[Business Idea Bangla]২০টি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

Last Updated on: 17th জুলাই 2022, 04:11 অপরাহ্ন

Business Idea in Bangla:বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা:আপনি কি স্বাধীন লাভজনক ব্যাবসা করতে চাইছেন ? কিন্তু, ঠিক কি ব্যবসা নিয়ে এগোলে সাফল্য পাবেন, বুঝতে পারছেন না, তাইতো? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে সাম্প্রতিক কালের ২০টি লাভজনক ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি আমরা।

সূচিপত্র

Business Idea Bangla:বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি তার তালিকা

১. ফটোগ্রাফি (Photography)

আজকের দিনে ফটোগ্রাফি একটি আকর্ষণীয় বিজনেস। এখন মানুষ নিজেদের জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ
ইভেন্টকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। বিয়ে, রিসেপশন, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন যেকোনো অনুষ্ঠানের মুহূর্তগুলোকে
ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে চায় সবাই। আর এখানেই প্রয়োজন পড়ে ভালো ফটোগ্রাফারের।

আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, ডিজিটাল ফটোগ্রাফি ভারতীয় যুবকদের মধ্যে ফটোগ্রাফির প্রতি নতুন করে ভালোবাসা জাগিয়েছে। অনেক বেশি সংখ্যক তরুণ-তরুণীরা তাদের ফটোগ্রাফির শখকে একটি ব্যবসায় পরিণত করতে
চাইছে এবং অনেকেই নিজ নিজ ব্যবসাকে যথেষ্ট সফলভাবে পরিচালনা করছে।

বিয়ের অনুষ্ঠান ফোটোগ্রাফি
বিয়ের অনুষ্ঠান ফোটোগ্রাফি

কম ইনভেস্টমেন্ট, হাই ডিমান্ড, ভ্রমণের সুযোগ এবং বেশ ভাল ইনকাম, এগুলোই বর্তমানে এই বিজনেসের বেড়ে
ওঠার মুখ্য কারণ। এই ব্যবসা শুরু করতে ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা মত বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। ক্যামেরা এবং
লেন্স ছাড়াও, ফটোগ্রাফি ব্যবসায় অন্যান্য ইনভেস্টমেন্টের মধ্যে আলো, বিবিধ সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, সোশ্যাল
মিডিয়া বিজ্ঞাপন এবং একটি স্টুডিও (যদি প্রয়োজন হয়) অন্তর্ভুক্ত হয়।


যেহেতু ১০ লক্ষ টাকার কম বিনিয়োগে একটি ভাল ফটোগ্রাফি ব্যবসা শুরু করা যায়, তাই মুদ্রা (MUDRA) লোন
স্কিমটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে অনেক তরুণ ভারতীয় উদ্যোক্তা তাদের
সৃজনশীলতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতে সফল ফটোগ্রাফি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আপনারা
জানলে অবাক হবেন, ভারতে ফটোগ্রাফি বিজনেস প্রতি বছর ২৫-৩০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২. বেকারী (Bakery)

ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে বেকারী একটি জনপ্রিয় অপশন। বেকিং অবশ্য রন্ধন পটিয়সী মানুষদের জন্য সুবিধাজনক
ব্যবসা। এখন হোমমেড কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়। এমনকি, বাড়িতে বসেই দিব্যি এই বিজনেস
চালানো যায়। রিটেইল বেকারি হল সবচেয়ে কমন টাইপের বেকারি এবং এগুলি সরাসরি কাস্টমারদের কাছে
বেকড পণ্য এবং ব্রেড বিক্রি করে। এছাড়া, অনেকে ওয়েডিং কেক, কাপ কেক, ব্রাউনি ইত্যাদি স্পেশাল ভাবে
তৈরি করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে অনেক মানুষ

বেকারি ব্যবসা
বেকারি ব্যবসা

এখন এই বিজনেস করছেন এবং ব্যবসায় উন্নতিও করছেন। বিজনেস হিসেবে বেকারির বাজার খুবই পপুলার।
তাই আপনি যদি কেক বেকিং করতে পছন্দ করেন, তবে এই বিজনেস শুরু করতেই পারেন।

৩. ট্রাভেল এজেন্সি (Travel Agency)

