Last Updated on: 28th এপ্রিল 2024, 12:57 অপরাহ্ন
হ্যালো বন্ধুরা আমাকে এই পোস্টে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইন্টারনেট আধুনিক যুগের একটি আশ্চর্য আবিষ্কার। ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট কি ,ইন্টারনেট কিভাবে শুরু হল ?
ইন্টারনেট এর আক্ষরিক অর্থ বলতে গেলে ক্রেমবিজ ডিকশনারি এর ডেফিনেশন অনুযায়ী ইন্টারনেট হলো বহুসংখ্যক যুক্ত কম্পিউটারের আভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক যেখানে সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের সমস্ত তথ্য একে অপরের সাথে তথ্য আদানপ্রদান করতে পারে। ইন্টারনেট কোন একটি ব্যক্তি বা কোম্পানির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না।
এটি মূলত একটি বিশাল গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অনেক বড় বড় অর্গানিজেশন ইন্টারনেটের বেসিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক তৈরি করে।
এক কোথাই বলতে গেলে ইন্টারনেটের একক কোন মালিক নেই। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য মানুষ এবং অসংখ্য নেটওয়ার্কই ইন্টারনেট কে নিয়ন্ত্রণ করে।
এখন আসা যাক ইন্টারনেট কিভাবে শুরু হয়েছিল সেই বিষয়ে।
সূচিপত্র
ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন ?
প্রথম ইন্টারনেট এর সূচনা হয়েছিল ১৯৬০ সালে ARPANET ( এ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি নেটওয়ার্ক ) এর হাত ধরে। এটি মূলত আমেরিকান ডিফেন্সের নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ ও একটি নেটওয়ার্ক ছিল। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়। এটি ইন্টারনেটের ইতিহাসে প্রথম পাঠানো মেসেজ।
যে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে এই মেসেজ আদান-প্রদান হয়েছিল সেটির মধ্যে একটি হল ইউএনসিএ ল্যাবের মধ্যে থাকা একটি কম্পিউটার অন্যটি ছিল স্ট্যানফোর্ডে থাকা আরেকটি কম্পিউটার। ইন্টারনেট এ প্রথম পাতাহীন মেসেজ টি ছিল ‘লগইন’ .
ইন্টারনেটের গোড়াপত্তনের যুগের পরে ১৯৭০ সালে এলসেই যুগান্তকারী আবিষ্কার।
বিজ্ঞানী রবার্ট কান এবং ভিন্ট সার্ফ আবিষ্কার করলেন টি.সি.পি / আই.পি প্রোটোকল ( ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল ) ।
টি.সি.পি / আই.পি প্রোটোকল ( ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল ) হলো আধুনিক ইন্টারনেট জগতের স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল।
ইন্টারনেট সার্ফিং কাকে বলে?
ইন্টারনেট সার্ফিং বলতে বোঝায় ব্রাউজার এর মাধ্যমে ইন্টারনেট এর নানা ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে তার নানা তথ্য যেমন লেখনী ,ছবি,ভিডিও দেখা।
আরো পড়ুন:(What is OTT) OTT কি?
এরপর ১৯৯০ সালে এলো আর এক যুগান্তকারি আবিষ্কার। বিজ্ঞানী Tim Berners-Lee যখন অনলাইন ওয়েব আবিষ্কার করলেন তখন এই ইন্টারনেটের গুরুত্ব আরো বেড়ে গেলো। ইন্টারনেট একটি প্রাইভেট নেটওয়ার্ক থেকে পাবলিক নেটওয়ার্ক এ পরিণত হলো।আমাদের মধ্যে খুলে গেল একটি অসম্ভব সম্ভাবনাময় জগত যার বর্তমান নাম world-wide-web.
সব জিনিস এর মতো ইন্টারনেটের অনেক সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। স্পাইডারম্যানের মতো বলতে গেলে ‘”With great power there must also come great responsibility” .
দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট এর ব্যাবহার সুবিধা অসুবিধা
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা:
কমিউনিকেশন এর জগতে যুগান্তকারি পরিবর্তন:
ইন্টারনেট আসার পর প্রথমত মিউনিকেশনের জগতে সমস্ত কিছু অনলাইনে কাজ শুরু হলো। ভিডিও ,ইমেইল ,অডিও কল, সমস্ত নিমেষের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেল।
যেখানে একটি বার্তা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে ইন্টারনেট এর আগে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস চলে যেত সেখানে ইন্টারনেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা পলক এর মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়।
এছাড়াও প্রতিদিন মোবাইল ফোনের উন্নতির সাথে সাথে ইন্টারনেট সব মানুষ এর হাতের মুঠো তে চলে এলো। উন্নত ৪জি বা ৫জি নেটওয়ার্ক আসার পর আজ এককথায় ইন্টারনেট ছাড়া কমিউনিকেশন এর কথা ভাবাই যাই না।
কোনো বন্ধু কে কল করতে গেলে এখন আর ISD বা STD কলিং এর জন্য আলাদা খরচ করতে হয় না বরং শুধুমাত্র ইন্টারনেট এর স্মার্ট ফোনেই সরাসরি গুগল ডুও ,স্কাইপে বা জনপ্রিয় হোয়াটস্যাপ ভিডিও কল করা যায় অনায়াসেই আমাদের ইন্টারনেট এর প্যাকেজ এর মধ্যেই কোনো অতিরিক্ত খরচ না করেই।
ইনফরমেশন বা তথ্যের অপার সম্ভার :
ইন্টারনেটে এসে যাওয়ার ফলে মানুষের কাছেই বিরাট এক ইনফরমেশন / তথ্য ভান্ডার জগত উন্মুক্ত হল।
যে কোন বিষয়ে আপনি যদি কোন তথ্য চান তো শুধু এখন আপনার একটি ক্লিকের অপেক্ষা। ইন্টারনেটে থাকা প্রসিদ্ধ সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ইয়াহু এর সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য একটি ক্লিকের মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারেন। তথ্যের এমন সহজলভ্যতা ইন্টারনেট যুগের আগে ভাবা যেত না।
এছাড়া আপনি এমন কোনো বিষয় নেই যা ইন্টারনেট এ পাবেন না। জনপ্রিয় উইকিপেডিয়া তে আপনি যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। তাছাড়া এখন গুগল তার ডাইরেক্ট সার্চ বার এই কোনো প্রশ্ন করলে তার সরাসরি উত্তর দিতে পারে কোনো ওয়েবসাইট এ নি গিয়েই গুগল ডাইরেক্ট সার্চ বা নলেজ গ্রাফ এর সাহায্য নিয়ে। এতে সময় আর অর্থ দুই বাঁচে।
তাছাড়া যেকোনো বিষয় ভালো করে বুঝতে গেলে আপনি সেই বিষয়ে ভিডিও পেয়ে যাবেন Youtube এ. তা সে রান্নার কোনো রেসিপি হোক বা সফটওয়্যার সংক্রান্ত কোনো যতীন বিষয় হোক Youtube এ আজ সকল কিছুই পাওয়া যায় একটু খুঁজলেই। Youtube এ প্রতি মিনিট এ প্রায় ৫০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড হচ্ছে তাই বুজতে পারছেন এর গুরুত্ব কতটা ?
অনলাইন লার্নিং শিক্ষা ব্যাবস্থায় ইন্টারনেট :
অনলাইন লার্নিং শিক্ষা ব্যাবস্থায় ইন্টারনেট একটি ওপর জগৎ খুলে দিয়েছে। পৃথিবীর যেকোন লাইব্রেরীর বই আপনি এখন হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন। নানা অনলাইন পোর্টাল এর মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ আজ শিক্ষার জন্য ইন্টারনেট এর উপর নির্ভর করে আছেন।
পড়াশোনা ছাড়াও অনলাইন টিচিং ও ইন্টারনেট এ একটি বিকল্প জীবিকার সন্ধান দিয়েছে। আজ আপনি বাংলাদেশ এ বসে নিউয়র্ক এর যেকোনো টিচার এর ক্লাস অনলাইন এ করতে পারেন।
এছাড়া অনলাইন লার্নিং এর জন্য অনেক দারুন দারুন এপ্লিকেশন আজকাল মোবাইল এ মানুষ ব্যাবহার করছে যেমন unacademy ,বিজুস যা বড়দের সাথে ছোটদের শিক্ষার জগৎ কে অনেক প্রসারিত করেছে। তাছাড়া রয়েছে অসংখ্য জীবিকা নির্ভর ট্রেনিং কোর্স,সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম যার মাধ্যমেও আজকাল শিক্ষা অনেক সহজলোভ্য হয়ে উঠেছে।
সরকারি তরফেও ভারতে অনলাইন লার্নিং এর উপর অনেক জোর দেয়া হচ্ছে যার ফলে অনলাইন লার্নিং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে।
RedSeer Consulting এর হিসাব অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ শুধু ভারতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর অনলাইন মার্কেট গড়ে উঠবে। তাছাড়া একটিভ ইন্টারনেট ব্যাবহারকারির সংখ্যা বেড়ে হবে ৯০০ মিলিয়ন যা বেশ বড় ব্যাপার।
