কোন পেশায় টাকা বেশি:বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি

কোন পেশায় টাকা বেশি

Last Updated on: 31st জানুয়ারি 2024, 05:57 পূর্বাহ্ন

কোন পেশায় টাকা বেশি : হ্যালো বন্ধুরা সবাইকে নতুন বছরের শুভকামনা জানিয়ে আজকে আমার এই ব্লগ পোস্টটি শুরু করছি। আমি জানি গত এক বছর ধরে আমার এই ব্লগ পোস্টটি আপডেট করা হয়নি।

নানান ব্যক্তিগত কারণে এবং কিছুটা প্রফেশনাল অসুবিধা জন্যই আমার এই ব্লগ গত এক বছর যাবত তেমনভাবে আপডেট করা হয়নি। তবে এ বছর থেকে আবার নতুন উদ্যমে এবং নতুন উদ্দ্যমে নিয়ে আপনাদের প্রিয় গর্বিত বাংলা ব্লগ টিকে থেকে আমি আবার এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করছি।

তো চলুন আজকে আমরি ব্লক পোস্টে আমি আলোচনা  করছি বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি  ও ২০২৪ সালে ডিজিটাল মার্কেটিং ফিল্ডে কোন কোন নতুন বিষয়ে উঠে আসছে এবং কোন কোন নতুন বিষয়ে আপনি স্কিল অর্জন করে ২০২৪ সালটিকে আপনার একটি সাফল্যের বছর হিসেবে শুরু করতে পারেন।

কনটেন্ট মার্কেটিং

প্রথমেই বলা যাক কনটেন্ট মার্কেটিং এর বিষয়। আপনারা যারা প্রফেশনাল কনটেন্ট মার্কেটিং বা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করছেন তাদের জন্য ২০২৪ সালে কাজের সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে। আপনারা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট কনটেন্ট ,ওয়েবসাইট ব্লগ, ই -কমার্স সাইটের প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে লেখা করেন তাদের জন্য ২০২৪ সালের সুযোগের অন্ত নেই।

আপনারা আপনাদের ফিল্ডে বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল যেমন চ্যাট জিপিটি বা গুগল বার্ড কে কাজে লাগিয়ে আপনাদের কনটেন্ট রাইটিং সত্তা কে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারবেন। কন্টেন্ট লেখার জন্য বিস্তারিত করতে হবে হবে কিন্তু মনে রাখবেন এই সমস্ত এই আই টুল কিন্তু আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং দক্ষতা বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত।

কনটেন্ট মার্কেটিং
কনটেন্ট মার্কেটিং

আপনি যদি হুবহু এই সমস্ত টুল থেকে কনটেন্ট কপি পেস্ট করে কাজে লাগাতে চান সেটি কিন্তু একদমই সুবিধের কথা নয় এভাবে শুধুমাত্র গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলি আপনার কনটেন্ট টিকে স্প্যাম ভাববে এবং গুগল অ্যালগরিদম এর বিভিন্ন মাত্রা অনুযায়ী এই কন্টেন্টগুলিকে লো ভ্যালু কনটেন্ট হিসেবে দেখবে এবং তাতে করে এই সমস্ত নতুন কন্টেন্ট গুলি কোনভাবেই ব্যাংক হবেনা তাই এই সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে আপনাকে যথাযথভাবে সাবজেক্ট ম্যাটার কন্টেন্টের মধ্যে কিবোর্ড এর ব্যবহার করে আরো বেশি মাত্রায় উন্নত করাই উচিত।

বর্তমানে ভালো কনটেন্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে তাই আপনি যদি ভালো কনটেই লিখতে পারেন তাকে বাংলাতেই হোক বা ইংরেজিতেই হোক বা যে কোনোই হোক না কেন আপনি যে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে খুবই ভালো পরিমাণ অর্থ রোজগার করতে পারবেন খুবই কম সময়। শুধু আপনার দরকার একটু ধৈর্য এবং পরিশ্রম।

 সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

এবার এবার আসি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা বা এস ই ও এর ব্যাপারে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি যে আমি ২০১১ থেকে এই ফিল্ডে কাজ করছি এবং গত ১০-১১ বছর যাবত এই ফিল্ডে যে পরিবর্তনে এসেছে তার সঙ্গে অন্যকিছুর তুলনা করা সত্যিই খুবই খুবই কঠিন কারণ ২০১১ সালে যখন আমি এই ফিল্ডে কাজ করতে আসি তখন চার্জ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অন্য রকম ছিল গুগল তখন এই ফিল্ডটিকে ম্যানুয়াল লিংক বিল্ডিং এর ব্যাপারটা অনেক বেশি গুরুত্ব দিতো।