ট্যুর এবং ট্রাভেলস-এর বিজনেস এখন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি।। কারণ, মানুষের মধ্যে ভ্রমণের চাহিদাও তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই ব্যস্ত জীবনে সবাই চায় গন্তব্যে পৌঁছে সবচেয়ে ভালো পরিষেবা পেতে।
ঠিক এই কারণেই ট্রাভেল এজেন্সি বর্তমানে ভীষণ জনপ্রিয়। এজেন্সি, ভ্রমণের পুরো প্ল্যান, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা,
ট্যুর গাইড ইত্যাদি সবকিছুই অ্যারেঞ্জ করে দেয়।

ট্রাভেল এজেন্সী
ট্রাভেল এজেন্সী

এমনিতে, আমাদের ভারতবর্ষে ঘুরতে যাওয়ার জায়গার অভাব নেই। তাই ভারতের যে কোনো জায়গায় একটি ট্রাভেল এজেন্সি শুরু করলে, ব্যবসায় লাভ নিশ্চিত।

আপনাদের একটি বিশেষ তথ্য দিই তাহলে। আপনারা কি জানেন, জিডিপিতে পর্যটনের অবদানের জন্য ভারত ১৮৫টি দেশের মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে।

যাইহোক, এই ব্যবসার জন্য, লজিং এবং ট্রান্সপোর্টের মতো একাধিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ভাল সহযোগিতা
প্রয়োজন। ট্যুর এবং ট্রাভেল ব্যবসায় প্রতিযোগিতা দ্রুত বাড়ছে।
প্রযুক্তির উন্নতির কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। ব্যস্ত জীবনে মানুষ তাই ট্রাভেল এজেন্সির
সাহায্য নিচ্ছেন নিজেদের ভ্রমণের দিনগুলি চিন্তামুক্ত ভাবে কাটাতে।

৪. ক্লাউড কিচেন (Cloud Kitchen)

করোনাকালীন লকডাউনের সময় থেকেই ক্লাউড কিচেন বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবসা হিসেবে উঠে এসেছে।
লকডাউনের দীর্ঘমেয়াদি ফলস্বরূপ রেস্তোঁরায় বসে খাওয়ার চল বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তখন ক্লাউড কিচেনের
মাধ্যমে মানুষ তাদের পছন্দমত বাইরের খাবার খেতে পারতেন।

এখন তো বিষয়টি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ক্লাউড কিচেন ব্যবসা
ক্লাউড কিচেন ব্যবসা

এইসব ক্লাউড কিচেনে মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করতে পারেন। এখন জোমাটো, সুইগি-র মত
অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে বেশ কিছু ক্লাউড কিচেন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খুব সামান্য
ইনভেস্টমেন্ট দিয়েও এই বিজনেস শুরু করা যায়। এই ডিজিটাল যুগে ক্লাউড কিচেন কনসেপ্ট বেশ অভিনব
এবং ব্যবসা হিসেবেও যথেষ্ট লাভজনক। তাই রান্নাবান্নায় আগ্রহী হলে, আপনি নিজের ক্লাউড কিচেন ওপেন
করতেই পারেন।

৫. অনলাইন টিউশন (Online Tuition)

আজকের দিনে অনলাইন টিউশন খুব উল্লেখযোগ্য একটি ব্যবসা। এর মাধ্যমে বহু ছেলেমেয়ে অর্থ উপার্জন
করছে। খুব সামান্য ইনভেস্টমেন্ট দিয়েই এই বিজনেস করা সম্ভব।

ন্যূনতম একটি সেটআপ দরকার হয় পড়ানোর জন্য। এছাড়া, এখন অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যাদের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসের বিষয়টি বেশ পপুলার হয়ে উঠেছে। হাতে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের সুবিধা থাকলেই এই

বিজনেস শুরু করা যেতে পারে। লকডাউন পরবর্তী সময়েও অনলাইন টিউশনের গুরুত্ব বেড়েছে।

অনলাইন টিউশন
অনলাইন টিউশন

তাই যারা পড়ানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান, তারা
অনলাইনে পড়ানোর অপশনটি বেছে নিতে পারেন। কোনো বিষয়ে কোচিং প্রয়োজন হলে আজকাল মানুষ
অনলাইন ক্লাসকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন কারণ এটা যথেষ্ট সময় বাঁচায়। তাই অনলাইন টিউশন এখন বেশ
লাভজনক ব্যবসার আওতায় চলে এসেছে।

