গুগল ড্রাইভ কি?গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যবহার করব?

গুগল ড্রাইভ কি

Last Updated on: 28th ফেব্রুয়ারি 2021, 08:34 পূর্বাহ্ন

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা গুগল ড্রাইভ কি, গুগল ড্রাইভ আমরা কিভাবে ব্যবহার করব ,গুগল ড্রাইভ এর কাজ কি ,গুগল ড্রাইভ এর সুবিধা অসুবিধা এবং গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার নিয়ম সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করবো।

তো আসুন শুরু করা যাক অনেকেই গুগল ড্রাইভের নাম শুনে থাকবেন তবে গুগল ড্রাইভ এর নাম শুনে থাকলেও আমরা গুগোল ড্রাইভ কে অনেকেই খুব ভালভাবে চিনি না গুগল ড্রাইভে ফাইল স্টোর করা ছাড়াও এর যে আরও বিভিন্ন রকম ব্যাবহার কাছে রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে আমাদের বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন সময় খুব কাজে দেয়। বাজারে অনান্য অনলে ডাটা স্টোরেজ সার্ভিস থাকলেও গুগল ড্রাইভ এর নানা বৈশিষ্ট্য এর জন্য অনেক জনপ্রিয়।

গুগল ড্রাইভ কি ?

গুগোল ড্রাইভ মূলত গুগলের একটি অনলাইন ক্লাউড ফাইল স্টোরেজ এবং ডাটা সিংক্রোনাইজেশন সার্ভিস যেটি গুগোল ২০১২ সালের ২৪শে এপ্রিল লঞ্চ করেছিল।

গুগল ড্রাইভ এর কাজ কি ?

গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করে আমরা গুগলের এর সার্ভার এ বিভিন্ন রকম ফাইল স্টোর করতে পারি এই ফাইলগুলি আমরা পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারি অন্য ইউজারদের সাথে। গুগোল ড্রাইভ ব্যাবহার করার জন্য গুগোল ড্রাইভ ওয়েবসাইটের সাথে গুগোল ড্রাইভ অ্যাপ রয়েছে যেগুলো এন্ড্রোয়েড ,উইন্ডোজ এবং iOS সাথে কাজ করতে সক্ষম।

গুগোল ড্রাইভ এর মধ্যে রয়েছে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় গুগোল ডকস, গুগোল সীটস যেগুলো মূলত আমরা ডকুমেন্ট প্রসেসিইং ও অফিস এর বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি। বর্তমানে গুগোল ড্রাইভ বিনামূল্যে ১৫ জিবি স্টোরেজঃ প্রদান করে।

এছাড়াও আপনি চাইলে গুগোল ওয়ান প্ল্যান এর মাধ্যমে ১০০ জিবি, ২০০জিবি, ২ TB, ১০ TB, ২০ TB, and ৩০ TB পর্যন্ত গুগল এর পেইড প্ল্যান এ স্টোরেজ ব্যাবহার করতে পারেন। অনেকে আবার গুগল ড্রাইভ আনলিমিটেড স্টোরেজ এর কথা ভাবেন।তবে তাদের জন্য বলতে হয় গুগল ড্রাইভ আনলিমিটেড স্টোরেজ এখনো পর্যন্ত সম্ভব নয়।গুগল ড্রাইভ এ আপনি একটি ফাইল এর সাইজও হিসাবে সর্বোচ্চ ১৫ TB পর্যন্ত ফাইল আপলোড করে রাখতে পারেন। তাই বড়ো ফাইল আপলোড এর ক্ষেত্রে আপনার কোনো অসুবিধা হয় না যদি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন সাপের ভালো থাকে।

অনলাইন স্টোরেজ ছাড়াও গুগল ড্রাইভে আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এর ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝার ক্ষমতা এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যাবহার। আজকাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং ডাটা এনালাইসিস থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েসেহে আর তাই এর পক্কে গুগল ড্রাইভেও পিছিয়ে নেই। গুগল আজকাল তার নানা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যেমন গুগল এনালিটিক্স,গুগল সার্চ সব ক্ষেত্রেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যাবহার করছে।