কিন্তু এত ব্যাপক মাত্রায় পরিবর্তন করত না এখন বর্তমান দিনে গুগল প্রায় বছরে ৪০ থেকে ৫০ টি মেজর অ্যালগরিদম পাবলিশ করতে থাকে এর মধ্যে গুগল কোর অ্যালগরিদম , গুগল স্প্যাম আপডেট, গুগুল হেল্পফুল কন্টেন্ট আপডেট, গুগল কোয়ালিটি আপডেট এইরকম নাম জানা-অজানা অজস্র পরিবর্তন করতে থাকে তার সার্চ result এ যার ফলে আমরা যারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ করি, তাদের জন্য প্রতিনিয়ত এই সমস্ত আপডেট গুলির সাথে তাল মিলিয়ে চলা, বেশ কষ্টের ব্যাপার । এই কারণে এই ফিল্ডে বর্তমানে কম্পিটিশনে অনেক বেড়ে গেছে, যার ফলে নতুনরা অনেকেই এই ফিল্ডে আসতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু আপনি জানিয়ে রাখি এই সমস্ত জিনিস নিয়ে ভয় পাওয়ার বা উদ্যোগে থাকার কোনো কারণ নেই।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

তার কারণ হিসেবে বলতে পারি যে আপনারা যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর বেসিক বিষয়গুলি বা গোড়ার বিষয়বস্তুগুলি সঠিকভাবে প্রয়োগ করেন তবে আজও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনেক লাভজনক একটি প্রফেশন এই বিষয়ে আপনার যদি কোন দ্বিমত বা কোন সন্দেহ থাকে তবে আপনি সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আপনি জলসত্য আপনাকে এই বিষয়ে হেল্প করব। এখন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গোড়ার বিষয়গুলি বলতে কি বোঝায় সেগুলো কি জেনে নেয়া যাক।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের গোড়ার বিষয়গুলি বলতে সঠিকভাবে টাইটেল ডেসক্রিপশন লেখা ঠিকঠাক নির্বাচন করা ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল এস ই ও ঠিকঠাক রাখা, ওয়েবসাইট লোডিং টাইম, ক্রল বাজেট এর সঠিক ব্যাবহার , ওয়েবসাইটের মধ্যে ইমেজ অলটেক ঠিকঠাক রাখা, ওয়েবসাইটের ব্রকেন লিঙ্ক খুঁজে বের করা এই সমস্ত বিষয়গুলি আপনাকে গোড়াতে গিয়ে নিতে হবে । তবেই আপনি এই ফিল্ডে একজন দক্ষ প্রফেশনাল হয়ে উঠবেন।এছাড়া বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এসে যাওয়া তে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের এর বিষয় গুলি একদিক থেকে কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে।

তাছাড়া ভালো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের সবচেয়ে গোড়ার কথা হলো ভালো কনটেন্ট র ব্যাবহার আর ওয়েবসাইট স্ট্রাকচার এ সঠিক ভাবে নির্বাচন।কোনো ওয়েবপেজ যদি গুগল এর থেকে ক্রল করতে অনেক অসুবিধা হয় সেটিও দেখা দরকার।

এই জন্য সবসময় সিলো স্ট্রাকচার এর ওয়েবসাইট এর গঠন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো। যাই হোক এই সব বিষয় গুলির সাথে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের সংক্রন্ত বিভিন্ন টুল যেমন semrush,স্ক্রিমিং ফ্রগ এই গুলির সম্পর্কেও পারদর্শী থাকা অত্যন্ত জরুরি। যাইহোক কেউ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের স্পেশালিস্ট হিসাবে ক্যরিয়ার শুরু করলে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে তার মাসিক বেতন ভারতে প্রায় হতে পারে মাসিক ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মাসে।তারপর অভিজ্ঞতা বাড়লে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেশনের ম্যানেজার হিসাবে মাস এক থেকে দেড় লক্ষ বেতন ও পাওয়া যেতে পারে।

 গ্রাফিক ডিজাইন

এবার আসি গ্রাফিক ডিজাইন পেয়ে সম্পর্কে । বর্তমান ইআইএ গ্রাফিক ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয় একটি বিষয় উঠেছে।

চ্যাট জিপিটির মতো ডালি এ আই ব্যবহার করে আজকাল অনেকেই দক্ষ ডিজাইনার হয়ে উঠছে তাই আপনার যদি গ্রাফিক ডিজাইন এ আগ্রহ থাকে তবে ২০২৪ সালে ভাল করে শিখে নিজের জ্ঞান বাড়িয়ে নিতে পারেন।