৬. ইউটিউবার (Youtuber)

সাম্প্রতিককালে, ইউটিউব একটি দারুন বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উঠে এসেছে। এখানে চ্যানেল তৈরি করে যে
কেউ অর্থ উপার্জন করতে পারে। একটি বেশ অভিনব প্রফেশন বলা যেতে পারে একে। নিজেদের কন্টেন্ট তৈরি
করে তাকে দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করার জন্য ইউটিউবকে যুবসমাজ যথেষ্ট
সুচারুভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

ইউটিউবার
ইউটিউবার

আপনি একজন লেখক, প্রযোজক, বিনোদনকারী বা পরিচালক যা-ই হোন না কেন, ইউটিউব আপনাকে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে আপনার নিজস্ব প্যাশন অনুযায়ী কাজের
সুযোগ করে দেবে। আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন, তাহলে আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে নিজেই
নিজের বস। বেশ মজার ব্যাপার, তাইনা?


অনলাইনে লোকেরা প্রাসঙ্গিক, বিনোদনমূলক, তথ্যভিত্তিক এবং অনুপ্রেরণামূলক কন্টেন্ট অনুসন্ধান করে।
যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি দর্শকদের প্রয়োজন অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন যা আপনার শ্রোতাবন্ধুদের
কাছে প্রয়োজনীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বলে মনে হবে, তখনি আপনি আপনার ব্যবসাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে
যেতে পারবেন।

আপনি কোনরকম ডিগ্রি ছাড়াই ইউটিউবকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ইউটিউব
প্লাটফর্মে আপনার কন্টেন্টই আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করবে আর এভাবেই আপনার চ্যানেল জনপ্রিয়
হবে। এর পাশাপাশি আপনার পকেটও ফুলেফেঁপে উঠবে।

৭. ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং (Interior Designing)

ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং একটি উঠতি ব্যবসা ও বর্তমানে জনপ্রিয় লাভজনক ব্যবসার মধ্যে একটি।বাড়ি সাজানোর ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বাজারে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের ডেভেলপ করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ক্লায়েন্টরা সাধারণত অভিজ্ঞ হোম ডেকোরেটর ভাড়া করতে পছন্দ করে।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং
ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং

তারপরও, আপনি যদি কিছু চতুর মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বের করেন, তাহলে আপনার ব্যবসাও খুব অল্পদিনেই উন্নতি করতে পারবে। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই এই ব্যবসার সমস্ত দিক ভালো করে স্টাডি করতে হবে।

ইন্টেরিয়রডিজাইনিং বিজনেস অনেক সাব-সেক্টরকে কভার করে, যেমন অ্যান্টিক ফার্নিচার রিফার্নিশিং, কৃত্রিম ফুল সাজানো, বেসমেন্ট রিমডেলিং, সিরামিক টাইলস, সেলস এবং ইনস্টলেশন, কাস্টম ফার্নিচার কভার, হোম
ফার্নিশিং, সুপিরিয়র হোম ডেভেলপমেন্ট লোগো ডিজাইন করা এবং আরও অনেক কিছু। এইভাবে, আপনাকে
একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারদের টার্গেট করতে হবে এবং তাদের চাহিদা
অনুযায়ী কাজ করে তাদের সন্তুষ্ট করতে হবে।

তবেই আপনার বিজনেস ধীরে ধীরে উন্নতি করবে।

প্রথমে,আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে যে কোন কাস্টমাররা আপনাকে বাড়ির আসবাব এবং অন্যান্য ইন্টেরিয়র
ডিজাইনিং কাজের জন্য ডাকতে পারে। তারপর, তাদেরকে টার্গেট করুন এবং আপনার সেরা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি
দিয়ে আপনার স্টার্টআপের দিকে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করুন।

সঠিক প্রচেষ্টা থাকলেই এই বিজনেস থেকে
উন্নতি করা সম্ভব। বর্তমানের ব্যস্ত সময়ে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের চাহিদা বেশ বেড়েছে। তাই, ডিজাইনিং যদি
আপনার পছন্দের বিষয় হয়, তাহলে আর একদমই দেরি করবেন না।

