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি বিষয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে মূলত আমরা অন্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট প্রমোট করে সেখান থেকে কিছু কমিশন উপার্জন করি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্র্যান্ডের কাছে সহায়ক তেমনি ইন্ডিভিজুয়াল ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনালদের কাছে একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা।
তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার ক্রিয়েটিভ কনটেন্টকে সর্বোচ্চ মানের হতে হবে ।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনার বিশ্বাস অর্জন করা হল আসল বিষয় ।
একবার যদি আপনি আপনার অডিয়েন্সের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে অনেক সুবিধা হবে ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে উপার্জন অনেক ক্ষেত্রেই গুগল এডসেন্স কিংবা অন্যান্য সিপিসি নির্ভর মডেল এর থেকে অনেক বেশি হয়।
আরো পড়ুন:এক্সএমএল সাইটম্যাপ (XML Sitemap) কি?
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি স্তম্ভ করা যেতে পারে।
আপনার কাছে সঠিক এবং টার্গেটেড ইমেইল লিস্ট থাকে তো আপনি সহজেই সেই ইমেইল লিস্ট ব্যবহার করে একটি ভালো পরিমাণ ভিজিটর প্রতিমাসে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত হবে আনতে পারবেন ।
এখন প্রশ্ন হলো আপনার ব্যবসা যদি নতুন হন তো আপনি এই ইমেইল লিস্ট কোত্থেকে জোগাড় করবেন এক্ষেত্রে একটি বিষয় বলে নেয়া ভালো যে আপনার ব্যবসা যদি নতুন হয় তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ইমেইল ক্যাপসুল প্রাথমিকভাবে ইমেইল সংগ্রহ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অনলাইন টুল যেমন হ্যালো বার সুমো মি, মনস্টার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা হল আপনি একবার ইমেইল লিস্ট একটি ভালো বানিয়ে ফেললে আপ অডিয়েন্স কি ইচ্ছে মত মার্কেটিংমেসেজ পাঠাতে পারেন এখানে গুগোল এর মতো কোনো অ্যালগরিদম পরিবর্তনের ভয় থাকে না যার ফলে আপনি অডিয়েন্স সঠিক রাখতে পারবেন তা আপনার গুগল থেকে ভিজিটর আসুক বা না আসুক
বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটিং টুল এর মধ্যে অন্যতম হলো মেইলচিম্প, ইমেইল ব্লাস্টার, হাবস্পট ইমেইল মার্কেটিংইত্যাদি।
তো আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন মার্কেটিং এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলি এর সঙ্গে আরেকটি জিনিস উল্লেখযোগ্য যেটি হল ওয়েব ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে সম্পূর্ণ হবে না যদি আপনি কোন ওয়েব অ্যানালিটিকস টুল ব্যবহার না করতে শেখেন।
ওয়েব অ্যানালিটিকস টুলস এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও গুগল এনালাইটিক্স সাহায্যে আপনি আপনার ভিজিটর সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য যেমন আপনার ভিজিটর কোত্থেকে আসছে আপনার ভিজিটর কোন কোন পেইজ ভিজিট করছে কতক্ষণ সময় আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সময় ব্যয় করছে এই সমস্ত বিষয়ই আপনি এই জায়গা থেকে জানতে পারবেন।
তো আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চান তো আপনাকে উপরের সমস্ত বিষয়গুলি আগে থেকে জানতে হবে।
ভিডিও মার্কেটিং
ভিডিও মার্কেটিং বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজ ছোট থেকে বড় ব্র্যান্ড ভিডিও মার্কেটিং তথা YouTube মাকেটিং কে বেশ ধ্যান দিচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৮১% বিসনেস ভিডিও মার্কেটিং ব্যাবহার করছে। প্রায় ৯০% মানুষ ভিডিও দেখে তাদের purchase ডিসিশন ঠিক করছে।কোনো একটা জিনিস সহজে ভিডিওতে যেভাবে বোঝানো যায় সেটি আর অন্যভাবে করা যায় না।
এই ভিডিও মার্কেটিং এর মধ্যে থাকছে YouTube ভিডিও,ফেইসবুক ভিডিও,ওয়েবিনার,ইন্টারভিউ ভিডিও,এনিমেটেড ভিডিও।
আরো পড়ুন:৯টি জনপ্রিয় ব্লগ সাইট
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তো আপনার কাছে অনেক অপশন রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারেন অথবা আপনি নিজে থেকেই বাড়িতে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন ।
আজকাল অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অনেক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় কিছু টিউটরিয়াল হল নীল প্যাটেল এর ব্লগ, ব্যাকলিংক ব্লগ, সার্চ ইঞ্জিন ল্যান্ড সার্চইঞ্জিন রাউন্ড টেবিল এইগুলি ।
এছাড়াও আপনি ইন্টারনেটে অজস্র ইউটিউব ভিডিও পাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
মার্কেটিং এর ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এর মতে 2018 পর্যন্ত শুধু ভারতেই 500 মিলিয়ন ইন্টারনেট ইউজার রয়েছে ।
এটি আপনাকে বলে দেয় যে আপনার কাছে ইন্টারনেট মার্কেটিং এর কি রকম সুযোগ অপেক্ষা করে রয়েছে বর্তমানে ছোট বড় সকল প্রকার ব্যবসায়ী নিজেদের ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরতে চাইছে আর তার জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনালদের।
তো আশা করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং ভবিষ্যতেও খুবই কার্যকরী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরবে এবং আরো অনেকে এটি তাদের নিজেদের পেশা হিসেবে বেছে নেবে।
আশাকরি ডিজিটাল মার্কেটিং কি আপনি ডিজে মার্কেটিং এই সম্পর্কে আপনার এই পোস্টটি পড়ে ভালো ধারণা হয়েছে ।
তাছাড়াও যদি আপনার মনে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে আরো কোন প্রশ্ন থাকে তো আপনি আমাদের যেকোনো সময় জিজ্ঞেস করতে পারেন আর এই বিষয়ে কোন কমেন্ট থাকলে নিচের দেওয়া কমেন্ট বক্সে আপনি কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।
ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটা অনেক ভাল হয়েছে।
অনেক কিছু নিয়ে কথা বলেছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে লেখা পড়তে ভাল লাগে।
ধন্যবাদ। আপনার আরও লেখা পড়তে চাই।
ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য।