গ্রাফিক ডিজাইন
গ্রাফিক ডিজাইন

বিভিন্ন কোম্পানি তে ওয়েবসাইট ডিসাইন থেকে শুরু করে ব্যানার তৈরী ,ইনফোগ্রাফিক তৈরী,লিফলেট ,লোগো তৈরী ইত্যাদি অনেককাজেই একজন গ্রাফিক ডিজাইন এক্সপার্ট এর দরকার পড়ে। তবে মনে রাখতে হবে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিসাইন হতে হলে আপনাকে প্রথমে একজন ক্রিয়েটিভ মনস্ক মানুষ হতে হবে। দরকার হলে আগে ২ডি ডিজাইন হাতে কলমে শিখে তারপরে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ শিখলে সবচেয়ে ভালো হয় । তার সঙ্গে ফটোশপ এই সমস্ত সফটওয়্যার সম্পর্কে বিশদে জ্ঞান থাকতে হবে তবেই আপনি ২০২৪ সালে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন। একজন গ্রাফিক ডিজাইন ভারতে ক্যারিয়ার শুরুতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন মাসিক।

 চার্টার্ড একাউন্টেন্ট

চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বিষয় ২০২৪ সালে একটি আকর্ষণীয় স্পেশাল হিসেবে উঠে আসছে। এর কারণ প্রতিদিন বা দৈনন্দিন জীবনে টাকা-পয়সা বিষয় সম্পূর্ণ ব্যাপার গুলি বেড়েই চলেছে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের লেনদেন সম্পর্কিত বিষয় বিভিন্ন কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল অডিটিং এর বিষয় তাদের বার্ষিক এবং মাসিক বিভিন্ন হিসেবের বিবরণ এবং সেগুলি ডিজিটাল নথিবদ্ধকরন এর সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিষয়গুলি আজ এই প্রেশারটি খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি পান করছে।

চার্টার্ড একাউন্টেন্ট
চার্টার্ড একাউন্টেন্ট

একজন দক্ষ চার্টার্ড একাউন্টেন্টের আর চাহিদা অনেক। এই পেশায় আসতে গেলে যেমন অনেক পরিশ্রম করতে হয় এবং অনেক কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমে এই পেশায় আসতে হয় তেমনি দক্ষতার সাথে কাজ করলে বেশ ভালো মাইনের বেতনও পাওয়া যায় ভারতবর্ষে এই পেশায় প্রায় ৬ থেকে ৩০ লাখ টাকা বেতন প্রতিবছর পাওয়া যায়।এর সাথে নিজের চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম খুলতে পারলে মুনাফা আরো বাড়ে সাথে অনেক লোকের কর্মসংত্থান ও বেড়ে যায়।

 সফটওয়্যার ডেভেলপার

বর্তমান দিনে সফটওয়্যার ডেভলপার বা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বলা ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ক্ষেত্র অনেকটা বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে। সফটওয়্যার ডেভলপার বলতে প্রথমেই মনে আসে পুনে, ব্যাঙ্গালোর ,মহারাষ্ট্র, নয়ডা এই সমস্ত অঞ্চলের কথা । বর্তমান দিনে একজন দক্ষ সফটওয়্যার ডেভ্লপার ভারতবর্ষীয় তথা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় কাজ করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং করেই হোক বা কোনো ভালো কোম্পানিতে উচ্চ বাদেই হোক সফটওয়্যার ডেভলপারদের বর্তমান চাহিদা প্রচুর।

এখনো অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে একজন দক্ষ সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ টা ঠিক কি? এই প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয় একজন সক্ষম সফটওয়্যার ডেভেলপার একটি অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য যে যে জিনিস প্রয়োজন যেমন তার ফ্লো চ্যাট আঁকা, বিভিন্ন রকম মডেল ডিজাইনিং, একটি সফটওয়্যারকে সিস্টেম বা মোবাইল অ্যাপে চলতে গেলে কোন ভাবে প্রোগ্রামিং করতে হবে বা কি উপায়ে প্রোগ্রাম লিখতে হবে সেগুলিকে প্রোগ্রামার কে বোঝানো একটি সফটওয়্যার বিভিন্ন অংশের ভবিষ্যৎ আপডেট এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া একজন দক্ষ সফটওয়্যার ডেভলপারের কাজ।

