কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়? বাংলা না ইংরেজিতে ব্লগিং কোনটাতে করা ভালো

কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়

Last Updated on: 18th সেপ্টেম্বর 2022, 02:48 অপরাহ্ন

কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়? ব্লগিং কিভাবে শিখব? যারা মূলত ব্লগিং করতে আসেন তাদের মনে এই প্রশ্ন সব সময় থাকে ইংরেজিতে ব্লগিং করলে ভালো হবে না বাংলায় ব্লগিং করলে ভালো হবে? ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়? 

তো এক্ষেত্রে আমাদের জেনে রাখা দরকার বগের মূলকথা হলো আপনি আপনার বক্তব্যকে আপনার অডিয়েন্সের কাছে কিভাবে তুলে দিচ্ছেন এবং কত স্পষ্ট ভাবে বোঝাতে পারছেন ।

তো আমার সাজেশন হবে যদি আপনি বাংলা ভাষার মানুষ হন এবং বাংলা আমার মাতৃভাষা হয় তু শুরুতে আমি আপনাকে বাংলাতে ব্লগিং করতে বলবো বাংলাতে ব্লগিং করতে।

কিভাবে বাংলা ব্লগার হবো?

বাংলাতে ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কয়েকটি নিয়ম মনে রাখতে হবে।

বাংলা যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা এবং শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা , বিহারের কিছু জেলাতে এবং বিশ্বের আরো দু-একটি প্রান্তের শুধুমাত্র ব্যবহার হয় ,তাই যদি আপনি বাংলায় ব্লগিং শুরু করেন তো আপনার অডিয়েন্স সংখ্যা তুলনায় অনেক কমাবে কম হবে ।

কিন্তু এর থেকে এটা মনে করার কোন কারণ নেই বাংলায় ব্লগিং করে সফল হওয়া সম্ভব নয় ।

যদিও বাংলায় অডিয়েন্স সংখ্যা ইংরেজি তুলনায় কম কিন্তু বাংলায় সাবলীল হলে বাংলায় আপনার আর্টিকেল অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন ।

বাংলায় ব্লগিং করার আরেকটি প্রধান কারণ হলো বাংলায় যেমন প্রতিযোগিতা নেই বাংলায় ভালো কন্টেন্টের সংখ্যা হাতে গোনা যে কয়েকজন বাংলা ব্লগার রয়েছেন তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষ ব্লগিং কে সিরিয়াসলি নেন ।

এইজন্য তুলনামূলকভাবে আপনি অনেক কম সময়ে আপনার সাইটের ট্রাফিক ভালো আনতে পারবেন ।

ইংরেজিতে আপনি যদি ব্লগিং শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনার কম্পিটিশন সারা পৃথিবী জুড়ে থাকবে তাই শুরুতে ইংরেজিতে ব্লগিং করে আপনার পক্ষে সফল হওয়া সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন তো বটেই ।

তাই সাজেশন হলো আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান এবং বাংলায় সাবলীল নন তাদের বাংলায় ব্লগিং শুরু করতে পারেন ।

একইসঙ্গে ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিতে হবে ।

কারণ শুধু ব্লগিং করলেই হবে না লোকটিকে গুগলের প্রথম পাওয়া যাবে আনতে হবে অক গুগোল সার্চ ইঞ্জিনে ভালো রাঙ্কিং পেতে গেলে আপনাকে  SEO অনেকটা সাহায্য করবে ।

কয়েকটি আর্টিকেলে আমি SEO সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি তাই আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি দেখে নিতে পারবেন ।

ওই আর্টিকেলে ডিজিটাল মার্কেটিং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন ।

আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনি মূলত ভারত-বাংলাদেশ এই সমস্ত দেশ থেকে পেজ পাবেন বেশিরভাগ ট্রাফিক পাবেন ।