আপনি যদি গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনি সহজেই ভয়েস কম্যান্ড কিম্বা ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ কোয়েরি ব্যবহার করে কথ্য ভাষায় আপনার ফাইল এবং ফোল্ডার কি খুঁজে দিতে পারবেন।

২০১৮ এর উইকিপিডিয়া এর হিসাব অনুযায়ী গুগল ড্রাইভের প্রায় ১ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ ইউজার রয়েছে তাই গুগলের এর অন্য সার্ভিস এর মধ্যে গুগোল ড্রাইভ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সার্ভিস।

এবার আসুন গুগল ড্রাইভ এর ব্যাবহার এর কিছু সুবিধা সম্পর্কের আলোচনা করে নি।

গুগল ড্রাইভ এর ব্যাবহার এর কিছু সুবিধা

১.সহজ ইন্টারফেস

গুগল ড্রাইভের ব্যাবহার এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এর সহক ইউসার ইন্টারফেস। সহজ ইন্টারফেস ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি নতুন ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারবেন বিভিন্ন ফোল্ডার তৈরি করতে পারবেন এবং ফোল্ডারের মধ্যে থাকা ডকুমেন্টগুলি আপনি চাইলেই একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারেন।তাই আপনার কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকলেই আপনি সোহকেই গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করতে পারবেন।

.মাইক্রোসফট অফিসের ডকুমেন্ট সাপোর্ট ও কনভার্সন

দৈনন্দিন কাজের জন্য আমরা প্রায় প্রত্যেকই মাইক্রোসফট অফিসের বাহার করে থাকি। এছাড়াও স্কুল কলজে ,ছোট বোরো দোকান ও কম্পিউটার অনেকেই মাইক্রোসফট অফিসে কাজ করে।

বিভিন্ন ডকুমেন্ট ক্রিয়েশন এর কাজের জন্য অফলাইনে মাইক্রোসফট অফিস খুবই জনপ্রিয় কিন্তু আপনার যদি গুগল ড্রাইভে করে থাকেন তো আপনারা সহজেই এই মাইক্রোসফট অফিসে থাকা ওয়ার্ড, এক্সেল ডকুমেন্ট গুলিকে গুগল ড্রাইভে খুলতে পারবেন এবং আপনাদের গুগল ড্রাইভে থাকা ফাইল এবং ডকুমেন্টগুলি যে আমরা সহজেই ইচ্ছা করলে মাইক্রোসফট অফিসের ফরম্যাটে কনভার্ট করে তাই আপনার দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যাবহার করতে পারবেন। আপনি মাইক্রোসফট অফিসের সাহায্যে গুগোল ড্রাইভ কে খুবই সুন্দরভাবে সংযোগ করে কাজ করতে পারবেন।

৩.ডকুমেন্ট শেয়ারিং ও কোলাবোরেশন

ডকুমেন্ট শেয়ারিং ও কোলাবোরেশন গুগল ড্রাইভ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা। গুগোল ড্রাইভ এর মধ্যে আপনার যদি কোন ডকুমেন্ট তৈরি করেন তবে এর সুন্দর শেয়ারিং এবং কাস্টমাইজ লিংক এর সাহায্যে আপনারা আপনাদের ডকুমেন্টগুলি সকলের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

এখন মনে করুন আপনি কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টে কাজ করছেন আপনি আপনার সহকর্মীদের সাথে শেয়ার করতে চান কিন্তু আপনি চান যে ওই ডকুমেন্টগুলো তারা পড়তে পারবে কিন্তু কোন এডিট বা বদলাতে পারবে না সে ক্ষেত্রে সহজেই আপনারা কাস্টম লিংক শেয়ারিং অপশনে গিয়ে পারমিশন পরিবর্তন করে ওই ফাইলটিকে শুধু Readable করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার শেয়ার করা ফাইলটি শুধু আপনার প্রাপকরা পড়তে পারবে কিন্তু কোনো পরিবর্তন করতে পারেন না আপনার যদি চান যে পড়া সঙ্গে সঙ্গে ডকুমেন্ট এর পরিবর্তন করা হোক তার জন্য আপনারা ডকুমেন্ট এর পারমিশন এ গিয়ে EDIT পারমিশন যুক্ত করে দিলেই আপনার ডকুমেন্টে Editable হয়ে যাবে। দারুন ব্যাপার তাই না?

