বাংলা ব্লগ লিখে কিভাবে আয় করা যায়?৫টি সহজ উপায় জেনে নিন আজ

বাংলা ব্লগ লিখে কিভাবে আয় করা যায়

Last Updated on: 4th ডিসেম্বর 2022, 06:19 পূর্বাহ্ন

5/5

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব বাংলা ব্লগ লিখে কিভাবে আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে ব্লগিং জনপ্রিয় পেশা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ব্লগিং পেশায় আছেন এবং এই ব্লগিং থেকে অর্থ বা টাকা উপার্জন করতে তারা অনেকেই মনস্থির করে ফেলেছে।

তাই এই বর্তমান পোস্টে না করব যদি আপনি বাংলায় ব্লগ লিখেন তাহলে আপনার কাছে টাকা আয় করার কি কি পদ্ধতি রয়েছে।

প্রথমেই বলে রাখি আমি নিজে একটি বাংলা ব্লগ পরিচালনা করছি প্রায় গত দেড় বছর ধরে এবং এর আগেও কয়েকটি ইংরেজি ব্লগ আমি পাবলিস্ট করেছি তাই সেক্ষেত্রে ব্লগিংয়ের আমার কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে আমি আজকের পোস্টটি চাইছি সেই সমস্ত অভিজ্ঞতা আপনার সাথে শেয়ার করে দিতে যার ফলে আপনার ব্লগিং করে বিশেষ করে বাংলা ব্লগিং করে ঠিক কত টাকা আয় করা সম্ভব কি কি উপায়ে বাংলা ব্লগিং থেকে আয় করা যায় সেই সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়ে যাবে।

আমার কিছু বিগত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আমি বলতে পারি ব্লগ এর ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগ এর ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাটি তো আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর ইন্টারেষ্টিং বিষয়।

তার কারণ বাংলা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা এবং ভারতবর্ষ,বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ, মায়ানমার, সৌদি আরবেও অনেক মানুষ বাংলা বোঝেন এবং বাংলা ভাষাতে কথা বলেন।

আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে হাওড়া-হুগলি দুই চব্বিশ পরগনার এমন অনেক মানুষ আছে যারা কর্মক্ষেত্রে সৌদি আরব রিয়াদ কিংবা দুবাইয়ের মত জায়গাতে রয়েছেন।

এই মানুষজনদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ প্রজন্মের যারা খুব কম বয়সেই রোজগারের সন্ধানে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন মানুষদের কাছে তাই এই বাংলা ব্লগের চাহিদা প্রচুর পরিমাণ রয়েছে কারণ প্রবাসে গিয়ে তারা দেশের কথা জানতে চান এবং তিনি যদি বাংলা ভাষায় হয় তো আর কথাই নেই।

তো বাংলা ভাষায় এইরকম চাহিদার মধ্যে বাংলা ভাষা দিয়ে যদি ব্লগিং শুরু করা যায় তো এর অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমেই বলে রাখি অনেকেই ইংরেজি ভাষায় ব্লগিং করতে বলেন কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ইংরেজি ভাষায় ব্লগিং শুরু করলে আপনার কনটেন্ট বা ব্লগের পরিধি সারা বিশ্বজুড়ে হবে সেই সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে আপনার কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতা খুব কঠিন হয়ে যায় কারণ সারা পৃথিবীতে প্রতিদিন অজস্র পরিমাণ নতুন ব্লগ তৈরি হচ্ছে এবং যাদের কনটেন্ট থেকে শুরু করে লেআউট দক্ষতা বেশ ভালো মানে তাই ঐ সমস্ত ব্লগ বা কনটেন্ট এর সাথে পাল্লা দিয়ে ইংরেজি ভাষায় ব্লক সফল করা একটু কঠিন কাজ।