সফটওয়্যার ডেভেলপার
সফটওয়্যার ডেভেলপার

এক্ষেত্রে বলে নেয়া ভালো কোন কোন সফটওয়্যার ডেভলপার নিজেই নিজের কোড লেখে তারপর থেকে টেস্টিং করে তারপর সেটিকে প্রোডাকশন ইউনিটি পাঠায়। আবার এমন অনেক সফটওয়্যার ডেভেলপার আছে যারা নিজেরা প্রোগ্রাম লেখে না।

এই প্রোগ্রামিং এর কাজটি কোন থার্ড পার্টি বা অন্য কোন প্রোগ্রামাকে দিয়ে করিয়ে নে এখন ক্ষেত্র বিশেষে একজন দক্ষ সফটওয়্যার ডেভলপারের এই নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপরে জ্ঞান থাকা অনেক জরুরী । পাইথন, পিএইচপি ,জাভাস্ক্রিপ,HTML ,লিনাক্স, ওরাক্যাল ,মাই এস ইউ এল ক্ষেত্রবিশেষে এবং প্রয়োজন হিসেবে সফটওয়্যার ডেভলপার তার প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে নেন।

এখন একজন প্রফেশনাল সফটওয়্যার ডেভেলপার ভারতে প্রতিবছর মোটামুটি তিন থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারে।

ডেটা সাইন্টিস্ট

ডেটা সাইন্টিস্ট মানে হলো ডেটা নিয়ে বিশ্লেষণ আর তার প্রয়োগ। বর্তমান যুগে অফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসার পরে এই ডেটা সাইন্টিস্টদের কার্যক্ষেত্র বলতে গেলে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ছোট থেকে বড় তথ্য বাপ বিগ ডেটা, বিশ্লেষণ করে কোন ব্যবসার সম্ভাব্য গতি মুখ, ওই ব্যবসার বিভিন্ন ঝুঁকি কোন পর্যায়ে কতটুকু ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে, কোন খাতে কত মার্কেটিং এর ব্যয় করতে হবে সমস্ত কিছুই করে দিচ্ছে এই ডেটা সাইন্টিস্টদের দল।

হেলথ সেক্টর থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তি, অটোমোবাইল, রিয়েল স্টেট সমস্ত বিষয়েই আজকাল এই ডেটা সাইন্টিস্টদের ব্যাপক চাহিদা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ছোট বড় সংস্থা যেমন জেপি মরগান থেকে শুরু করে এয়ারটেল, পেটিএম ,গুগল, আই বিএম আজ এই ডেটা সাইন্টিস্টদের কাজ দিচ্ছে ।

ডেটা সাইন্টিস্ট
ডেটা সাইন্টিস্ট

একজন দক্ষ ডেটা সাইন্টিস্ট হতে গেলে ওয়েব স্কেপিং থেকে শুরু করে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ডেটা এনালিসিস, ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন ,স্ট্যাটিস্টিক ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এই সমস্ত বিষয়ের উপরে ভালো রকম জ্ঞান থাকতে হবে। তাছাড়াও এই সমস্ত টেকনিক্যাল জ্ঞানের সাথে সাথে ও একজন ভালো ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে গেলে আপনাকে একজন ভালো বিজনেস কমিউনিকেটর এবং ভালো ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ হতেই হবে।

বর্তমানে ভারতবর্ষের তথা বিশ্বে এই ডেটা সাইন্টিস্টদের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে তার সঙ্গে পালা দিয়েই বেড়েছে এদের বেতন ভারতবর্ষে একজন দক্ষ ডাটা সাইন্টিস্টদের বেতন বছরে মোটামুটি ৬ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হতে পারে।

সাইবার সিকিউরিটি প্রফেশনাল

বর্তমান ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বৃদ্ধির ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ইন্টারনেটে অপরাধ করবার প্রবণতা, যার জেরে আজ সারা বিশ্বের মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। নিত্যদিনই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন রকম সাইবার জ্বালিয়াতির খবরাখবর কখনো কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে বা কখনো মানুষ এই সাইবার জালিয়াতি চক্করে পড়ে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য এই সাইবার ক্রিমিনালদের হাতে হস্তগত হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ মেরি ল্যান্ড এর একটি তথ্য অনুযায়ী এই সাইবার কিমিনাল না প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি করে অ্যাটাক করে যাচ্ছে এবং দিনে প্রায় এই সাইবার আক্রমণের সংখ্যা প্রায় ২২৪৪ এর মত।