৪. হরেক ফরমেট এর ফাইল স্টোর বা জমা রাখার সুবিধা

ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ছাড়াও বিভিন্ন ফরমেট এর ফাইল যেমন পিডিএফ ,ফটো,ভিডিও স্টোর করে রাখতে পারবেন গুগোল ড্রাইভ এর মধ্যে যেগুলি আপনি আপনার প্রয়োজন মতো আপনি ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারবেন।একাহার ইমেইল এ আসা কোনো এটাচমেন্ট আপনি চাইলে সরাসরি গুগল ড্রাইভ এ রাখতে পারেন।

৫.সর্বোচ্চ মানের SSL সিকিউরিটি

গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করা কি নিরাপদ? অনেকেই এই প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের জন্য বলি গুগল তার অন্য পরিষেবার মতো গুগল ড্রাইভ এর জন্য সর্বোচ্চ মানের সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা ব্যাবহার করে থাকে।

আপনি যখন গুগল ড্রাইভে ফাইল আপলোড করেন, সেগুলি গুগলের সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হয়। গুগল ড্রাইভ ড্রাইভে সকল থাকা ডেটা এবং ড্রাইভে এবং ট্রানজিটে ডেটা এনক্রিপ্ট করে।

গুগল ড্রাইভে থাকা ডেটা এনক্রিপ্ট করার জন্য গুগল ১২৮-বিট বা ২৫৬-বিট AES keys (স্টোরেজ ডিভাইসের ধরণের উপর নির্ভর করে) ব্যবহার করে যা গুগল ড্রাইভে সঞ্চিত ডেটার গোপনীয়তা রক্ষা করতে সহায়তা করে।

তাই আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন আছে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার নিরাপদ কিনা সে ক্ষেত্রে একটি উত্তর হলো যথেষ্ট নিরাপদ।

গুগল ড্রাইভ আমরা কিভাবে ব্যবহার করব?

গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যবহার করবেন এবার আসি সেই সম্পর্কে। গুগোল ড্রাইভ যদি আপনারা ব্যবহার করতে চান তবে আপনাদের হাতে দুইটি উপায় কাছে। একটি গুগোল ড্রাইভ অনলাইন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে, অপরটি গুগোল ড্রাইভ মোবাইল অ্যাপস।

গুগোল ড্রাইভ যদি আপনার মোবাইলে ব্যাবহার করতে চান তবে গুগোল ড্রাইভ মোবাইল অ্যাপস আপনার জন্য আদর্শ। উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েড আইওএস সমস্ত জনপ্রিয় মোবাইল ভার্সন এর জন্য গুগোল ড্রাইভ অ্যাপ আপনি ব্যবহার করতে পারেন আর আপনি যদি ডেক্সটপ কম্পিউটার বুক ইনভার্টার ব্যবহার করেনতো সেক্ষেত্রে আপনার গুগোল ড্রাইভ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজেই আপনি গুগল ড্রাইভে সুবিধা নিতে পারেন।

গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার নিয়ম

এবার আসুন আমরা আলোচনা করি গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা অনেকেই ভালোবাসি ছবি তুলতে।কিন্তু ছবি তোলার পর সেগুলি আমাদের হয় মোবাইল এর ইন্টারনাল স্টোরেজ বা মেমরি কার্ড এ সেভ করে রাখতে হয়। কিন্তু এই ছবিগুলি অনেকটা জায়গায় নেয়াতে আমাদের অনেক সময় অতিরিক্ত স্টোরেজ এর দরকার হয়ে পড়ে। তাই এই সব ক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভ কিন্তু আমাদের বেশ ভালো কাজে আসতে পারে।

এবার শুরু করা যাক কিভাবে আপনারা ফটো বা ছবি গুগল ড্রাইভে জমা করে রাখবেন সেই বিষয়ে।গুগল ড্রাইভে ফটো রাখার জন্য আপনাকে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে।

আপনি যদি পিসি বা কম্পিউটার ডেস্কটপ ব্যাবহার করেন:

স্টেপ ১.প্রথমে আপনার কম্পিউটারে, drive.google.com এ যান।আপনার জিমেইল দিয়ে আপনাকে আপনার গুগোল ড্রাইভ টি লগইন করতে হবে।
স্টেপ ২ .উপরের বাম দিকে, New এবং তারপরে ফাইল আপলোড বা ফোল্ডার আপলোড ক্লিক করুন।
স্টেপ ৩. আপনি যে ইমেজ ফাইল আপলোড করতে চান তা চয়ন করুন আর আপলোড বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ ৪. আপনার ছবি গুলি আপলোড সম্পূর্ণ করুন ।

আপনি যদি গুগল ড্রাইভ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যাবহার করেন ব্যাবহার করেন:

স্টেপ ১. আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবলেটে গুগল ড্রাইভ অ্যাপ্লিকেশনটি খুলুন।
স্টেপ ২. প্লাস চিহ্নে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৩. আপনি যে ইমেজ ফাইল আপলোড করতে চান তা চয়ন করুন আর আপলোড বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ ৪. আপনার ছবি গুলি আপলোড সম্পূর্ণ করুন ।আর ড্রাইভে আপলোড করা ফাইলগুলি দেখুন।

আমি আপনার মোবাইলে গ্যালারি থেকে সমস্ত ফটোগুলি গুগল ড্রাইভে আপলোড করতে পারবেন মূলত ফটো আপলোড করা ছবি আপলোড করার নিয়ম অ্যান্ড্রয়েড এবং গুগোল ড্রাইভ ওয়েবসাইট এই ক্ষেত্রে প্রায় এক আপনারা যদি বেশি মোবাইল ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভ অ্যাপ ব্যবহার করা আপনাদের থেকে বেশি সুবিধাজনক।

ফটো আপলোড করার পর আপনি সুন্দরভাবে কোনো ফোল্ডারে আপনার ছবিগুলো অরগানাইজ করে খেতে পারেন ও পরবর্তীকালে আপনার যদি কখনো ফটোগুলি ডাউনলোড করতে হয় তো সেক্ষেত্রে আপনি তো সেই সমস্ত ফোল্ডারটিকে কিংবা কোন একটি নির্দিষ্ট ফটোতে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড অপশন থেকে এই সমস্ত ফটো গুলো ডাউনলোড করতে পারবেন।

গুগল ড্রাইভ থেকে গুগল ফটোতে ফটো এবং ভিডিও যুক্ত করবেন কি ভাবে?

আপনি চাইলে আপনার আপলোড করা ছবি আর ভিডিওগুলি গুগল ড্রাইভ থেকে গুগল ফটোস এ ট্রান্সফার করে নিতে পারেন কয়েকটি সহজ উপায়ে।

প্রথমে যে ফটোটি আপনি ট্রান্সফার করতে চান সেগুলি যেন ২৫৬ পিক্সেল এর বেশি হয়। দ্বিতীয়ত আপনার ট্রান্সফার করা ছবিগুলি যেন .jpg, .gif, .webp, .tiff, or .raw ফরমেট তে থাকে নইলে কিন্তু গুগল ফটোস এ ট্রান্সফার সম্পূর্ণ হবে না।

গুগল ড্রাইভ এর নিরাপত্তা:গুগল ড্রাইভ কি নিরাপদ?কি ভাবে গুগল গুগল ড্রাইভ কে আরো নিরাপদ ভাবে ব্যাবহার করবেন?

যদিও গুগল ড্রাইভ এর নিরাপত্তা সম্পর্কে আগেও বলেছি তবুও অনেকের মনে প্রশ্ন আছে যে গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার কতটা নিরাপদ। সম্প্রতি ফেসবুক এবং আইক্লাউড একাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার পর অনেক ব্যবহারকারীর মনে গুগল ড্রাইভেরনিরাপত্তা: সম্পর্কে যথেষ্ট প্রশ্ন জেগেছে। সরল ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় হ্যা গোগোলে ড্রাইভ অনেক নিরাপদ। গুগোল ড্রাইভ তার নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তবুও আমাদের তরফ থেকে গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

টু স্টেপ ভেরিফিকেশন ব্যাবহার:

গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করার সময় সবসময় টু স্টেপ ভেরিফিকেশন ব্যাবহার করা উচিত। গুগোল একাউন্ট লগইন করার পর সেট আপ ইওর ফোন অপশনে ব্যবহার করে আপনারা আপনাদের মোবাইল নাম্বারটি এখানে দিবেন। যার ফলে গুগল ক্লাউড বা গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করার সময় প্রতিবার আপনাদের মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে যার পরেই একমাত্র গুগোল ড্রাইভ বাহার করা যাবে। টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এনেবেল করে রাখার ফলে গুগল ড্রাইভে নিরাপত্তা আরও বেশি নিশ্চিত হবে ইটা বলাবাহুল্য।

এনক্রিপটেড ফাইল ব্যবহার :

এছাড়াও আপনারা গুগল ড্রাইভে এনক্রিপটেড ফাইল ব্যবহার করতে পারেন যে কোন ফাইল আপলোড করার আগে আপনারা এনক্রিপটেড অবস্থা যদি ফিলেগুলি গুলো আপলোড করে সেক্ষেত্রে আপনাদের ফাইলে নিরাপত্তা আরও বেশি সুনিশ্চিত হয়।

এরপর এনক্রিপশন অ্যাপ্লিকেশনস দিয়ে আপনারা ফাইলগুলিকে ডিক্রিপ্ট করে দেখার পর পুনরায় এনক্রিপ্ট করে গুগল ড্রাইভে রেখে দিলে আপনার ফাইল এর নিরাপত্তা দ্বিগুন বেড়ে যায়।

অযথা ফাইল শেয়ারিং বন্ধ করা:

ফাইল বা ফোল্ডার শেয়ার করার সময় আপনারা সতর্ক হোন। আপনার যাকে ফাইল ও ফোল্ডারের লিংক শেয়ার করছেন তা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল না হয়ে কখনোই তার সঙ্গে লিঙ্ক শেয়ার করবেন না। কাজ হয়ে যাবার পর শেয়ারিং পারমিশন প্রত্যাহার করে নেয়া দরকার।

গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার এর অসুবিধা :

এবার আসুন গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার এর কিছু অসুবিধার কথা বলি। গুগল ড্রাইভ এর অসংখ্য সুবিধার সাথে এর কিছু অসুবিধা আছে। গুগল ড্রাইভ যেহেতু একটি ফাইল স্টোরেজ সার্ভিস তাই এটি ভালোভাবে ব্যাবহার করতে গেলে ইন্টারনেট কানেকশন এর স্পিড ভালো হতে হবে.আপনার ইন্টারনেট কানেকশন এর স্পিড কম থাকলে ফাইল synchronization এ অসুবিধা হতে পারে।

ডাটা প্রাইভেসি

যদি আপনারা ডেটা প্রাইভেসি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হন তবে আপনাদের গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করার আগে কিছুটা ভাবা উচিত।কারণ গুগলের সার্ভিস ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে গুগোল এই সমস্ত ডেটা গুলিকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিচার এবং বিশ্লেষণ এর কাজে ব্যাবহার করে থাকে।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি ডাটা প্রাইভেসী সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন হন সেক্ষেত্রে আপনি গুগল ড্রাইভ এর পরিবর্তে নিজস্ব কোনো FTP সার্ভিস ব্যাবহার করতে পারেন। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকে ফেসবুকের প্রাইভেসি সংক্রান্ত যে সমস্ত আইনগুলি নানাদেশে প্রণয়ন করা হচ্ছে এই পরিপেক্ষিতে আজকাল ডাটা প্রাইভেসী সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার।

তবে গুগল যেহেতু একটি বিশ্বমানের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি তাই তার গুগল ড্রাইভ যথেষ্ট নিরাপদ আর ভালো।তাই আপনারা বেশি না ভেবে দৈনন্দিন কাজের জন্য গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করতে পারেন স্বচ্ছন্দে।

আশা করি গুগল ড্রাইভ সম্পর্কে আপনারা কিছু জানতে পারলেন। গুগল ড্রাইভ সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বাক্স এ কমেন্ট করতে ভুলবেন না আর পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে দেবেন প্লিজ।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।