কাজটি অসম্ভব নয় কিন্তু সময়সাপেক্ষ তো বটেই। একবার ভেবে দেখুন একই উৎসাহ নিয়ে আপনার মাতৃভাষায় যেটিতে আপনি সবকিছু যদি বাংলায় ব্লগিং শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিযোগিতা কমে যাবে এবং সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগের সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনি যদি বাংলায় ব্লগ্গিং করছেন তো সে ক্ষেত্রে আপনার অডিয়েন্সের পরিধিটা সীমিত হবে কিন্তু বিভিন্ন ব্লগিং-এর ইন্ডাস্ট্রির সাথে যারা যুক্ত তাদের সাথে আমি কথা বলে দেখেছি ,যদি বাংলা ভাষায় ঠিকঠাক অডিয়েন্সকে টার্গেট করে ব্লক লেখা যায় এবং নিয়মিত ভালো পরিমাণ কনটেন্ট দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় ব্লগ তৈরি করেও আপনি অনায়াসে মাসের ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন ভালো পরিমাণ কনটেন্ট দুই থেকে তিনটি করে কন্টেন আপনার ব্লগে পাবলিশ করতে হবে এবং তার মান আপনাকে যথেষ্ট ভালো রাখতে হবে কারণ মনে রাখতে হবে দিনের দিন বাংলা ভাষাতেও মানুষ ধীরে ধীরে ব্লগিং শুরু করছেন তাই এক্ষেত্রে বাংলা ভাষাতেও বিরুদ্ধে প্রচলিত বা কমিশন বেড়ে যাচ্ছে তাই আপনার কনটেন্টকে বিশ্বমানের হতে হবে।

এবার আসি টিমের কোথায় শুরু করলে যদি আপনার বাজেট কম থাকে তখন প্রথমেই আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে তুমি আপনি দামি ডোমেইন হোস্টিং এর উপর না গিয়ে মাঝারি মানের ডোমেইন-হোষ্টিং যেটি স্পিড ভালো এবং ডাউন টাইম বেশি দেয় না সেই রকম হোস্টিং ডোমেইন আপনি ক্রয় করে সেখান দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন এক্ষেত্রে আমি Bluehost বা Godaddy সাজেস্ট বা কেনার পরামর্শ করব।

ডোমেইন-হোষ্টিং আপনি কম টাকায় পেয়ে যাবেন এবং প্রাথমিকভাবে ব্লক শুরু করতে গেলে আপনার এর থেকে বেশি কিছু লাগবে না এ প্লাস্টিক কন্টেনের কোথায় আপনি যদি প্রথম শুরু করেন তখন আপনি নিজে নিজেই কন্টেন লিখতে পারবেন বাংলা ভাষায় খুব সহজ-সরল ভাষায় কোন বিষয়কে জটিল করা দরকার নেই।

আপনি যে বিষয়ে দক্ষ এখন উদাহরণ দিয়ে বলি আপনি যদি রান্নাবিষয়ক ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন সুন্দর সুন্দর মেনু কিভাবে তৈরি করা যায় তার সহজ সরল পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ দিয়ে যান এবং আপনার ব্লগে মেনু পোষ্টের সাথে মানুষও দেখেনতো সেক্ষেত্রে আপনি অনেক ভাল ট্রাফিক পাবেন আবার টেকনোলজিতে উৎসাহী হন এক্ষেত্রে বিভিন্ন মোবাইল রিভিউ সংক্রান্ত খবর সোশ্যাল মিডিয়া খবর সার্চ ইঞ্জিন সংক্রান্ত খবর এই সমস্ত বিষয়গুলি আপনি কভার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে ওই বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এবং আপনাকে ওই বিষয়ে তোমাকে লিখতে হবে তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন আপনি যে বিষয়ে ফেল করলে কেন বাংলা ভাষাতে আপনাকে কিন্তু সেই বিষয়ের উপর একটু নলেজ বা জ্ঞান থাকতে হবে কারণ আপনি যদি সম্পূর্ণ অন্য একটি বিষয় শুরু করেন যার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান সীমিত সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু সময় পর সহজেই হারিয়ে ফেলবেন। তাই আমার পরামর্শ আপনি যে বিষয়ে দক্ষ যে বিষয়ে আপনার ইন্টারেস্ট রয়েছে সেই বিষয়ে আপনি বাংলায় বলা শুরু করুন।

