গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় :৭টি সহজ নিয়ম মাথায় রাখুন

গুগল এডসেন্স পাওয়ার নিয়ম

Last Updated on: 15th অক্টোবর 2020, 06:30 অপরাহ্ন

হ্যালো বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানব।

গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে দ্রুত approval পেতে হয় ,সহজে কিভাবে আমরা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে পারব এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আজকে আর্টিকেলটিতে আলোচনা করবো।

আপনারা যারা অনলাইনে ইনকাম করতে চান বা অনলাইনে আর্নিং করতে চান গুগল এডসেন্স তাদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১০.৮ মিলিয়ন ওয়েবসাইট এই গুগল এডসেন্স ব্যবহার করছে।

এখন জেনে নেওয়া যাক গুগল এডসেন্স আসলে কি ?

গুগল এডসেন্স আসলে গুগলএর একটি এডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে গুগলএ আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে তাদের এডভার্টাইজারদের অ্যাড দেখিয়ে তাদের থেকে পাওয়া অর্থের কিছু অংশ আপনার সঙ্গে ভাগ করে নেয়

যত অনলাইনে ইনকাম বা উপার্জনের রাস্তা রয়েছে তাদের মধ্যে গুগল এডসেন্স সবচেয়ে জনপ্রিয়।

গুগল এডসেন্স এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

গুগল এডসেন্স সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে ১৮ জুন তারিখে সর্বপ্রথম গুগল এডসেন্স প্রকাশ করেছিল।

রেভিনিউ মডেল ছিল মূলত পে-পার-ক্লিক(Pay Per Click ) অথবা পেপার ইম্প্রেশন(Pay Per Impression ) ভিত্তিক। গুগোল প্রথমে কিছুদিন Pay Per Action মডেল শুরু করেছিল কিন্তু পরবর্তীকালে ডাবল-ক্লিক এসে যাওয়ার পরে গুগোল Pay Per Actionমডেলটি তাদের এডভার্টাইজিং মডেল থেকে বাদ দেয়।

গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে?

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর কোড লাগান তখন গুগোল আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের এড দেখায়। এই এড গুলি কন্টেক্সচুয়াল (Contextual ) হতে পারে কিংবা Banner এড হতে পারে।

গুগল অ্যাডভারটাইজার থেকে যে রেভিনিউ পায় তার ৬৮% শেয়ার publisherদের দেয় এবং বাকি অংশও নিজের কাছে রেখে দেয় কমিশন হিসাবে। মূলত গুগল এডসেন্স কোড জাভাস্কিপ্ট করে উপর নির্ভর করে। জাভাস্ক্রিপ্ট কোড আপনার ওয়েবসাইটে ইনলাইন জেসন (JSON ) এর মাধ্যমে বিভিন্ন এড দেখায়।

গুগল কনটেন্টের উপরে ভিত্তি করে তিন রকমের একটা বিজ্ঞাপন দেখায়।

কনটেক্সচুয়াল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট :

কনটেক্সচুয়াল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর ক্ষেত্রে গুগল মিডিয়া বট একটা ওয়েব cache তৈরি করে তারপর সেখানে কিওয়ার্ডের হিসেবে এড দেখায়।

দ্বিতীয়টি ওয়েবসাইট টার্গেটেডএড :

এগুলো মূলত advertiser’s পছন্দের উপর ভিত্তি করে হয় গুগল দেখায়। এডভার্টাইজাররা গুগোল অ্যাড ওয়ার্ড এর মাধ্যমে কীওয়ার্ড।কিংবা ওয়েবসাইট পছন্দ করে সেই সমস্ত পেজেই এড গুলি দেখায়।

সার্চ এডভার্টাইসমেন্ট :

সার্চ এডভার্টাইসমেন্ট মূলত সেসব এড যেগুলো গুগল ব্যাবহারকারীরা নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড সার্চ করার ঠিক পরে দেখা যায়।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে তৈরি করবেন ?

গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করার জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকার জন্য মূলত আপনার একটি জিমেইল বা গুগোল একাউন্ট থাকতে হবে, একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে কিংবা আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে আর আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।এই তিনটি মূলত মূল বিষয় ছাড়াও নিয়ম রয়েছে।

এছাড়াও ইউটিউব এর ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেল বা ইউটিউবে এডসেন্স দেখাতে গেলে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১ হাজারের বেশি থাকতে হবে এবং আপনার চ্যানেলের watch hour ৪০০০ ঘন্টা থাকতে হবে শেষ ৯০ দিনে। তবেই আপনি ইউটিউবে ক্ষেত্রে এডসেন্স এড দেখাতে পারবেন।

এবার আসা যাক ব্লগ বা সাইট এর জন্য এডসেন্স approval এর নিয়ম সম্পর্কে ।

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স কিভাবে পাবেন ?