এছাড়া বর্তমানে সরকারি ভাবে ই লার্নিং এর জন্য কতগুলি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো National Digital Educational Architecture (NDEAR),PM eVIDYA Programme,DIKSHA,SWAYAM প্রমুখ। এর মধ্যে ২০১৭ সালে DIKSHA পোর্টাল টি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মূলত স্কুল ভিত্তিক আর দেশের প্রধান বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী পোর্টালটি মোট ৩৫ রাজ্যের ,১৮টি ভাষাতে পরিষেবা প্রদান করে।
ePathshala Portal যেটি ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল এর মধ্যেও সারা দেশের পড়ুয়া ক্লাস,সাবজেক্ট হিসাবে ইবুক ,অডিও ফাইল সব কিছু ডাউলোড বা অনলাইন এ পড়তে পারে।
এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং, নানা কলসেন্টার ভিত্তিক কাজ ,বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট কর্মক্ষেত্রে একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। ভারতবর্ষ আজকের যুগে ইন্টারনেট তাই আজ তথ্যপ্রযুক্তিতে পৃথিবীর অন্যতম একটি শক্তিশালী দেশ। বহু মানুষ আজ ইন্টারনেট থেকে নিজেদের জীবন ধারণের উপায় খুঁজে পেয়েছে।
ভারতবর্ষে নাশকম এর হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ১৮০ বিলিয়ন ইউএস ডলার contribute করেছে যেটি ভারতবর্ষের জিডিপির প্রায় ১৩ শতাংশ।
আরো পড়ুন:কি ভাবে ঘরে বসে ৫ মিনিটেই শুধু নাম দিয়ে ডিজিটাল রেশন কার্ড চেক করবেন
বিনোদন:
বিনোদন ক্ষেত্রে ইন্টারনেট যুগান্তকারী ভূমিকা নিয়ে এসেছে সারা পৃথিবীর চলচ্চিত্র গান ভিডিও গেমস ইত্যাদি এক ক্লিকের মাধ্যমে আজ আপনি পেয়ে যেতে পারেন ইন্টারনেটে। আগে কোন ভাবেই পাওয়া সম্ভব ছিল না। এছাড়া নানা জনপ্রিয় অনলাইন স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট যেমন আমাজন প্রাইম ,নেটফ্লিক্স এই সব আধুনিক ইন্টারনেট এর ফলেই সম্ভৱ হয়েছে।
আরো পড়ুন:পকেট রাউটার কি ও পকেট রাউটার কিভাবে কাজ করে
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক :
সোশ্যাম মিডিয়া আজকের জীবনে অন্যতম একটি অংশ। ফেইসবুক,টুইটার,ইনস্টাগ্রাম,হোয়াটস্যাপ এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলি ছাড়া আধুনিক জীবন অচল। শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় ,সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে অনলাইন বিসনেস এর জন্য একটি অন্যতম মিডিয়াম। নিউ বিজনেস আইডিয়া,ব্র্যান্ড প্রমোশন, লিড জেনারেশন এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ,মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে পড়েছে এই জন্য বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার এর মাধ্যমে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছে।
আরো পড়ুন:ফেসবুক লাইট কি ?
ই-কমার্স :
ই-কমার্স ইন্টারনেট এর একটি আশ্চর্য দান। বর্তমান ইন্টারনেটের জগতে ই-কমার্স একটি দারুন ব্যাপার।
ঘরে বসেই বিভিন্ন পণ্য অনলাইনে কেনাকাটা করার ওয়েবসাইট গুলোকেই সহজ কথায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলে।
ই-কমার্স সাইট গুলির মধ্যে যেমন আছে নামিদামি কোম্পানি যেমন ফ্লিপকার্ট ,অ্যামাজন ইত্যাদি তেমন রয়েছে নানা ছোট বড় ই-কমার্স সাইট। ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলি তে যাবতীয় প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন ইলেকট্রনিক্স , জামাকাপড়, খাবারদাবার ইত্যাদি নানা রকম পণ্য আপনারা সহজেই ঘরে বসেই কিনতে পারেন।
ইন্টারনেট আসার আগে এমন সুযোগ ছিল না। ২০৩৫ সাল নাগাদ ভারতবর্ষে অনলাইন শপিং করবেন এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় কুড়ি মিলিয়ন ছাড়াতে পারে। বর্তমানে অনলাইনে রিটেল সংস্থা গুলি ভারতেই ১৫০০০ থেকে ২০০০০ পিন কোড এরিয়া কে নিজেদের পরিসেবার আওতায় এনেছেন।
ভবিষ্যতে এর বিস্তার আরো বেশি হবে। বর্তমানে মানুষের ই-কমার্স কিনাকাটা বহুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই ই-কমার্স ব্যবসা সাথে বহু মানুষের বিকল্প কর্মসংন্থান এর সুযোগ করে দিয়েছে।
ই-কমার্স সাইট চালাবার জন্য দরকার দক্ষ ওয়েব ডেভলপার এবং টেকনিশিয়ান তাই বর্তমানে বহুল মানুষ ই কমার্স ব্যবসা সাথে এশাকে যুক্ত করে ফেলেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সাপোর্ট স্টাফ ,কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ ,ডেলিভারি হয় এই সব মিলিয়ে ই-কমার্স ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের বুকে একটি বিশাল সম্ভাবনাময় জগতের সূচনা করেছে।
আরো পড়ুন:গুগল ড্রাইভ কি?গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যবহার করব?