৮. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

ফ্রিল্যান্স মার্কেট সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশিরভাগ স্টার্টআপ এবং কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজন
মেটানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের বেছে নেয়। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এটি এমন একটি সেক্টর যা আজ
প্রচুর তরুণদের আকর্ষণ করছে। কারণ বেশকিছু ক্ষেত্রে, ফ্রিল্যান্সিং ওয়ার্ক ফ্রম হোম হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে
যে স্বাধীনতা পাওয়া যায়, সেটা অনেককে আকর্ষণ করে।

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

এছাড়া, অর্থ উপার্জনের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য পেশা।

আপনারা জানলে চমকে যাবেন, ভারতে আজ ১৫ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে
ট্রান্সলেশন-এর কাজ, ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কাজ এবং আরো অন্যান্য ধরনের কাজ হয়ে থাকে। তবে,
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে সাফল্যের রহস্য হল আপনার ক্লায়েন্টের কী প্রয়োজন এবং আপনার কাছ থেকে তিনি কী
আশা করেন তা বোঝা এবং তার চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া। বর্তমানে এটি যথেষ্ট লাভজনক ব্যবসা।

৯. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট (Event Management)

এখনকার দিনে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট একটি খুব সময়োপযোগী ব্যবসা। যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, অফিসিয়াল
পার্টি ঠিকঠাকভাবে আয়োজন করতে অনেকেই আজকাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সাহায্য নেন।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

ইভেন্ট ম্যানেজারের কাজের মধ্যে থাকে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী অ্যারেঞ্জমেন্ট প্ল্যান করা, তার বাজেট তৈরি
করা এবং বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন সম্মেলন, কনসার্ট, স্টেজ শো, সেমিনার, বিবাহ, থিম পার্টি, প্রোডাক্ট লঞ্চ পার্টি,
প্রদর্শনী, এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা।

এটি একটি ভাল বিজনেস অপশন কারণ এটিতে বিশাল ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই এবং কাজের ক্ষেত্রে
অনেক স্বাধীনতা পাওয়া যায়।

আপনার যদি ইভেন্ট অ্যারেঞ্জ করার আগ্রহ থাকে এবং ভালো প্ল্যানিং তৈরির ক্ষমতা থাকে, তাহলে আপনি ইভেন্ট
ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ব্যবসার জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে পারেন।

১০. জিম বিজনেস (Gym Business)

জিম বিজনেস এখন একটি লাভজনক বিজনেস। এখনকার দিনে ফিজিক্যালি ফিট থাকা খুবই প্রয়োজন। বিভিন্ন
রোগের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ এখন জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করে থাকেন। তবে, একটি ভাল জিম মানে শুধু
সঠিক ব্যায়ামের সরঞ্জাম নয়, এর থেকে আরও অনেক বেশি কিছু জিম ব্যবসার সাথে জড়িত।

জিম বিজনেস
জিম বিজনেস


আপনি যে ধরনের ক্লায়েন্টদের পরিষেবা দেবেন তাদের মেম্বারশিপ এবং সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ, ফিটনেস ক্লাস
হোস্টিং-এর পাশাপাশি এই কম্পিটিশনের বাজারে নিজের জিমকে অন্যান্য ফিটনেস সেন্টারের থেকে আলাদা
করার নতুন উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে আপনাকে ভাবতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে দেখলে, এই বিজনেসে
ইনভেস্ট করলে লাভ দিনদিন বাড়তে থাকবে।

১১. অর্গানিক ফার্মিং(জৈব চাষবাস) (Organic Farming)

এই বিজনেসটি নিয়ে সম্প্রতি বেশ চর্চা চলছে।
অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব চাষ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং পশুপালন করার একটি অনন্য কৌশল।
প্রক্রিয়াটিতে কোনো কৃত্রিম পদার্থ বা সার ব্যবহার না করে, প্রাকৃতিক উপাদান এবং প্রাকৃতিক গোবর সার
ব্যবহার করা হয়।

অর্গানিক ফার্মিং ব্যবসা
অর্গানিক ফার্মিং

জৈব চাষকে উৎসাহিত করার জন্য ভারত সরকার একাধিক স্কিম এবং নীতি চালু করেছে।
সম্প্রতি, এই বিজনেস মানুষের নজর কেড়েছে, তাই এটি লাভজনকও বটে।

