ন্যানোটেকনোলজি কি? ন্যানোটেকনোলজি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে?

ন্যানোটেকনোলজি কি

Last Updated on: 4th ডিসেম্বর 2022, 06:35 পূর্বাহ্ন

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে ন্যানোটেকনোলজি কি ও ন্যানোটেকনোলজি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে সেই সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।

ন্যানোটেকনোলজি কি?

ন্যানোটেকনোলজি হল বিজ্ঞান ,চিকিৎসা এবং টেকনোলজি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পদার্থ যার পরিমাপ এক থেকে একশ ন্যানোমিটার সেই সকল বিষয়ের ই অধ্যায়ন এবং তার প্রয়োগ। বর্তমানে ন্যানোটেকনোলজি এবংন্যানোসাইন্স পদার্থবিদ্যা থেকে শুরু করে জীব বিদ্যা রসায়ন এমনকি মহাকাশ বিজ্ঞানের বহুলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ন্যানোটেকনোলজির শুরু কিভাবে হলো? ন্যানোটেকনোলজির জনক কে?

ন্যানোটেকনোলজির শুরু বলতে গেলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৫৯ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর যেখানে বিখ্যাত পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি মিটিংয়ে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন সেই সময়ে তিনি বুঝিয়েছিলেন একটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে যেখানে অনু এবং পরমাণু কে কৃত্রিমভাবে কি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সেই সময়ও ন্যানোটেকনোলজির এত বহুল বিস্তার ঘটে নি তবে ন্যানোটেকনোলজির শুরুর কথাঃ বা ন্যানোটেকনোলজির জনক বলতে গেলে পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান কি বলা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৮১ সালে স্ক্যানিং টানেলিং মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান ন্যানোটেকনোলজির যাত্রা শুরু হয়।

ন্যানোটেকনোলজির কিছু গোড়ার বিষয় :

এবারে ন্যানোটেকনোলজির কিছু করার বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক ন্যানো বলতে আসলে কি বোঝায় ? ১ ন্যানোমিটার হলো এক মিটারের 1 বিলিয়ন এর একাংশ।

তাহলে বুঝতেই পারছেন ন্যানোসায়েন্স এবং ন্যানোটেকনোলজি ক্কতটা ষুদ্র বস্তুর অধ্যয়ন করার জন্য তৈরি। 1 ইঞ্চি পরিমাপের মধ্যে প্রায় 2 কোটি ন্যানোমিটার থাকে ন্যানোসায়েন্স এবং ন্যানোটেকনোলজি আমাদের খুবই গভীর ভাবে প্রতিটা অনু পরমাণু নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বাতলে দেয়।

ন্যানোটেকনোলজি কত রকমের হয়?

ন্যানোটেকনোলজি সাধারণভাবে বলতে গেলে তিন রকমের হয় ড্রাই ন্যানোটেকনোলজি ওয়েট ন্যানোটেকনোলজি কম্পিউটেশনাল ন্যানোটেকনোলজি ড্রাই ন্যানোটেকনোলজি তে মূলত ফেব্রিকেশন কার্বন সিলিকন এবং বিভিন্ন ইনোরগানিক বস্তুর বিষয়ে কাজ করা হয়।

ওয়েট ন্যানোটেকনোলজিতে সাধারণত বিভিন্ন জৈব বস্তুর যেমন ইঞ্জাইম মেমব্রেন বিষয়ে কাজ করা হয়। এবং কম্পিউটেশনাল ন্যানো টেকোলোজিতে বিভিন্ন ন্যানো কম্পোনেন্ট কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মডেল এবং জটিল ন্যানোমিটার ডিসাইন ,গঠন এর উপর কাজ করা হয়।