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য প্রথমে বর্ণিত নিয়ম ছাড়াও তিনি এছাড়াও আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে।

নিয়ম ১:(গুরুত্বপূর্ণ পেজ About us , Contact us , প্রাইভেসি পলিসি)

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ থাকতে হবে। পেজগুলি হলো About us , Contact us , প্রাইভেসি পলিসি।

নিয়ম ২: আসল অরিজিনাল কনটেন্ট লিখুন

ওয়েব সাইটের কনটেন্ট আসল বা অরিজিনাল হতে হবে। কোন কপি পেস্ট করা কনটেন্ট থাকলে হবে না। ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট না থাকলে আপনার এডসেন্স একাউন্ট APPROVE হবে না।

নিয়ম ৩: TOP LEVEL PREMIUM ডোমেইন ব্যাবহার করতে হবে

আপনি যে ডোমেইনটি ব্যাবহার করছেন সেটি প্রিমিয়াম ডোমেইন হতে হবে ,টপ লেভেল ডোমেইন যাকে বলা হয়। যেমন ডট কম ,ডট ইনফো, ডট নেট ইত্যাদি। কোন ফ্রী ডোমেইন ,ফ্রী ওয়াডপ্রেস, ডোমেইন বাহার না করে ভালো।

যদি আপনি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান অনেক ক্ষেত্রে দেখা ফ্রি ডোমেইন এ কাস্টোমাইজটিও এর ক্ষেত্রেবিভিন্ন অসুবিধা হয়। যদিও অনেকে ফ্রি ডোমেইন এপ্রোভাল পেয়ে থাকেন ,তবে এডসেন্স এর জন্য প্রিমিয়াম ডোমেইন কেনাই ভালো।

প্রিমিয়াম ডোমেইন কেনার জন্য আপনি অনেক ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি পেয়ে যাবেন যেখানে আপনি সস্তায় ভালো প্রিমিয়াম ডোমেইন পেতে পারেন।

ভালো প্রিমিয়াম ডোমেইন কেনার জন্য নেইমচিপ, Godaddy এই সমস্ত হোস্টিং কোম্পানি গুলোর সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেন।

নিয়ম ৪: আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত লোডিং হতে হবে 

ওয়েবসাইট লোডিং টাইম কে গুগল তাদের অ্যালগোরিদমের মধ্যে এনেছে তাই আপনার ওয়েবসাইটটি যদি খুব স্লো হয় তো ভিজিটর সহজে আপনার ওয়েবসাইটে যেতে চাইবে না কিংবা ওয়েবসাইটে গেলেও আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটর খুবই দ্রুত বাউন্স ব্যাক করবে।

তাই এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন সুন্দর হওয়া উচিত এবং আপনার ওয়েবসাইটটি লোডিং স্পীড ফাস্ট হওয়া উচিত।

আপনার ওয়েবসাইটে লোডিং স্পীড বাড়ানোর জন্য আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি cache প্লাগিন ব্যবহার করেন। বিভিন্ন রকম cache প্লাগিন মধ্য WP-rocket, Auto Optimize এই সমস্ত cache প্লাগিন করতে ব্যবহার করতে পারেন।

তাছাড়া অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ওয়েবসাইট ফার্স্ট হওয়ার জন্য আপনাকে একটি ভালো হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে যেন Gzip enabled হয়।

কারণে আপনার সাইটে যদি Gzip enabled না থাকে তখন আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড এমনিতেই কমে যাবে।

আপনি ওয়েবসাইটএ যে ইমেজ ব্যবহার করবেন সেগুলো কমপ্রেস করে নেয়াই ভালো কারণ কম্প্রেস ইমেজ ওয়েবসাইট এর স্পিড বাড়াতে সাহায্য করে।

নিয়ম ৫: ওয়েবসাইট এ কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টি ভালো মানের আর্টিকেল লিখুন

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য এডসেন্স এর জন্য আবেদন (এপ্লাই )করবেন তার আগে যেন আমরা ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টি ভালো মানের আর্টিকেল থাকে। প্রতিটি আর্টিকেল এর wordcount ১০০০ হলে খুব ভালো হয়।

এডসেন্স approval এর আগে গুগল এডসেন্স টিম আপনার ওয়েবসাইটটি কি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। আপনার ওয়েবসাইটেযদি ভালো কনটেন্ট এর পরিমাণ খুবই কম থাকে সে ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স আপনার সাইটটিকে approval দিতে অনেক দেরি করে বা অনেক সময়ে approval দেয় না।