এখন আপনি যদি সম্পর্কে অবহিত হন তাহলে আপনি জানবেন ভারত বাংলাদেশে এই সমস্ত দেশ থেকে আসা সিপিসি অনেক কম হয় তবে কাজ করতে দেখা গেছে আপনার কনটেন্ট যদি ভালো হয় এবং আপনি যদি সঠিক কেউ নির্বাচন করেন তো অনেক ক্ষেত্রেই সিপিসি ইংরেজি ব্লগের মতই হয় ।

উদাহরণস্বরূপ https://banglatech.info/ এই সাইটটি কথা বলা যেতে পারে এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় টেক ব্লগ এই টি তে দৈনিক ২০০০ থেকে ৩০০০ জন ভিজিটর আসে এবং এই ব্লগটির সিপিসি যদি আপনি দেখেন তাহলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন এই ব্লগ বিসিপিসি কোন অংশে ইংরেজি ব্লগ এর তুলনায় কম নয় এবং এর থেকে এর মাসিক আয় প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার হয় ।

এছাড়াও আলাদা তাকে আমি HabibBlog .com এর কথা বলতে চাই.এটিও বাংলাদেশ এর একটু দারুন টেক ব্লগ। এই ব্লগটি তেওঁ ঝুব ভালো সংখ্যক ভিসিটর আসে।

তাই আপনি যদি ভালো কনটেন্ট লিখেন বিস্তারিত কনটেন্ট লেখেন ,তাহলে বাংলা ব্লগ থেকে আপনিও ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন ।বর্তমানে গুগোল বাংলা সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তাই আপনি যদি বাংলায় লগইন করেন ব্লগিং করেন তাহলে আপনিও সহজেই গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ভালো আয় করতে পারবেন ।

আরো পড়ুন :ডার্ক ওয়েব কি আর ডার্ক ওয়েব লিংক এর কিছু লিংক

অন্যান্য মনিটাইজেশন পদ্ধতির ব্যাপারে গুগল এডসেন্স ছাড়াও আপনি অন্যান্য এড নেটওয়ার্ক  Propellerএডস,ইনফো লিংক ইত্যাদি ব্যবহার করেও সহজে আয় করতে পারবেন ।

তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি যদি ব্লগিং কি কে আপনার হিসেবে গড়ে তুলতে চান তবে আপনাকে যথেষ্ট ধৈর্যশীল হতে হবে ।

ব্লগিং একদিনে শেখা যায় না ব্লগিং শিখতে গেলে দীর্ঘ সময় লাগে তাই আপনাকে এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা এবং যত্নবান হতে হবে ।

প্রথম দিন থেকেই যদি আপনি উপার্জনের লক্ষ্যে ব্লগিং শুরু করেন সে ক্ষেত্রে আপনি বেশিদূর এগোতে পারবেন না কারণ ব্লগেই ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আপনার উপযুক্ত অডিয়েন্স পেতে হবে, ট্রাফিক পেতে হবে নইলে আপনার উপার্জনের কোন পথ থাকবে না।

ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিষয় নির্বাচন করা আপনি যে বিষয়ে দক্ষ যে বিষয়ে আপনার লিখতে ভালো লাগে সেই বিষয় প্রক্রিয়া শুরু করুন ।

এক্ষেত্রে কি সুবিধা হল ব্লগের জন্য আপনাকে তখন আর করতে হবে না কষ্ট করতে হবে না ভাল কনটেন্ট আপনি নিজে থেকে লিখতে পারবেন আপনি ভাল কনটেন্ট নিয়মিত হবে লিখতে থাকেন তাহলে সহজেই আপনি ভালো ট্রাফিক পাবেন ।

আরো পড়ুন :১০টি সেরা ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ apps

এ ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার যে আমরা সকলেই সার্চইঞ্জিন বলতে শুধু গুগলকে মনে করি কিন্তু ছাড়াও ভালো সার্চইঞ্জিন  রয়েছে  যেমন মাইক্রোসফট বিগ বিং, ইয়াহু, ইয়ান্ডেক্স ।

