এসইও কি?(seo ki bangla )এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল

এসইও কি

Last Updated on: 15th অক্টোবর 2023, 07:26 পূর্বাহ্ন

হ্যালো আজ আমরা জানব এসইও কি(seo ki bangla) ,seo এর কাজ শেখার উপায় সেই সম্পর্কে। যারা এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল খুঁজছেন আশা করি তাদের জন্য পোস্টটি বেশ কার্যকরী হবে।

এসইও কি?(What is SEO in Bengali)

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো মূলত যেকোনো ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করে তোলার একটি বিশেষ পদ্ধতি। এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা গুগল বা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভালো মানের অর্গানিক ট্রাফিক বা ওয়েবসাইট এর জন্য ভিজিটর পেতে পারি যা ইন্টারনেট মার্কেটিং এ ক্ষেত্রে দারুন কার্যকারী।

ইন্টারনেট মার্কেটিং এর সাপেক্ষে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ইতিহাসে কথা বলতে গেলে ৯০ এর দশকে পিছিয়ে যেতে হয়। সার্চ ইঞ্জিন শুরু করার পর থেকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রি এনালিস্ট ড্যানি সুলিভানের মতে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে Bruce Clay এর হাত ধরে। Bruce Clay কে Father of SEO বা এসইও এর জনক বলা হয়ে থাকে।

এসইও এর আদিকালে এসইও এতো যতীন ছিল না। ওই সময় ওয়েবসাইট অনেক কম ছিল ,এতো প্রতিযোগিতা ছিল না। এসইও এর জন্য বিভিন্ন কিছু বেসিক মেটাডেটা যেমন কিওয়ার্ড মেটা ট্যাগ, টাইটেল মেটা ট্যাগ , ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগ এগুলি ঠিক ভাবে বসালেই ওয়েবসাইট খুব সহজে গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এ রাঙ্ক হয়ে যেত।

ব্যাপারটা সকল ওয়েবমাস্টার বা ওয়েবসাইট owner খুব সহজে ব্যবহার করে উঠতে পারতেন। কিন্তু দিন বদলেছে। আজ এসইও আর এতো সহজ নেই। বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের নানা পরিবর্তন হয়েছে এবং গুগলের বিভিন্ন অ্যালগরিদম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আজকে একটি খুব বড় ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।

আপনারা যারা এসইও টিউটোরিয়াল খুজছেন আশা করি এই পোস্ট এসইও কিভাবে শিখবেন সেই সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

এবার শুরু করা যাক।

এসইও শিখতে গেলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে এসইও এর মূল বিষয় গুলি কি কি ?

seo করার নিয়ম : seo করতে গেলে প্রথমেই জেনে নিতে হবে সুনির্দিষ্ট নিয়ম যা গুগল ও আরো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলি মেনে চলে। :seo মূলত একটি টেকনিকাল বিষয় হলেও এটি আসলে অনেকগুলি বিষয় এর উপর নির্ভর করে। seo করতে গেলে মূলত ওয়েবসাইট কনটেন্ট বা ব্লগ কনটেন্ট অনেক বড়ো ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর পোস্ট করা ছবি, ভিডিও এই সব বিষয় গুলিও আপনার ওয়েবসাইট তথা ব্লগ এর ভিসিটর ধরে রাখতে আরো নতুন নতুন ভিসিটর নিয়ে আসতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। যদি আপনি কোনো ই -কমার্স ওয়েবসাইট,ফ্যাশন ওয়েবসাইট ,ফোটোগ্রাফি ওয়েবসাইট,সেলিব্রিটি নিউজ ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন তো ইমেজ এসইও আপনার জন্য অনেক অনেক ট্রাফিক আনতে পারে।

এসইও এর মূল বিষয় গুলি হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ ,কনটেন্ট অপটিমাইজেশন,অন পেজ এসইও ,অফ পেজ এসইও ,টেকনিকাল এসইও ,ব্যাকলিংক বিল্ডিং আর এনালিটিক্স।

কিওয়ার্ড রিসার্চ:

