দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি:মুরগি চাষ পদ্ধতি জানুন দেশি মুরগি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য

দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি

Last Updated on: 28th এপ্রিল 2024, 01:05 অপরাহ্ন

নমস্কার বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা কিভাবে মুরগি পালন করব এবং দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করব।

মুরগি পালন একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। মুরগি পালন কে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবনযাত্রা গড়ে উঠেছে। মুরগি পালন বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক পশুপালন হিসাবে সারা বিশ্বে প্রচলিত।

মুরগি চাষ তথা মুরগী পালন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নানা পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। মুরগি চাষ কে অনেকে পোল্ট্রি চাষ ও বলে থাকেন। বিজ্ঞানসম্মতভাবে সাধারণ মুরগি কর্ডাটা পর্বের, ডোমেস্টিকাস প্রজাতির একটি প্রাণী। মুরগির বিজ্ঞানসম্মত নাম গেলাস ডোমেস্টিকাস

এবার আসুন মুরগি পালনের আগে আমরা মুরগির বিভিন্ন পদে বিভিন্ন ব্রিড সম্পর্কে বিশদে জেনে নি। দেশি মুরগি পালন প্রশিক্ষণ সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্ট আপনাকে অনেক সাহায্য করবে বলে আশা করি।

মুরগি মূলত দুই রকম ব্রিড হতে পারে।

একটি খাঁটি বিট আর একটি সংকর ব্রিড।

মুরগির জন্ম স্থান হিসেবে মুরগিকে মোটামুটি চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

ইংলিশ ব্রিড ,আমেরিকান ব্রিড ,ভূমধ্যসাগরীয় ব্রিড আর এশিয়ান ব্রিড

ভূমধ্যসাগরীয় ব্রিড মধ্যে হোয়াইট লেগহর্ন অংকনা উল্লেখযোগ্য। আমেরিকান ব্রিড মধ্যে জাভা, রোড আইল্যান্ড রেড ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।ইংলিশ ব্রিড মধ্যে অন্যতম হলো সাসেক্স আর আমাদের পরিচিত এশিয়ান ব্রিড এর অন্যতম হলো কোচিন ,ব্রামা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

উল্লেখযোগ্যভাবে সাসেক্স ,রোড আইল্যান্ড রেড এগুলি মূলত ডিম এবং মাংস উভয়ের জন্যই চাষ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের পরিচিত ব্রয়লার ব্রিড এগুলো মূলত শুধু মাংসের জন্য চাষ করা হয়.

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংকর জাতের পুলেট প্রায় আইসিটি ডিম পাড়ে বছরে প্রায় ডিম পাড়ে ২৫০ টি।

দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি

এবার আসা যাক দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি মুরগি পালন মাপ মুরগির চাষ সম্পর্কে:

মুরগি পালন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উপায়ে করা হয়ে থাকে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো  খোলা জায়গায়  মুরগির চাষ ,অর্ধ স্বাধীনভাবে মুরগির চাষ, খাঁচার মধ্যে মুরগি পালন এবং ডিপ লিটার পদ্ধতিতে মুরগি চাষ।

খোলা জায়গায় মুরগি পালন 

খোলা জায়গায় বাড়িতে দেশি মুরগি পালন করতে গেলে মূলত দুটি বিষয় মনে রাখতে হয় একটা হচ্ছে মুরগীদের বিচরণের জায়গা এবং মুরগির জন্য উপযুক্ত বাসস্থান।

যদি খোলা জায়গা তে মুরগি চাষ করতে চান বা স্বাধীনভাবে মুরগি চাষ করতে চায় তাহলে বাড়ির সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকা দরকার।

বাড়ির সামনে খোলা জায়গাতে। পুকুর ধারে এই রকম নানা বিচরণ ক্ষেত্রে মুরগির ঘুরে বেড়াই।সেখান থেকেই মূলত তারা বিভিন্ন রকম খাদ্য সংগ্রহ করে খেয়ে থাকে।

খাদ্যের মধ্যে নানা কীটপতঙ্গ, শামুক, চুনাপাথর ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে। সারাদিন ঘোরার পর সন্ধ্যেবেলা এগুলি নিজের বাড়িতে ফিরে আসে।

স্বাধীন উপায়ে মুরগি চাষের জন্য দোচালা ঘর এ পদ্ধতিতে প্রয়োজন হয়।

এই দোচালা ঘরটির উচ্চতা দৈর্ঘ্যে ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X ১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে ।

একসাথে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি মুরগি থাকতে পারে।

অর্ধ স্বাধীনভাবে মুরগি চাষ 

অর্ধ স্বাধীনভাবে মুরগি পালন করতে গেলে আপনাকে খালি জায়গা প্রথম নির্বাচন করতে হবে এব কিছুটা খালি জায়গা ছেড়ে বাকিটা বেড়া
বা তারের জাল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে, যাতে তাদের বিচরণ ক্ষেত্র একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