সাইবার সিকিউরিটি প্রফেশনাল
সাইবার সিকিউরিটি প্রফেশনাল

তাই এই সমস্ত তথ্য ঠিকই বোঝা যাচ্ছে এই এই সাইবার ক্রিমিনাল রা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে আর তাই এই সমস্ত কারণে একজন দক্ষ সাইবার ক্রিমিনাল বিষয়ক দের চাহিদা বর্তমান দিনে অনেক বেড়ে গিয়েছে।শুধু তাই নয় এই সাইবার অপরাধী রা তাদের কাজের বিষয়ে এতটাই সংঘটিত যে বেশিরভাগ সময়তেই তাদের ধরা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ছে বিশেষত যখন তাদের টার্গেট হচ্ছে বয়স্ক ব্যাক্তিরা যারা এই সব সাইবার সংক্রান্ত ব্যাপারে অতটা পটু নন।

যাই হোক একজন দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ হতে গেলে আপনাকে দক্ষ নেটওয়ার্কিং ,সি, সি প্লাস প্লাস প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে জ্ঞান, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। এছাড়াও পাইথন প্রোগ্রামিং এর সম্পর্কেও আপনাকে বিশেষ ভাবে দক্ষ হতে হবে একজন প্রফেশনাল সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ একটি অর্গানাইজেশনের সাইবা নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ের উপর নজর রাখেন।

একজন প্রফেশনাল সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এর গড় ভারতবর্ষে বার্ষিক বেতন হতে পারে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।

 ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার

এই ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার মূলত একটি সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড এই ২ বিষয়েতেই পারদর্শী হন আপনার যদি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রী থেকে থাকে তবে আপনি কিছুদিন পরিশ্রম করলে এই পেশায় খুব ভালো কাজ করতে পারবেন। যেহেতু একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনকে একদম গোড়া থেকে তৈরি করতে হয় এই ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার দের তাই এদের চাহিদাও বেশ ভালো ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার মূলত ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড বিভিন্ন টেকনোলজি যেমন এইচটিএমএল জাভাস্ক্রিপ্ট । সিএসএস এই সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এছাড়া বিভিন্ন ফ্রন্ট এন্ড ফেমওয়ার্ক যেমন রিয়াক্ট নেটিভ ,অঙ্গুলার এইগুলিও জানতে হবে

এছাড়াও ব্যাক এন্ড টেকনোলজির মধ্যে রুবি, পি এইচ পি ,পাইথন সম্পর্কে জানতে হবে

ডেটাবেসের মধ্যে জানতে হবে মঙ্গো ডিবি ,নো sql ইত্যাদি

ভার্সন কন্ট্রোল এর মধ্যে আনতে হবে গিট হাব ইত্যাদি।

একজন প্রফেশনাল ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার এর বর্তমান বেতন হতে পারে ভারতের প্রায় গড় ৭ লক্ষ টাকা বছরে।

গুগল এডস স্পেশালিস্ট

বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মতই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে গুগল এড তাই এই গুগল এডস স্পেশালিস্টদেরও বর্তমানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে আপনার ব্যবসা সিটি যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন google এডসের বিস্তৃত সার্চ এবং ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসাকে আজ কোটি কোটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন। তা সে গুগল সার্চ এড হোক বা গুগল ডিসপ্লে এড হোক কিংবা গুগল ইউটিউব হোক বা লিড জেনারেশন, শপিং অ্যাড এই সমস্ত ক্ষেত্রে আজকে এই গুগল এডস স্পেসালিস্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

গুগল এডস স্পেশালিস্ট
গুগল এডস স্পেশালিস্ট

তাই বিভিন্ন ব্যবসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্কিং এজেন্সিতে দেশে কিংবা বিদেশে গুগল অ্যাডস জানা স্পেশালিস্টদের আজ কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে।

তাই আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন এবং google ads সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তো এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে এবং আপনি আপনাকে এর শুরুতেই ভারতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার জব সহজেই পেতে পারেন।

এরপর আপনার এক্সপেরিয়েন্স অভিজ্ঞতা যত বাড়বে আপনার সেলারি বা মাসিক উপার্জন সেই তালে বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন কোম্পানিতে টিম লিডার বা লিড অ্যাড এক্সিকিউটিভ হিসাবে আপনি সহজেই তখন মাসিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা গড় ইনকাম করতে পারবেন প্রতিমাসে। আর এর সাথে যদি আপনি ফেসবুক এড সোশ্যাল মিডিয়া এড সম্পর্কিত কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তো সেক্ষেত্রেও আপনি আপনার উপার্জন আরো কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারবেন খুব কম সময়ের মধ্যে।

আশা করি আজকের এই পোস্ট আপনার ভালো লাগলো। ভালো লাগলে কমেন্ট আর শেয়ার করতে ভুলবেন না।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।