কিওয়ার্ড রিসার্চ কে এসইও এর মূল ভিত্তি বলা যেতে পারে।এসইও এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যখন কোন কিছু সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজেন তখন কোন কিওয়ার্ড এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে তার খোঁজ করেন তাই সঠিক নির্বাচন না করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিনে বিশেষ গুরুত্ব পাওয়া যায় না।

ভালোভাবে কীওয়ার্ড নির্বাচন করার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে এগোতে হয়। প্রথমে ঠিক করতে হয় আপনি কোন বিষয় আর কোন লোকেশন এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করছেন।

আপনি কি লোকাল এসইও এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করছেন না ,কোনো ecommerce ওয়েবসাইট এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করছেন না কোনো সার্ভিস ওয়েবসাইট এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করছেন। সব ক্ষেত্রে কিন্তু কীওয়ার্ড রিসার্চ সমান হয় না।তাই সঠিক ইউসার ইনটেন্ট বা ইউসার এর সার্চ করার পিছনে ঠিক অভিপ্রায় কি তা যদি আপনি জানতে পারেন বা অনুমান করতে সক্ষম হন তবে কীওয়ার্ড রিসার্চ আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।

কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য কোন টুল ব্যাবহার করবেন?

কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য এমনিতেই প্রচুর চুল বাজারে রয়েছে তার মধ্যে তার মধ্যে গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার সবচাইতে ভালো। আপনি সহজেই একটি গুগোল একাউন্ট এর সাহায্যে গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুল টি ব্যবহার করে সহজেই সেখান থেকে আপনার পছন্দমত কীওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।

গুগল কীওয়ার্ড প্লানার কীওয়ার্ড রিসার্চ এর সেরা টুল
গুগল কীওয়ার্ড প্লানার কীওয়ার্ড রিসার্চ এর সেরা টুল

কীওয়ার্ড পেতে আপনাকে শুধু কয়েকটি মূল কিওয়ার্ড সার্চ বক্সে দিতে করতে হবে এবং আপনি কোন এলাকার কোন দেশের জন্য কীওয়ার্ড অপটিমাইজ করতে চাইছেন সে সম্পর্কে অপশনটিকে সিলেক্ট করলেই আপনার হাতের কাছে প্রচুর কিওয়ার্ড চলে আসবে এর মধ্য থেকে আপনাকে কম্পিটিশন ,সার্চ ভলিউম এবং রিলিভ্যান্ট হিসাব করে বাকি ওয়ার্ডটি যৌক্তিকতা বিচার করে আপনাকে সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে।

যদিও গুগল গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার মূলত গুগল এডস এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য তৈরী করা হয়েছে তবু প্রাথমিক ভাবে এসইও কীওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য অনেকেই গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুল ব্যাবহার করেন।

কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুল ছাড়াও আরও অনেক টুল রয়েছে যেমন keywordtool.io ,গুগল অটো সাজেস্ট ইত্যাদি তবে আমার মতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুল সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। এছাড়াও গুগলের অটোসাজেশন ব্যবহার করতে পারেন। গুগলের সার্চ বক্সে আপনি যদি কোন কিওয়ার্ড ইন্টার করেন তখন সেই কীওয়ার্ড সম্পর্কে গুগল আপনাকে আরো কিছু অতিরিক্ত কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানিয়ে দেয় সেই গুগলের অটোসাজেশন ব্যবহার করেও আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন।

এছাড়াও রয়েছে LSI কীওয়ার্ড। আপনি যখন কোনো একটি ওয়ার্ড নির্বাচন করেন সেই সম্পর্কিত বিষয়ের উপরে আরো অনেক লংটেইল কীওয়ার্ড গুগোল আপনার জন্য সাজেস্ট করে। LSI কীওয়ার্ডগুলি পেতে গেলে আপনাকে গুগলের সার্চ বারে নিচের অংশে সার্চ যেতে হবে সেখানে আপনার মূল কীওয়ার্ড এর রিলেটেড সার্চেস দেয়া থাকে।