১২. অনলাইন প্রোডাক্ট সেলিং (Online Product Selling)

এটিও এখন উঠতি ব্যবসা। তবে বেশ লাভজনক বলা চলে। আপনি যে ধরনের জিনিস বিক্রি করতে চান, যেমন,
জামাকাপড়, জুয়েলারি, হ্যান্ডমেড জিনিস, ঘর সাজানোর জিনিস ইত্যাদি সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে যাবে।

অনলাইন সেলিং
অনলাইন প্রোডাক্ট সেলিং

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে লাইভ ভিডিও করে বা পেজ
তৈরি করে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। এতে অনেক বড় বাজারে আপনার প্রোডাক্ট সেল
করার সুযোগ আপনি পাবেন। তাই কাস্টমার বাড়লে আপনার ব্যবসায় লাভও বাড়বে।

১৩. কন্টেন্ট রাইটিং/ ব্লগিং (Content Writing/ Blogging)

এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, কন্টেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং একটি দারুন বিজনেস। আজকাল প্রচুর লোক
স্বাধীনভাবে লেখালেখি করে ভালো জীবনযাপন করছেন। বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৭৭ % ইন্টারনেট ব্যবহার
করেন এবং তারাই অনলাইন ফ্রিল্যান্স লেখকদের চাহিদা বাড়াচ্ছেন।

কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন্ট রাইটিং

ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী বিনোদন,নিউজ, প্রোডাক্ট ডিটেলস ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে কাস্টোমাইজড কন্টেন্ট লিখে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়
বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে। তাই এটি এখন বেশ আকর্ষণীয় বিজনেস।

১৪. ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)

এই ডিজিটাল যুগে যেকোনো বিজনেসের সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচিতি থাকা প্রয়োজন। এখানেই আসে
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রসঙ্গ। যে কোনো ধরনের কোম্পানি এখন তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতির উপর
জোর দিতে চাইছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা
ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা

এখন কাস্টমারদের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আর এই
কাজটাকে সহজভাবে সম্পাদন করা হয় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। যেকোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে
নেটিজেনদের অবগত করা এবং সর্বাগ্রে ইউজারের নাগাল পাওয়া- এটাই বিজনেসের উদ্দেশ্য। বলাই বাহুল্য,
ডিজিটাল মার্কেটিং এখন ভীষণ জনপ্রিয়।

১৫. ফুড অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট বিজনেস (Food and Restaurant Business)

ফুড ইন্ডাস্ট্রি সবসময় ঊর্ধ্বমুখী। মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে, নিত্যনতুন খাবারের চাহিদাও বাড়ছে। দেশী-বিদেশী,
সাবেকি-আধুনিক ইত্যাদি সবরকমের খাবারের প্রতিই এখনকার মানুষের আকর্ষণ রয়েছে এবং কাস্টমার অনেক
ক্ষেত্রে আলাদা, আবার কখনো এক।

 ফুড অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট বিজনেস
ফুড অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট বিজনেস

বিভিন্ন ধরনের মানুষের পছন্দমত খাবার এবং পরিষেবা প্রদান করার মতবহুমুখী ব্যবসা খুব কমই হয়। তাই হোটেল-রেস্তোঁরা-র ব্যবসা প্রবল লাভজনক।

১৬. অনলাইন ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর (Online Fitness Instructor)

মানুষ এখন শারীরিক ফিটনেসের দিকে অনেক বেশি জোর দিচ্ছে। সবাই জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করতে পছন্দ
করেন না। তাই ফ্রিহ্যান্ড, ইনডোর এক্সারসাইজ বা যোগব্যায়াম এখন বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে,
ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর প্রয়োজন হয়। অনেকেই এখন এই ব্যবসায় বেশ উন্নতি করছেন।

ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর
ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর

ডিজিটাল মাধ্যমে ফিটনেস ইন্সট্রাক্টর, খুব কম ইনভেস্টমেন্ট রেখেই এই বিজনেস শুরু করতে পারে। তাই আপনি যদি যোগা বা এক্সারসাইজের বিষয়ে পারদর্শী হোন, তাহলে আজই এই ব্যবসা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করুন।