ন্যানোটেকনোলজি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে

ন্যানোটেকনোলজি সাধারণ নিচের বিষয়গুলোর উপরে বর্তমানে আমাদের উপকারে আসে।

টেকনোলজি ক্ষেত্রে

মাইক্রোচিপ বানানোর জন্য বর্তমানে যে সিলিকন চিপ ব্যবহার করা হয় এর বিষয়ে বর্তমানে পড়াশোনা করা হচ্ছে কিভাবে ন্যানোটেকনোলজি এর মাধ্যমে অনেক ছোট হালকা চিপ এ রূপান্তর করা যায় এবং এছাড়াও ফ্লেক্সিবল টাচস্ক্রিন তৈরির জন্য এই ন্যানোটেকনোলজি বর্তমানে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে।

শক্তি ক্ষেত্রে প্রয়োগ

বিভিন্ন সোলার প্যানেল এর ক্ষেত্রে বর্তমানে এই ন্যানোটেকনোলজি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহারের ফলে থার্মাল ইনসুলেশন অনেক বেড়ে যায় এবং এটি এনার্জি সেভ করার জন্য অনেক সাহায্য করে তাই বর্তমানে সৌর প্যানেলের জন্য সেমিকন্ডাক্টর এই ন্যানোটেকনোলজি উপরে করে তৈরি করা হচ্ছে।

বায়ো মেডিসিন

ন্যানোটেকনোলজি বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগ যেমন ক্যান্সার এর ক্ষেত্রেও অনেক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রয়োগের মাধ্যমে দেখা গেছে ক্যান্সার কোষ গুলিকে বিশেষভাবে শনাক্ত করে শুধুমাত্র তাদেরই নষ্ট করার ক্ষমতা ধরে। এছাড়াও বিভিন্ন ন্যানো পার্টিকেল বিভিন্ন ফার্মাসিটিক্যাল প্রডাক্ট এর গুনাগুন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক কাজে লাগছে বিশেষ ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন তৈরীর জন্য আজ বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়

পরিবেশ ক্ষেত্রে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার বর্তমানে ওয়াটার পিউরিফিকেশন এর কাজের জন্য এই ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ন্যানোফিল্টার সিস্টেম ব্যবহার করা হয় যেগুলো ক্ষতিকারক রাসায়নিক হেভি মেটাল ফিল্টার করে পরিবেশবান্ধব হিসেবে প্রক্রিয়া করতে সক্ষম।

খাদ্যে ব্যাবহার

ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার বর্তমান ক্ষেত্রে ন্যানো বায়ো সেন্সর বিভিন্ন খাদ্যের মধ্যে থাকা প্যাথোজেন গুলিকে সহজেই খুঁজে বার করতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের খাদ্যের গুনাগুন অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং এটি পরবর্তীকালে অন্য প্যাথোজেন বা ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের খাদ্যকে অনেকক্ষণ ধরে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে বিশেষ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য জন্য এই ন্যানোটেকনোলজি বর্তমানে অনেক ব্যবহার হচ্ছে।

বস্ত্র ক্ষেত্রে

ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার বর্তমান কাতার অবদান বাড়িয়ে দিয়েছে আজকাল ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করার ফলে স্মার্ট ফেব্রিক তৈরি হচ্ছি সহজে মুছে যায় না এবং অনেকদিন পর্যন্ত টেক এছাড়াও এই ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন মোটর সাইকেলের হেলমেট এবং sports-equipment তৈরি হচ্ছে।

ন্যানোটেকনোলজি ভবিষ্যৎ

ন্যানোটেকনোলজির ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল খাদ্য থেকে শুরু করে সবচেয়ে কেনিয়া টেকনোলজি বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং টেকনোলজি অনুচ্ছেদে এটি আরও ব্যবহার হবে একটি হিসেব অনুযায়ী ব্রাজিল এবং জার্মানি 2024 নাগাদ এই নদীতে শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে এর পরেই থাকবে জাপান চায়না সাউথ কোরিয়া ভারত তাইওয়ান এবং মালয়েশিয়া তাছাড়াও ন্যানোটেকনোলজি কে অনেকে ভবিষ্যতের কসমেটিক সেক্টরের জন্য একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা বলে মনে করছেন।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।