LSI কীওয়ার্ড
LSI কীওয়ার্ড

ভয়েস সার্চ এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ :

বর্তমানে ভয়েস সার্চ , সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর দুনিয়াতে একটি অত্যন্ত চর্চিত বিষয়।গুগল এর অনুসারে ২৭ % অনলাইন ব্যবহারকারী মোবাইলে ভয়েস অনুসন্ধান ব্যবহার করছেন। গুগল এর নানা আধুনিক এলগোরিদম ,মেশিন লার্নিং ,BERT ,Subtopic Indexing ,প্যাসেজ ইনডেক্সিং বিষয় গুলি আজ গুগল এর সার্চ এলগোরিদম এ ব্যাবহার করা হচ্ছে।তাই ওয়েবসাইট এর এসইও করতে গেলে ভয়েস সার্চ এর জন্য কীওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হবে। তার জন্য দরকার লংটাইল (Longtail keyword ),আর কিছু বিশেষ কীওয়ার্ড টুল ।

ভয়েস সার্চ এর জন্য AnswerThePublic এর মতো কীওয়ার্ড টুল
AnswerThePublic ভয়েস সার্চ এর জন্য AnswerThePublic এর মতো কীওয়ার্ড টুল

তাই ভয়েস সার্চ এর জন্য AnswerThePublic এর মতো কীওয়ার্ড টুল ব্যাবহার করে আপনিও ভয়েস সার্চ এসইও এর জন্য কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারবেন। গুগল এর নানা এলগোরিদম এসইও সম্পর্কে জানতে আপনাদের সমসময় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। এসইও এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ এর কথা আমি আগের একটি ব্লগ পোস্ট এ আলোচনা করেছি চাইলে দেখতে পারেন।

Competitor এনালাইসিস করে কীওয়ার্ড নির্বাচন:

আপনি যে বিষয়ে কীওয়ার্ড নির্বাচন করছেন সেই বিষয়ে আপনার Competitor করা আপনি যদি তা জানতে পারেন তবে আপনার Competitor দের ওয়েবসাইট এনালাইসিস করে আপনি তাদের কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে পারেন। গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এর স্টার্ট উইথ এ ওয়েবসাইট সেকশন থেকে সহজেই আপনারা Competitor এনালাইসিস করে কীওয়ার্ড দেখতে পারবেন। এছাড়া আরো নানা কীওয়ার্ড টুল যেমন ahref ,UberSuggest ,Semrush ব্যাবহার করে Competitor এনালাইসিস করে কীওয়ার্ড বাঁচতে পারবেন।

আরো পড়ুন :লোকাল এসইও কি? লোকাল এসইও কি ভাবে আপনার ব্যবসা কে বাড়াতে পারে ?

কনটেন্ট অপটিমাইজেশন:

সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচনের পরে আপনার প্রথম কাজ হলো সেই কিওয়ার্ডগুলো সাপেক্ষে ভাল কনটেন্ট লেখা তথা কনটেন্ট অপটিমাইজেশন।কারণ এসইও জগতে ‘Content is King’ তাই আপনি আপনার কনটেন্ট কিভাবে লিখলেন,কত ভালো করে লিখলেন সেক্ষেত্রেও এ[নার এসইও অনেকটা নির্ভর করে।

কনটেন্ট অপটিমাইজেশন ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আপনি যখন একটি কন্টেন লিখছেন তো একটি পেজে একটি ফোকাস কিওয়ার্ড আপনার থাকা উচিত। সেই ফোকাস কিওয়ার্ড বা মেইন কীওয়ার্ড কে ঘিরে আপনি আরো অন্যান্য সেকেন্ডারি কিবোর্ড কে ব্যাবহার করে আপনার কনটেন্ট সাজাতে পারেন।