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা:
এবার আসা যাক ইন্টারনেটের কিছু অসুবিধে কথায়।
ইন্টারনেট যেমন মানুষকে প্রথম সুযোগ সুবিধা এনে দিয়েছে তেমনি মানুষকে কিছু অসুবিধা সম্মুখিন হতে হয়েছে ইন্টারনেট আসার পর.
ইমেইল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ও স্প্যাম :
ইন্টারনেট একটি অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যম হওয়ায় অনেক সময় অনেক অবাঞ্চিত ইমেইল ,অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এবং মেসেজ আপনি কারণে অকারণে পেয়ে থাকেন। এই অদরকারি এবং অবাঞ্ছিত মেসেজ গুলি কেই স্প্যাম বলা হয় তাই এইগুলি ইন্টারনেটের অসুবিধার মধ্যে একটি।
আরো পড়ুন :ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কি? ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে?
ভাইরাস অ্যাটাক :
ইন্টারনেট যেমন আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছে তেমনি আমাদের অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টি ও ফলে আমাদের অনেক ভাবিয়ে তুলেছে আমরা অনেক সময়ই আমরা জেনে না জেনে অনেক লিংকে ক্লিক করে ফেলি , যার ফলে আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইলে অনেক সময় ভাইরাস অ্যাটাক দেখা যায় যার ফলে আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইলে থাকা তথ্য এটা নষ্ট হয় যায়।
এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সবসময় একটি আপডেট অ্যান্টিভাইরাস সিস্টেম নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করা। তাই ইন্টারনেট আসার ফলে অনলাইন ভাইরাস অ্যাটাক ইন্টারনেটের একটি অসুবিধা মধ্যে অন্যতম।
প্রাইভেসি :
ইন্টারনেটের জগতে প্রাইভেসি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময়ই আমাদের ব্যক্তিগত কিছু মূল্যবান তথ্য ব্যবসায়ী কোম্পানির কাছে নানা ভাবে চলে যায় যারা সেগুলির অপব্যাবহার করে ওই সমস্ত কোম্পানি বিভিন্ন অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন লিংক আমাদের কাছে প্রেরণ করে যার ফলে অনেক সময় আমাদের প্রাইভেসি লঙ্ঘিত হয়।
এ বিষয়ে ফেসবুকের একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে বর্তমানে ফেসবুক একটি ঘোষণা করেছিল যে ফেসবুকে জমা ৪০০ মিলিয়ন মানুষের ফোন নম্বর এক্সপোজ হয়ে গেছে। ফেইসবুক এর মতো এত বড় কোম্পানি যদি প্রাইভেসী এর ব্যাপারে এতটা উদাসীন হয় তাহলে আমাদের ইন্টারনেট ব্যাবহার এর আগে অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন বৈকি।
অতঃপর শেষ কথায় বলা যেতে পারে ইন্টারনেট যেমন আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছে তেমনি আমাদের কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তারপরে কিন্তু তবুও ইন্টারনেটের যুগান্তকারী পরিবর্তনের কাছে সমস্ত অসুবিধা গুলো মনে নিয়ে যদি আমরা সঠিকভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার করি এবং আমাদের মূল্যবান ব্যক্তিগত যদি ইন্টারনেটে খুব বেশি শেয়ার না করি এক্ষেত্রে ইন্টারনেট আমাদের পক্ষে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
আশাকরি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর যদি আপনাদের আরো কিছু কমেন্ট থেকে নিচে দেয়া কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন। ধন্যবাদ।