এবারে আছি কনটেন্টের আপনি যখন বাংলা ব্লগ লিখবেন তখন দেখে নেবেন যে আপনার সিলেক্ট করা কিওয়ার্ড গুলিতে বাকিরা কি রকম ব্লগ লিখছে কি আপনি নিয়মিত ফলো করুন সেই সমস্ত টপিকগুলো কেউ। কীওয়ার্ড এর জন্য আপনি দেখুন গুগোল অটোসাজেশন ব্যাবহার করতে পারেন বা গুগল কীওয়ার্ড প্লানার ,উবেরসাজেস্ট ব্যবহার করতে পারেন এই সমস্ত গুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন টুল ব্যবহার করে সাজেশন করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স থেকে বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম

এই সমস্ত টুল ব্যবহার করে আপনি সহজেই করতে পারবেন এবং সেই সমস্ত কীওয়ার্ডগুলি দিয়ে কনটেন্ট লেখা আপনি শুরু করুন এরপর যখন ধীরে ধীরে আপনার ব্লগে ব্লকবুষ্টের সংখ্যা ১০ থেকে ২০ টি যখন হয়ে যাবে তখন আপনি ধীরে ধীরে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। ভালো কনটেন্ট লিখলে গুগল এডসেন্স এর পারমিশন পেয়ে যাবেন। গুগল এডসেন্স এড করার পরে দেখবেন যদি আপনার গুগল এডসেন্সের এর একাউন্ট এ তখন ধীরে ধীরে আপনি আপনার পোস্টে ক্লিক পড়া দেখতে শুরু করবেন এখন আপনার পোস্টে ক্লিক পেতে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে গেছে দেখবেন।

প্রথম প্রথম হয়ত আপনার ব্লগে হয়তো কম ইনকাম হবে তবে আমি আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে আপনি যদি আপনার ব্লগের ঠিকঠাক কিভাবে ব্যবহার করে পোস্ট লিখতে পারেন তো দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাফিকও আপনি প্রায় ১ এক ডলারের মত ইনকাম করবেন।

এখন করে দেখুন যদি আপনি দিনের এক ডলার করে ইনকাম করতে পারেন তবে মাসে আপনি সহজে ৩০ ডলার ইনকাম করতে পারেন শুধুমাত্র বাংলা ব্লগ থেকেই। প্রাথমিকভাবে এরপর ধীরে ধীরে আপনার ব্লগে সংখ্যা বাড়বে আপনারা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা ইনকাম বৃদ্ধি পাবে এরপর দেখবেন যে আপনার ব্লগে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে তখন আপনাকে ইনভেস্ট শুরু করতে হবে আপনি আপনার কনটেন্ট লেখার জন্য তখন দুই একজন ভাল কনটেন্ট রাইটার হয় করে নিতে পারবেন যেখান থেকে আপনি দৈনিক ভাবে ভালো পোস্ট সংগ্রহ করে পাবলিশ করবেন তখন আপনার কাজ হবে পোস্ট পাবলিশ কন্ট্রোল এখানে আপনার ব্লগ এ ঠিকঠাকভাবে পাবলিশ করা।

গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন কি ভাবে ব্যাবহার করবেন?

তবে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে গেলে ভালো মানের কনটেন্ট যেমন দরকার তেমনি দরকার ঠিক জায়গাতে বিজ্ঞাপণ গুলু লাগানো। ব্লগ এর যে কোনো জায়গাতে আপনি বিজ্ঞপন লাগালে হবে না।

দেখে নিতে হবে কোন জায়গাতে সবচেয়ে বেশি ক্লিক পড়ার সম্ভবনা কাছে বা মানুষ আপনার ব্লগ এর কোন জায়গাতে বেশি পড়ছেন এর জন্য আপনি অনেক ফ্রি এনালিটিক্স টুল কাছে যেমন hotjar ,মৌসেফালো ব্যাবহার করে হিটম্যাপ আপনার ব্লগ এর জন্য দেখে নিতে পারেন সেই মতো হিসেবে করে নেটিভ ব্যানার বিজ্ঞাপন বা রেস্পন্সিভ বিজ্ঞাপন লাগালে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