তাই গুগলের সাথে সাথে আপনি যদি এই সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্লগ দিকে সাবমিট করেন সে ক্ষেত্রে আপনি থেকে অনেক এগিয়ে থাকবেন এই সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে আসার ট্রাফিক অর্গানিক ট্রাফিক হিসেবে বিবেচিত হয়।

আর আপনার ব্লগে যত অর্গানিক ট্রাফিক থাকবে ততই আপনার ইনকাম বাড়বে ।

আরো পড়ুন:৯টি জনপ্রিয় ব্লগ সাইট

মনে রাখবেন সোশ্যাল শেয়ারিং এর থেকেও অনেক ট্রাফিক পেতে পারেন কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আসা ট্রাফিকের আয় অর্গানিক এর মত এত বেশি হয় না তাই আপনাকে মনে রাখতে হবে ব্লগিং-এ ভালো কিছু করতে গেলে আপনাকে ভালো অর্গানিক ট্রাফিক পেতে হবে আর ভালো অর্গানিক পাওয়ার জন্য আপনাকে ভাল কনটেন্ট লিখতে হবে ।

নিয়মিত ভাল কনটেন্ট মানে কি ভালো কোনটির মানে শুধুই লম্বা কনটেন্ট নয় ভাল কনটেন্ট মানে সেই কনটেন্ট পড়ে যেন অডিয়েন্স খুশি হয় ।

আপনি আপনার সাইটে কনটেন্ট এমনভাবে লিখবেন যাতে করে সহজেই আপনার সাইটে আসার ভিজিটর তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পায় তাকে আর অন্য কোথাও যেতে হয় না ।

এক্ষেত্রে আপনার সুবিধা হবে দুটি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের বাউন্স রেট কমবে আর আপনার ব্লগের এনগেজমেন্ট বাড়বে এই দুটি বাড়ার কারণে গুগোল আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের অনেক উপরের দিকে রাখবে ।

আরো পড়ুন:গুগল এনালাইটিক্স কি এবং কিভাবে আমরা গুগল এনালাইটিক্স ব্যবহার করব 

কারণ গুগোল মনে করে ইউজার খুশি থাকে তাহলে সেই কোনটি হল সর্বোত্তম তাই এই জিনিসটি আপনার সর্বদা মনে রাখা উচিত ।

ভাল কনটেন্ট লেখার সাথে সাথে আপনাকে কিছু ভালো ব্যাকলিংক করতে হবে আপনি যদি মাসে তিন থেকে চারটি ভালো গ্যাস পোস্ট করেন আপনার এই ভালবেট লীগের সমস্যা মিটে যাবে ।

আপনাকে আপনার ব্লগটিকে আর অন্য কোথাও সাবমিট করতে হবে না আমার আরেকটি সাজেশন হলো ফেসবুকে ভালো বাংলা ব্লগিংয়ের গ্রুপ জয়েন করা ।

এই সমস্ত গ্রুপে অনেক ভালো ভালো বাংলা ব্লগার থাকে যারা আপনাকে ভালো ব্যাকলিংক এবং অন্যান্য উপায়ে সাহায্য করতে পারে ।

মনে রাখবেন ব্লগিংয়ে একে অপরকে সাহায্য করলে খুব দ্রুত উন্নতি করা যায় তাই একই সাথে অপরের সহযোগিতা করা ।এই সহযোগিতার মানে শুধু ব্যাকলিংক এক্সচেঞ্জ নয় ।এই সহযোগিতার মানে পরস্পর পরস্পরকে বিভিন্ন উপায় যেমন উদাহরণস্বরূপ ,বলা যেতে পারে আপনার ব্লগ পোস্টের বিষয় কি হতে পারে সিটি আপনি অন্যান্য ব্লগারদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করতে পারি ।

এরপর আপনারা কন্টেন গুলিকে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করেন সে ক্ষেত্রে আপনারা দুজনেই উপকৃত হবেন।