সারাদিন মুরগি গুলি ওই বিচরণ ক্ষেত্র ঘুরে আবার খবর সংগ্রহ করে নিজ গৃহে ফিরে আসে সন্ধেবেলাতে। এক্ষেত্রে মুরগি গুলোর জন্য নিয়মিত ভাবে পর্যাপ্ত পরিমান খাবার আর পানীয় জলের মজুত রাখতে হবে।

ব্যাটারি খাঁচায় মুরগি পালন 

বর্তমানে ব্যাটারি খাঁচাতে মুরগির চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পদ্ধতিতে মূলত অনেকগুলি খাঁচা একটি আরেকটির উপর রাখা থাকে .প্রতিটি খাঁচাতে লোহার শিখ লাগানো থাকে এর ফাঁক দিয়ে জল এবং খাবার দেওয়া হয়।

খাঁচার নিচে তাদের মলমূত্র সংগ্রহের জন্য ট্রে রাখা হয়। মাঝে মাঝে ওই ট্রে গুলি পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিতে হয়।

ডিপ লিটার পদ্ধতিতে মুরগি পালন

ডিপ লিটার পদ্ধতিতে মুরগি পালন আসলে বাণিজ্যিকভাবে মুরগি পালন করতে গেলে ব্যবহার করা হয়। ডিপ লিটার পদ্ধতিতে মুরগি চাষ করতে গেলে মূলত একটি বড় ঘর লাগে।

ভালো করে চুল এবং ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ঘরের মেঝেটি কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নেয়া হয়। এরপর বিছানো হয় মাটিতে লিটার।

এটার জন্য কাঠের গুঁড়ো ,ধান , তুষ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত দশ থেকে পনের সেন্টিমিটার পর্যন্ত এই লিটার পুরু হয়। ঘরগুলি মোটামুটি ভাবে পাঁচ ফুট উচ্চতা হয়।

ঘরের মেঝেতে কাঠের পাটাতন থাকলে খুব ভালো হয়। ঘরের দেওয়ালের ফাঁকে ফাঁকে মুরগিরা যাতে সহজে ডিম পাড়তে পারে এর জন্য আলাদাভাবে নেস্ট বানানো থাকে।

এছাড়াও ডিপ লিটার পদ্ধতিতে একসঙ্গে বহু মুরগির চাষ করা হয়। সেই জন্য খাবারের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হয়।

যাতে অনেকগুলি মুরগি একসাথে খেতে পারে এইজন্য একসময়ের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে এদের খাবার দেয়া হয়। যেহেতু অনেকগুলি মুরগি একসাথে থাকে এজন্য জল খাওয়ার জন্য এদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়।

ডিপ লিটার পদ্ধতিতে পদ্ধতিতে ঘরেরমধ্যে একটি বড় গামলা রাখতে হয় আদি মুরগি গুলি নিজেরাই নিজেদেরকে ইচ্ছে মতো স্নান করতে পারে। মোর রাহতে হবে যে মুরগিরে কখনো জলে স্নান করে না। এই বড় পাত্রে ধুলোবালিতে দিতে হয় যাতে মুরগির ইচ্ছেমত এতে নিজেরা স্নান করতে পারে।

ডিপ লিটার পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রতিদিন ঘরে লিটার পরিষ্কার করার কোনো ঝামেলা থাকে না।

তবে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে না হলেও মেঝে যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং শুষ্ক থাকে সেই বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হয়। এই জন্য প্রতি ১৫ বর্গফুটে ৫০০ গ্রাম কলিচুন বা ১ কেজি ওজনের সুপার ফসফেট দেওয়া হয়।

সপ্তাহে অন্তত দুদিন মুরগির মল আর লিটার এগুলিকে ভালো করে একসাথে মিশিয়ে দিতে হয়। লিটার এর কোন অংশের জমাট হয়ে গেলে সেগুলো ভালো করে গুড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হয়।

বছরে অবশ্যই একবার লিটার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

বছরে একবার লিটারের ৭০% অংশ ফেলে দিয়ে বাকি ৩০ শতাংশ অংশ নিয়ে নতুন করে লিটার বানাতে হয়। ঘরে কীটপতঙ্গের উপদ্রব কম যাতে হয় এবং তারা যাতে বেশী মুরগীদের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য ১০% হারে ডিডিটি স্প্রে করা হয়।

এছাড়াও ডিপ লিটার পদ্ধতিতে মুরগি পালন যেহেতু একসাথে অনেক মুরগির চাষ করা হয় তাই মুরগি গুলিকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা অত্যন্ত জরুরী।

আবদ্ধ হবে চাষ করায় ঘোরাঘুরিতে বাধা থাকায়অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমান সূর্যালোক ঢোকে না। তাই যাতে ভিটামিন এ এবং বি এ কোন অভাব না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়।

এছাড়াও ডিপ লিটার পদ্ধতিতে প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম উৎকৃষ্ট সার প্রতি বছর পাওয়া যায় যা চাষের কাজে ব্যবহার হয়।

মুরগির খাদ্য

মুরগি যাতে ভালো ভাবে পুষ্টি লাভ করে এই জন্য মুরগির জন্য সুষম খাবার এর সরবরাহও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