কারণ গুগোল লম্বা ভালো গুণমানের তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পছন্দ করে আপনার আর্টিকেল যত বেশি তথ্যসমৃদ্ধ হবে তত বেশি আপনার কীওয়ার্ডগুলি রাঙ্কিং এ সাহায্য করবে।

নিয়ম ৬ : ওয়েবসাইট এ কপিরাইট ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করবেন না

এডসেন্স এ আবেদনের জন্য আপনাকে অব্যশই ভালো মানের ফ্রি ইমেজ বা স্টক ইমেজ অথবা আপনার নিজস্ব কপিরাইট ইমেজ ব্যবহার করতে হবে।

অন্যের কপিরাইট ইমেজ ব্যাবহার করা যাবে না। আপনি যদি অন্য কারোর কপিরাইট ইমেজ ব্যবহার করেন বা অন্য কারোর ওয়েবসাইট থেকে বিনা অনুমতিতে ছবি ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে গুগল আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল দেবে না এবং আপনি কপিরাইট ইমেজ ব্যাবহারের জন্য আইনী নোটিশ ও পেতে পারেন।

তাই ভালো হয় যদি আপনি স্টক ইমেজ ব্যাবহার করেন। স্টক ইমেজ এর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন Pixabay ,পেক্সেলস রয়েছে যে যেখান থেকে আমি সহজেই বিভিন্ন ভালো মানের ইমেজ পেয়ে যাবেন আপনার ব্লগের জন্য।

এছাড়াও আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েব সাইট আরো একটু কাস্টমাইজ করতে চান ক্ষেত্রে তো আপনি Canva ব্যবহার করতে পারবেন।

এটির মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ইমেজটিকে কাস্টমাইজ করে আপনার ব্লগ ব্যবহার করতে পারবেন এতে সুবিধা হবে এবং আপনার ইমেজটি ইমেজ সার্চ থেকেও ট্রাফিক থেকে পাবে।

নিয়ম ৭: অন্য কোনো এডনেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন না

আপনি যখন গুগল এডসেন্স এপ্লাই করবেন তখন গুগোল অ্যাডসেন্সে ছাড়া অন্য কোন এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত নয়।

যদিও গুগোল এর অফিশিয়াল ডকুমেন্ট এর মধ্যে এমন কোনো উল্লেখ নেই তবুও আপনার এডসেন্স approval জন্য এবং নিরাপদ থাকার জন্য সবসময়ই গুগল এ্যাডসেন্স এপ্লাই করার সময় আপনার ওয়েবসাইটে অন্য কোন এডনেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত নয়।

বিশেষ টিপস :DMC Approval নিয়ে রাখুন

এডসেন্স ইউনিক কন্টেন্টপছন্দ করে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ডিএমসি (DMC Approval )নিয়ে নেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স পাওয়া খুবই সহজ কাজ হবে। কারণ ডিএমসি পাওয়ার পর গুগোল মনে করবে আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট ইউনিট এবং আপনি যেমন অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার আর্টিকেল কপি করেননি।

এর সাথে আপনার ওয়েবসাইট থেকেও অন্য কেউ আপনার কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারবে না। এর পরেও কেউ আপনার কনটেন্ট আপনার বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করলে তাহলে আপনি সরাসরি তাকে DMC কপিরাইট নোটিশ পাঠাতে পারবেন।

এখনো অনেকের প্রশ্ন হয় গুগল এডসেন্স কি বাংলা ওয়েবসাইট বা বাংলা কনটেন্ট সাপোর্ট করে ?

তো এই প্রশ্নের উত্তরে বলি হ্যাঁ গুগল এডসেন্স এখন বাংলা সহ আরো অনেক আঞ্চলিক ভাষাকে সমর্থন করছে এবং তাদের উৎসাহ দিচ্ছে যে মানুষজন বা ব্লগাররা যেন আঞ্চলিক ভাষায় লিখে আঞ্চলিক ভাষায় কনটেন্ট লেখে।

আঞ্চলিক ভাষায় ইন্টারনেট এ গুগল এর কাছে অনেক কম কনটেন্ট আছে তাই এই ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য বাংলা ছাড়াও মালায়ালাম তেলেগু, তামিল ,কানাড়া গুজরাটি ভাষায় গুগল এডসেন্স সাপোর্ট করে।

এবার বলি এডসেন্স পেমেন্টের ব্যাপারে ! গুগল এডসেন্স পেমেন্ট কিভাবে পাবেন ?

আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট পাবার পর একাউন্ট এ যখন ১০ ডলার হয় তখন এখন গুগল আপনার দেয়া ঠিকানা তে এআপনার একটি পিন পাঠাবে। সেই পিন কোড টি দিয়ে আপনি আপনার এডসেন্স একাউন্টে ভেরিফাই হয়ে যাবে।

বতমানে আপনাকে এছাড়া কোনো বৈধ সরকারি পরিচয় এর প্রমাণপত্র জেম আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা অন্য কোনো সরকারি পরিচয়পত্র
সাবমিট করতে হয়। এডসেন্স ভেরিফাই হয়ে যাওয়ার পর আপনার একাউন্টে যখন ১০০ ডলার পেমেন্ট হবে তখন আপনার সরাসরি গুগোল তাদের পেমেন্ট পাঠাবে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ।

গুগল এডসেন্স থেকে পেমেন্ট পেতে গেলে কমপক্ষে ১০০ ডলার এডসেন্স ব্যালান্স থাকতে হবে

গুগল এডসেন্সের কত রকমের adunit আছে?

রগুগল এডসেন্স এর বিভিন্ন রকমের adunit রয়েছে সেগুলি আমরা ওয়েবসাইট এ লাগিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারি। এই সমস্ত adunit র মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যানার adunit,infeed adunit ,inarticle adunit বং লিংক এড ইউনিট।

লিংক এড ইউনিট অনেকে বেশি পছন্দ করেন কারণ এই লিংকে মানুষ অন্যদের থেকে বেশি ক্লিক করে এবং ইনকাম বেশি হয়।

গুগল এডসেন্স এই সমস্ত ম্যানুয়াল এড ইউনিট ছাড়াও autoads বলে একটি adunit আছে।

গুগল auto ads গুই এমন ভাবে এই ইউনিট গুলি হল তৈরী করেছে যে গুলি গুগল তাদের মেশিন লার্নিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এবং তার অডিয়েন্সের উপর ভিত্তি করে আপনার ওয়েবসাইটে এই auto ads ।দেখায়। গুগলের দাবি auto ads ব্যবহার করলে আপনার আয় নরমাল অ্যাড ইউনিটের থেকে বেশি হবে।

তবে এক্ষেত্রে আমাদের সাজেশন হবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রথমে ম্যানুয়াল এড ব্যবহার করে দেখুন। যদি অনেকে মনে করেন auto ads ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

কারণ অনেক এতে দেখা গেছে auto ads যেহেতু গুগল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের লেআউট এবং ডিজাইনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে তাই এক্ষেত্রে auto ads ব্যবহার করার আগে আপনার যথেষ্ট সতর্ক থাকা উচিত।

এবার আসা যাক এডসেন্সের এড ব্লকিং কি এই সম্পর্কে। অনেকে অভিযোগ করেন যে গুগল তাদের ওয়েবসাইটে সবসময় ভালো মানের এড দেখায় না ।

তাই আপনি যদি কোনো অ্যাড ব্লক বা বন্ধ করতে চান তবে আপনাকে অ্যাড ব্লক কন্ট্রোলের মাধ্যমে আপনি যে কোনো Advertiser এর ড বন্ধ করতে পারেন। মনে করবেনা সে ক্ষেত্রে আপনি ওই এডভেটাইজ আর ইউ আর এল টিকিট বুকিং কন্ট্রোলের মাধ্যমে ব্লক করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের ইউসার এক্সপেরিন্স ভালো হবে।

আপনি কিভাবে এডসেন্স সুরক্ষিত রাখবেন?

অনেক সময়ে দেখা যায় পর কিছুদিনের মধ্যেই অনেকের অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যায়। এর কিছু কারণ রয়েছে।

আমরা অনেকেই আমাদের নিজেদের এড ক্লিককরি এক্ষেত্রে যদি এইরকম invalid অ্যাকটিভিটি গুগল প্রায় লক্ষ্য করে তাই ওযুগলে আপনার এডসেন্স ব্লক করে দিতে পারে।

তাই কখনোই কখনোই নিজেদের এড ক্লিক করা উচিত নয়। আপনারা যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করেন তো ওয়ার্ডপ্রেস এর কিছু কিছু ভালো ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন রয়েছে যেগুলি আপনি ব্যবহার করে আপনার সাইটটিকে ইনভেলিড ক্লিক থেকে বাঁচতে পারেন।

এছাড়াও আপনি বিভিন্ন কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক যেমন ক্লাউডফ্লেয়ার ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে থেকে ভুয়ো ট্রাফিক কমাতে পারেন যা ওয়েবসাইট টি কে সুরক্ষিত রাখে।

তাছাড়া কখনো স্প্যাম লিংক ব্যাবহার করবেন না ,অবৈধ ক্যাটাগরি এইসব ক্যাটাগরি এর কনটেন্ট লিখবেন না।

তো আশা করি গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত এই পোষ্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এছাড়া যদি আপনাদের এগুগল এডসেন্স সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন থাকে তো অবশ্যই নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ।

 

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

2 Comments on “গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় :৭টি সহজ নিয়ম মাথায় রাখুন”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।