যেহেতু বাংলা ব্লগে ক্ষেত্রে ভালো ব্লগারদের সংখ্যা কম তাই আপনি যদি ভাল লিখতে পারেন আপনি সহজেই গুগলের চোখে পড়ে যাবে যাবেন ।

তাই বাংলায় ব্লগিং শুরু করলে আমার মধ্যেই আপনি কোন ভুল করবেন না ।

আমি আরো একটি সাজেশন দেব আপনি বাংলার আপনার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলুন যাতে আপনি আপনার ব্লগ পোষ্ট গুলি কে ভিডিও আকারে শেয়ার করতে পারবেন ।

তাতে আপনার সুবিধা হবে অনেক ।আজকাল মানুষ ভিডিও দেখতে খুব ভালোবাসে বলাই ভালো ব্লগিং এর ভিডিও যদি আপনি নিতে পারেন তাহলে সহজেই আপনি ভালো সংখ্যার সাবস্ক্রাইবার পেয়ে যাবে যাবেন ।

আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি ও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে সেক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব থেকেও বিকল্প আয়ের রাস্তা পেয়ে যাবেন আর আপনার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার রা আপনার ব্লগের নিয়মিত ভিজিটর হয়ে যাবে ।

শুরু করার প্রথম দিন থেকেই আপনি ব্লগে ইমেইল কাপচার ফর্ম লাগিয়ে দিন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ যদি ওয়ার্ডপ্রেসে হয়ে থাকে তাহলে আপনি সহজেই বিভিন্ন প্লাগইন যেমন Contact form ফর্ম 7 ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাগিন এর সাহায্যে ইমেইল পেয়ে যাবেন ।

এই সমস্ত ইমেইল গুলি কে পরে আপনি ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়ারের সাহায্যে ইমেইল পাঠিয়ে আপনি অতিরিক্ত ভিসিটর নিতে পারবেন ।

এই ইমেইল থেকে আসা বেশি তাঁর আপনার ওয়েবসাইটের ওকে খুবই কার্যকরী হবে যখন আপনি কোন ব্লগ পোস্ট করবেন, ইমেইলের মাধ্যমে এই সমস্ত সাবস্ক্রাইবারদের আপনার ব্লগ পোস্টটিকে পাঠিয়ে দিতে পারেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্লগে রিটার্নিং ভিজিটর পেয়ে যাবেন ।

এটি ব্লগিং ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী এছাড়াও আরেকটি কথা বলি বাংলায় বব্লগিং ক্ষেত্রে   কীওয়ার্ড নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এখানে আপনি ইংরেজির মত অনেক বেশি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল পাবেন না তবে আপনি গুগলের ফ্রী কীওয়ার্ড পেয়ার এর সাহায্যে আপনার বাংলার কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন আপনাকে শুধু একটু বুদ্ধি করেগুগোল ইনপুট টুল ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে ।

গুগোল ইনপুট টুলস থেকে আপনার বাংলা কিবোর্ড কিওয়ার্ড টি আপনি যদি গুগোল কীওয়র্দ প্লানার লিখেন তাহলে আপনি সহজেই ভালো ভালো কোন কম্পিটিশনের কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন এবং আপনি সহজেই তার থেকে মাসে ভালো Visitor পেতে পারবেন ।

কিওয়ার্ড পাওয়ার পর আপনি সঠিক অনপেজ এসইও এর মাধ্যমে কীওয়ার্ডগুলি সঠিকভাবে আর্টিকেলের টাইটেলে, মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করবেন ।

মনে রাখবেন আপনি আপনার আর্টিকেলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি কোনভাবেই তিন থেকে পাঁচ শতাংশের বেশি দেবেন না ।

বেশিবার আপনি যদি কী-ওয়ার্ডটি ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে গুগোল আপনার আর্টিকেল তাকে ব্যান করে দিতে পারে তাই সতর্ক হয়ে আর্টিকেল লিখুন ।