মুরগির খাদ্য যাতে সব পুষ্টিগুণ জাতীয় সুষমা পরিমাণে থাকে সে বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হয়।

মুরগির খামার গুলোকে মূলত মুরগির খবর হিসাবে ম্যাশ ব্যবহার করা হয়। ম্যাশ এর মধ্যে সমস্ত খাদ্য উপাদান গুলি সুষম ভাবে থাকে। গম ম্যাশ মূলত ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো, শুকনো মাছ, ভিটামিন এ ,ডি ,বি ইত্যাদির মিশ্রনে তৈরী করা হয়।

মুরগির বিভিন্ন রোগ 

মুরগির চাষ করতে গেলে মুরগির বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। মুরগির রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রানীক্ষেত ,কুরাইজা ,ফাউল কলেরা, এঁটুলি , কিরমি ইত্যাদি।

এদের মধ্যে রানীক্ষেত রোগের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই কোন মুরগি যদি রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে আক্রান্ত মুরগিগুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে এবং বাচ্চা মুরগি কে ৫ থেকে ৭ দিনে একবার করে মোট দুবার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে।

সামগ্রিকভাবে মুরগির রোগ কে দুটি পর্যায়ে ভাগ হয়। অসংক্রামক এবং সংক্রামক রোগ।

অসংক্রামক মূলত পুষ্টির অভাবে হয়। সংক্রামক রোগ মূলত ভিটামিন বি ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি অভাবে ঘটে থাকে।

মুরগি পালনের সুবিধা

এবার আসা যাক মুরগি পালনের সুবিধা সম্পর্কে। আগেই আলোচিত হয়েছে মুরগি পালন একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা এবং সঠিক ভাবে মুরগি পালন এ  ডিম এবং মাংস দুটি সমান হারে পাওয়া যায়।

যে কেউ মুরগি পালন বা মুরগি চাষ শুরু করতে পারে। পুঁজি কম হলে হলে বাড়ির ছাদে বা কোন জায়গাতে মুরগি পালন শুরু করা যেতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে বড় আকারে মুরগির চাষ করতে গেলে ডিপ লিটার পদ্ধতিতে মুরগির চাষ করা যেতে পারে।

দুটি ক্ষেত্রেই কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। অনেকের এই প্রশ্ন থাকে কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি? এর সহজ উত্তর হলো ব্রয়লার। ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৯ সপ্তাহের মধ্যে মূলধন ফেরত আসে। তাই ব্রয়লার মুরগি পালন সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। আমাদের দেশে ও বাংলাদেশ এ ব্রয়লার মুরগির চাষ বহুল পরিমানে করা হয়ে থাকে।

পচিমবঙ্গে আরামবাগ চিকেন খুব বিখ্যাত। আরামবাগ হ্যাচারি তে মাসে প্রায় ৩ মিলিয়ন ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার চাষ হয়। বাংলাদেশ এ কাজী ফার্ম গ্রূপ ও মুরগি পালনের জন্য বেশ বিখ্যাত।

মুরগি পালনে কম মূলধন থেকে যথেষ্ট পরিমাণে লাভ করা যায়। প্রাথমিকভাবে মুরগির চাষ করতে গেলে যদি স্বল্প পুঁজি থাকে তবে স্থানীয় ভিডিও বা সরকারি দপ্তর থেকে অনেক সময় বিনামূল্যে মুরগির ছানা প্রদান করা হয় যেগুলিকে থেকে সহজেই মুরগির চাষ শুরু হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ভাবেও দেশি মুরগি পালন প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।

এছাড়াও মুরগির বিষ্ঠা থেকে যত পরিমাণ সার উৎপন্ন হয় যেগুলি কে চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে যা একটি বিকল্প আয়ের সন্ধান দিতে পারে।

আপনি যদি অন্য পেশায় যুক্ত থাকেন একটি বিকল্প আয়ের এর খোঁজ করে থাকেন আপনার জন্য মুরগি পালন আদর্শ হতে পারে। আপনি এতে অল্প সময় ব্যয় করেও শুরু করতে পারে পারেন।

আশা করি মুরগি পালন বা মুরগি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের এই ব্লগের শুধু অনলাইন আয় এর কথাই নয় এই রকম বহু সহজলভ্য আয় এর এর কথা আমরা উল্লেখ করব।

আপনাদের মুরগি চাষ সম্পর্কে আরও বক্তব্য থাকলে , আমাদের নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করে দেবেন।
ধন্যবাদ।

শুভ্রজ্যোতি ঘোষ

About শুভ্রজ্যোতি ঘোষ

শুভ্রজ্যোতি ঘোষ একজন স্টুডেন্ট এবং টেক লাভার। গণিতে সে বি. এস. সি স্নাতক। পড়াশোনা ছাড়াও বাংলা কবিতা,গান শুনতে সে ভালোবাসে। তাছাড়াও ব্লগ লিখতে সে ভালোবাসে বিশেষত বাংলাতে।

View all posts by শুভ্রজ্যোতি ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।