তবে এই সব ক্ষেত্রে দেখে নেবেন এমন ভাবে বিজ্ঞাপন লাগাতে হবে যাতে আপনার পাঠকরা খব বেশি বিরক্ত না হন বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে। একটি পেজ এ আমার মতে ২ থেকে ৩ টার বেশি বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা উচিত নয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম

আপনার ব্লগ এর ভিসিটর ,ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে গেলে যখন আপনার ব্লগ আরো ভালো পর্যায় যাবে তখন আপনি বিভিন্ন রকম ব্র্যান্ড প্রমোশন শুরু করতে পারবেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন অ্যামাজন ফ্লিপকার্টের মধ্যে এখন অনেক ওয়েবসাইট হয়ে গিয়েছে যেগুলির নানা পণ্য আপনার ব্লগে যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রমোট করেন সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগ থেকে যখন কেউ কিনবে তখন তার একটি নির্দিষ্ট লভ্যাংশ আপনাকে দেয়া হবে।

তবে এর জন্য অপেক্ষা আর ধৈর্য্য দরকার। এর জন্য প্রচুর পরিমাণে দরকার এবং ভালো মানের কনটেন্ট দরকার তাই প্রথম থেকেই যদি আপনি ভালো মানের কনটেন্ট এর উপরে ধ্যান দেন তো সে ক্ষেত্রে আপনার ব্লগ থেকে আয় করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

অনেকে মনে করেন যে বাংলা ব্লগ থেকে আয় করা যায় না কিন্তু বাস্তবে যে অনেকেই বাংলা ব্লগ থেকে গুগল এডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করার ফলেই মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খুব সহজেই হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করছেন যা অনেক ছোট খাটো ফুল টাইম জব এর থেকে ভালো।

স্পসনসর্ড পোস্ট থেকে আয়

আপনি যখন আপনার ব্লগ এ সার্চ ইঞ্জিন বা অন্যান্য জায়গায় থেকে অনেক পরিমান ট্রাফিক আস্তে শুরু করে তখন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর ডোমেইন অথরিটি বাড়লে যত অর্গানিক সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক আসবে লোকের নজরে আপনার ব্লগ আরো বেশি করে পড়বে

। যখন কেউ কোনো কিছু গুগল এ সার্চ করে তখন প্রতিটা সার্চ এর ভিতরে একটা সার্চ ইনটেন্ট বা কেন ওই বিষয়বস্তু সার্চ করা হলো তার একটা স্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। আর এ রকম ভাবে আপনার ব্লগ যদি অনেক ভালো ভালো কীওয়ার্ড এ সার্চ এ গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর পেতে শুরু করে তখন আপনার ব্লগ এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়।

বড়ো বড়ো ব্র্যান্ড কোমপানি আপনার ব্লগ এ তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর কথা প্রকাশ করতে ইচ্ছুক হয়। আপনার ব্লগ এর যতটা বেশি ট্রাফিক তত বেশি আপনি একেকটি স্পন্সরড পোস্ট এর জন্যই টাকা দাবি করতে পারবেন।

উদহারণ দি একটি ধরুন বাজারে রেডমি কোম্পানি একটি নতুন ৫জি মডেল এর ফোন আন্তে চলেছে আপনি এই মডেল সম্পর্কে ছবি দিয়ে সব স্পেসিফিকেশন দিয়ে এর একটি সদর্থক রিভিউ লিখলেন তখন রেডমি কোম্পানি তার বিনিময়ে আপনাকে একটি টাকা দেবে যার পরিমান আপনার ব্লগ এর ট্রাফিক অনুযায়ী হয়।

এমন অনেক ব্লগার আছেন যারা বাঙালিতেই এই ভাবে স্পন্সরড পোস্ট লিখে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন। অনেক কোম্পানি আবার আপনার ব্লগ এর সাইডবার বা কোনো একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর একটি ব্যানার পোস্ট করতে বলে থাকে তার জন্য আপনাকে প্রতিমাসে বা এককালীন একটি টাকা দেয়। এই ভাবেও বাংলা ব্লগ থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