আর্টিকেল লেখার সময় আপনি একটি ভালো ছবি ব্যবহার করবেন যেটি ফিচার্ড ইমেজ বলা হয় ।

এর জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন ফ্রী ইমেজ এডিটিং  টুল যেমন ক্যানভা পেয়ে যাবেন ।

আপনি ইচ্ছে মত ভালো ইমেজ ডিজাইন করে আপনার ব্লগে দিতে পারবেন মনে রাখবেন ইমেজ যদি আপনি আপনার ব্লগে দিতে পারেন ।

সে ক্ষেত্রে ভালো ইমেজ থেকেও আপনি অভিজ্ঞ ট্রাফিক পেতে পারেন ।কারণ প্রতিদিনই বহু লোক গুগলে ইমেজ সার্চ করে সেই ইমেজ থেকে আপনি কর্তৃত্ব ট্রাফিক পেতে পারেন ।

বাংলায় পাওয়া ভালো ইমেজ তো অনেক কম তাই আপনি যদি আপনার ইমেজের অল টেক্সটে আপনার বাংলা কিবোর্ড লিখে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি সহজেই গুগোল ইমেজ   রেঙ্ক করতে পারবেন।

ব্যাকলিংক কোথায় কি ভাবে করবেন ,ব্যাকলিংক করার নিয়ম যেমন আমি আগেই বললাম গেস্ট পোস্ট ।

এই গেস্ট পোস্ট এর ক্ষেত্রে ক্ আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে ।

আপনি কখনোই মাসে তিন থেকে চারটির বেশি গেস্ট পোস্ট করবেন না ।

কারণ সেক্ষেত্রে গুগল সন্দেহের চোখে দেখবে এবং আপনি যদি মাসে অতিরিক্ত পরিমাণ গেস্ট পোস্ট করেন সে ক্ষেত্রে গুগল আপনাকে লিংক ম্যানিপুলেশনের জন্য পেনাল্টি দিতে পারে ।

তাই সতর্ক হয়ে গেস্ট পোস্ট করুন ।

আপনি মনে রাখবেন এঙ্কর টেক্সট সব সময় যেন স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করা হয় কখনোই একটি কিবোর্ড এর উপর বেশি গ্যাস পোস্ট লিখবেন না ।

Anchor টেক্সট এর ক্ষেত্রে সবসময় আপনার brand-name কোন কোন সময় আপনার লং টেইল কীওয়ার্ড কোন কোন সময় আপনার ইউআরএল এই হিসেবে ইউজ করবেন তাতে গুগলের চোখে আপনার গ্যাস পোস্টটি স্বাভাবিকভাবে অভিজিৎ বিবেচিত হবে ।

গুগোল স্বাভাবিক লিংক খুব পছন্দ করে ।

গুগল ২০০ টি এর উপর ফ্যাক্টর এর এর উপর তার রেংকিং দেয় তার মধ্যে স্বাভাবিক ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।

ব্যাকলিংক ক্ষেত্রে কিন্তু কিন্তু নিয়ম সব সময় এক। আপনি কোন ভাষা তে ব্লগ্গিং করছেন এতো বিবেচ্য নয়। বাংলায় ব্লগ্গিংকরছেন বলে যে আপনার ক্ষেত্রে অনিয়ম খাটবে তা কিন্তু নয় ।

ভালো ব্যাকলিংক করলে আপনার সাইটের রাঙ্কিং একদিন বৃদ্ধি পাবে কিন্তু একই সময় আপনি যদি খারাপ ব্যাকলিংক করেন সেক্ষেত্রে আপনার সাইটের ক্ষতি হতে পারে ।

তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন বাংলায় ব্লগ্গিং করলে আরেকটি সুবিধা হল আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্লগে সহজেই আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে পারবেন আর যেহেতু আপনি বাংলায় ব্লগ্গিং করছেন সেক্ষেত্রে আপনার দেওয়া প্রডাক্ট বা সার্ভিস গুলি আপনার বাংলা অডিয়েন্স সহজেই বুঝতে পারবে এবং তার থেকে আপনার একটি ভালো রকম আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে ।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্লগার Adsenseছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছে ।

এর একটি মূল কারণ হলো এডসেন্সের থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আয় অনেক বেশি কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেয় যা আপনার গুগল অ্যাডসেন্সের আয় দ্বিগুণ কারণ হতে পারে বা চার গুণ হতে পারে।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে একই নিয়ম আপনার কনটেন্টকে যথেষ্ট পরিমাণে ভালো হতে হবে আর আপনাকে আপনার অডিয়েন্সের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল কথা হলো বিশ্বাস যোগ্যতা আপনি যদি আপনার অডিয়েন্সকে কোন খারাপ প্রোডাক্টের কেনার কথা বলেন সে ক্ষেত্রে ক্ষতি কিন্তু আপনার আপনার অডিয়েন্সের বিশ্বাস আপনার থেকে চলে যাবে এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট ইনকাম পরবর্তীকালে অনেক কম হয়ে যাবে ।

তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে প্রোডাক্টটি আপনি  Rcommend করছেন সেটি
আসলেই ভাল মানের হতে হবে ।

তবেই আপনি অ্যাপেলের মার্কিন থেকে খুবই ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।

বাংলায় ব্লগিংকরার আরেকটি সুবিধা হল আপনি যেহেতু বাংলায় লিখছেন আপনি লোকাল মার্কেট এর কিছু স্পন্সার এড পেতে পারে সরাসরি পেতে পারেন ।

স্পনসর্ড আমি বলতে আয় বলতে আমি বলতে চাইছি স্পনসর্ড পোস্ট কিংবা স্পনসর্ড ব্যানার এক্ষেত্রে একটি ফিক্সট মাসিক ফি এর পরিবর্তে আপনি আপনার ব্লগে স্পন্সর পোস্ট কিংবা স্পনসর্ড ব্যানার পোস্ট করে আপনি ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন ।

বাংলায় ব্লগিং করে যে আয় একদমই সম্ভব নয় সেটা কিন্তু নয় ।আপনি যদি টেকটিউনস সাইটটিতে যান আপনি দেখতে পাবেন সাইটটিতে বিপুল পরিমাণে স্পন্সর অ্যাড আর ব্যানার এড রয়েছে তার থেকে সাইটটি প্রতিমাসে প্রচুর উপার্জন করে ।

এ কারন কিন্তু একটাই সাইটটিতে যথেষ্ট পরিমাণে ভালোকনটেন্ট রয়েছে এবং সাইটটি যথেষ্ট পরিমাণ জনপ্রিয় তাই বাংলা সাইটেও আয় অনেক ইংরেজি ব্লগ এর থেকেও বেশি ।

তাই বাংলায় ব্লগিং করলে যে আয় করা সম্ভব নয় তা কিন্তু নয় ।বাংলায় ব্লগিং করেও আপনি অর্থ যশ খ্যাতি তিনটি পেতে পারেন যদি আপনার পরিশ্রম করার ক্ষমতা , ভালো ধৈর্য থাকে ।

আশা করি আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারলেন বাংলায় ব্লগিং করা সঠিক হবে কিনা ।

এরপরেও যদি আপনাদের বাংলায় ব্লগিং এ সংক্রান্ত আরো কিছু প্রশ্ন থাকে তাহলে সহজেই আপনি কোন সময় আমাদের ইমেইল আইডিতে যোগাযোগ করতে পারেন ।

আর যদি আপনার কিছু কমেন্ট করার থাকে নিচে দেয়া কমেন্ট বক্সে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা আপনাকে সাহায্য করে খুবই আনন্দিত বোধ করব ।

ধন্যবাদ।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।