১৭. ওয়েডিং প্লানার (Wedding Planner)

ওয়েডিং প্ল্যানিং-এর বিজনেস সাম্প্রতিককালে বেশ লাভজনক হয়ে উঠেছে। বিয়ের সমস্ত আয়োজন সঠিকভাবে
সম্পূর্ণ করতে ওয়েডিং প্ল্যানারের প্রয়োজন হয়।

বাজেট অনুযায়ী তারা বিয়ের প্রত্যেকটি ইভেন্ট প্ল্যান করেন এবং ক্লায়েন্টের চাহিদামত ডেকোরেশন, ফটোগ্রাফার, ক্যাটারিং ইত্যাদি সবকিছু অ্যারেঞ্জ করেন।

ওয়েডিং প্লানার
ওয়েডিং প্লানার

ওয়েডিং প্লানারদের ডিমান্ড দিনদিন বাড়ছে। তাই আপনি যদি প্ল্যানিং সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শী হোন, তবে এই ব্যবসার বিষয়ে ভেবে
দেখতেই পারেন।

১৮. বুটিক (Boutique)

নিত্যনতুন ফ্যাশনেবল পোশাক অধিকাংশ মানুষেরই মনোগ্রাহী। তাই এই বিজনেসটি যেকোনো সময়ই
সময়োপযোগী। তবে এই ব্যবসায় কম্পিটিশন প্রবল। আপনাকে বিভিন্নরকম স্টাইলিশ এবং অন্যদের থেকে
আলাদা জিনিস সাজিয়ে রাখতে হবে আপনার কাস্টমারের জন্য।

বুটিক ব্যবসা
বুটিক ব্যবসা

তবেই এই ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব।আপনি যদি ফ্যাশন সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহী হন, তাহলে নিজের একটি বুটিক খুলতেই পারেন।

১৯. বিউটি পার্লার (Beauty Parlour)

বর্তমান সময়ে বিউটি পার্লারের বিজনেসের বেশ রমরমা। মানুষ নিজেকে সবসময় পরিপাটি দেখতে চায়। সেই
প্রয়োজন মেটাতেই বিউটি পার্লার এবং সেলুনগুলি বেশ লাভজনক ব্যবসা করছে।

বিউটি পার্লার ব্যবসা
বিউটি পার্লার ব্যবসা

এটি খুবই জনপ্রিয় বিজনেস,সেকথা বলাই বাহুল্য। তাই বিউটি এক্সপার্ট হলে, সে নির্দ্বিধায় বিউটি পার্লার বা বিউটি সেলুন খুলতে পারে।

২০. ড্রপশিপিং (Dropshipping)

গত কয়েক বছর ধরে, ড্রপশিপিং একটি জনপ্রিয় বিজনেস অপশন হিসাবে জনপ্রিয় হয়েছে। এখানে উদ্যোক্তা
নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোর সেট আপ করেন, কিন্তু তিনি সেই
পণ্যগুলির কোনোটিই স্টকে রাখেন না।

ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং

পরিবর্তে, যখন কোনও কাস্টমার কোনও পণ্যের অর্ডার দেন, তখনড্রপশিপার থার্ড পার্টির কাছ থেকে পণ্যগুলি কিনে সেগুলি সরাসরি কাস্টমারের কাছে প্রেরণ করেন।

তবে ড্রপশিপিং একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হতে পারে যদি আপনি ব্যবসাটিকে সঠিক উপায়ে
পরিচালনা করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে দিয়ে আমরা ২০টি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে
পারলাম। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

যদি আমাদের লেখা আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করে বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে
দিন। আর, আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাদের জানান।

শুভ্রজ্যোতি ঘোষ

About শুভ্রজ্যোতি ঘোষ

শুভ্রজ্যোতি ঘোষ একজন স্টুডেন্ট এবং টেক লাভার। গণিতে সে বি. এস. সি স্নাতক। পড়াশোনা ছাড়াও বাংলা কবিতা,গান শুনতে সে ভালোবাসে। তাছাড়াও ব্লগ লিখতে সে ভালোবাসে বিশেষত বাংলাতে।

View all posts by শুভ্রজ্যোতি ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।