তবে স্পন্সরড পোস্ট প্রকাশ করার আগে আপনাকে ওই ব্র্যান্ড এর গ্রহণযোগ্যতা ,মান যাচাই করতে হবে আগেই নয়তো আপনার পাঠক আপনার পোস্ট পরে বিভ্ৰান্ত হলে পরে আপনার ব্লগ এর সম্পর্কে একটি নেগেটিভ মনোভাব তৈরী হবে যা কখনোই কাম্য নয়।

ব্র্যান্ড কলাবোরেশন থেকে বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম

আপনার ব্লগ এর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেলে ব্র্যান্ড কলাবোরেশন থেকে বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম ব্ আপনি করতে পারবেন। ব্র্যান্ড গুলি সবসময়ই কম খরচে প্রমোশন এ উৎসাহী। এখন যেহেতু ডিজিটাল মিডিয়াম ,সোশ্যাল মিডিয়াম এ অনেক মানুষ কে কম সময়ে কম খরচে একসাথে পাওয়া যায় তার জন্য যদি আপনার ব্লগ ভালো মানের হয় তখন সেও ব্র্যান্ড গুলি আপনার ব্লগ এ বিজ্ঞাপন দিতে উৎসাহি হবে।

উদাহরণ দি ধরুন কোনো একটি মোবাইল কোম্পানি একটি নতুন মডেল এর মোবাইল বাজারে ছাড়বে তাই তারা যদি একটি লাইভ ইভেন্ট করে আপনি সেই ইভেন্ট কভার করে আপনার ব্লগ এ সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখলেন বা কোনো ভিডিও লিংক পোস্ট করলেন।বিনিময়ে আপনার কিছু উপার্জন হলো।

শুধু বাংলাতে ব্লগ লিখে ইনকাম

ব্লগ তৈরী ,তার রক্ষণাবেক্ষণ বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এরপরেও যদি আপনি আপনার নিজের ব্লগ খুলতে ইচ্ছুক না হয়ত সে ক্ষেত্রে আপনি নিজে বাংলাতে কনটেন্ট লিখে এমন অনেক বাংলা ব্লগ অপশন রয়েছে যেখানে আপনি আপনার কন্টেন্টগুলি পাঠাতে করে তার বিনিময়ে টাকা পেতে পারেন শুধুমাত্র কনটেন্ট রাইটার হিসাবে। তবে এর জন্য আপনার লেখার মান আর রিসার্চ ওয়ার্ক ,আর সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকলে অনেক ভালো হয় কারণ বেশিরভাগ সময় তাই গুগল এ আপনার ব্লগ কনটেন্ট টি কেমন পারফর্ম করছে তার উপরে আপনার পারিশ্রমিক নির্ভর করে।

তবে ব্লগ লিখে ইনকাম করতে গেলে এটাও মনে রাখতে হবে যে ব্লগ সবসময় আপডেট রাখতে হবে নতুন তথ্য দিয়ে যা আপনার পাঠক ভালোবাসে। নিত্যনতুন যত ভালো ইনফরমেশন দিতে পারবেন ততই আপনার ব্লগ এর পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। গুগল ও আপনার ব্লগ কে র্যাংক দিতে শুরু করবে।

শেষ কথা

তাহলে মূলত আমরা এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করলাম একটি বাংলা ব্লগ লিখে আয় করার জন্য প্রধান এডসেন্স ,এর পর হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, তিন নম্বরে রয়েছে স্পনসর্ড পোস্ট এবং চার নম্বরে রয়েছে ব্র্যান্ড কোলাবরেশন তাই এতগুলো প্রধান উপায়ে আপনি বাংলা ব্লগ লিখে ইনকাম করতে পারবেন তো আশা করি এই পোষ্ট টি আপনার অনেক কাজে লাগলো এবং বাংলা ব্লগ লিখে কিভাবে আয় করা যায় এ সম্পর্কে যদি আরও কিছু জানতে চান তো নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।