ভালো কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর জন্য আপনার কাছে সবচেয়ে ভালো হবে যে আপনি আপনার কনটেন্ট কে একটু বিস্তারিত ভাবে লিখুন। কারণ গুগোল সবসময় in-depth বিষয়গুলিকে বেশি প্রাধান্য দেয় তাই আপনি যদি আপনার কনটেন্ট কে একটু গভীরভাবে সব বিষয় গুলি আলোচনা করে লেখেন তাহলে আপনার কনটেন্ট গুগল এর কাছে তথা ইউসার দেড় কাছে ভালো মনে হবে আর আপনার কনটেন্ট এর রাঙ্ক করা সহজ হবে।

কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর জন্য EAT বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। EAT মানে হলে Expertize ,Authority আর Trust .সোজা কথায় আপনার কনটেন্ট যদি এমন কোনো ব্যাক্তি লেখেন যার সেই বিষয়ে পারদর্শিকতা আছে তবে আপনার কনটেন্ট অন্যদের থেকে ভালো রাঙ্ক করবে। তাই কনটেন্ট লেখার সময় আপনাকে হয় সেই বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে বা এমন কাউকে দিয়ে কনটেন্ট লেখাতে হবে যে সেই বিষয়ে দক্ষ।

অন পেজ এসইও কি?[On page seo কি]

On page seo হলো ওয়েবসাইট এ থাকা HTML কনটেন্ট এর কিছু পরিবর্তন করে সার্চ ইঞ্জিন কে ওয়েবসাইট টি সম্পর্কে জানানো, যার সাহায্যে নানা সার্চ ইঞ্জিন থেকে ওয়েবসাইট এ অর্গানিক ট্রাফিক আসতে পারে। মূলত On page seo বলতে টাইটেল,মেটা ডেসক্রিপশন,স্কিমা ,XML sitemap OPTIMIZATION ইত্যাদি বিষয় কে বোঝায়।টাইটেল ,মেটা ট্যাগ তৈরির জন্য Portent’s SERP Preview Tool বেশ ভালো।

টাইটেল মেটা ট্যাগ অপটিমাইজেশন

টাইটেল মেটা ট্যাগ এর ক্ষেত্রে সবসময় মেইন কীওয়ার্ড কে সবচেয়ে আগে ব্যাবহার করতে হয় কিভাবে রাখতে হয় এবং টাইটেল মেটা ট্যাগ এর শব্দের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০ টি শব্দের মধ্যে রাখা উচিত।

ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগ ১৬০টি শব্দের মধ্যে রাখতে হবে এবং আপনার পেজের মূল বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করে উল্লেখ করবেন দিতে পারেন ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগ এ। কিন্তু মনে রাখবেন কখনোই কীওয়ার্ড স্টাফিং বা একাধিক কিওয়ার্ড এক জায়গায় ইউজ করবেন না।

আরো পড়ুন :গুগল কিভাবে কাজ করে

যদিও টাইটেলটা গুরুত্বপূর্ণ তবে বর্তমানকালে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ফলে অনেক সময় আমাদের দেওয়াটা টাইটেল ,মেটা ডেসক্রিপশন সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে গুগল ইউসার এর সার্চ QUERY এর উপর নির্ভর করে মনের মত করে টাইটেল,মেটা ডেস্ক্রিপশনটি সাজিয়ে নেয়।মেটা ডেসক্রিপশন মূলত আমাদের পেজটি কি সম্পর্কে আছে তার সারাংশ হিসাবে লেখা উচিত।

এছাড়া কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর জন্য আপনাকে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন টাইটেল মেটা ট্যাগ,ডেসক্রিপশন মেটা ট্যাগ এসইও ফ্রেন্ডলি (SEO Friendly URL )ইউ আর এল , সঠিক হেডিং ট্যাগ , অল্ট ইমেজ মেটাডেটা , ইন্টারনাল লিংক এই সমস্ত ব্যাপারগুলি কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

এছাড়া আরো একটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখা উচিত কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর সময় তা হলো ছোট ছোট আর সরল বাক্যে নিজেদের কনটেন্ট কে উপস্থাপন করা।

আগে আলোচিত passage indexing ,subtopic ইনডেক্সিং এর ফলে গুগল বর্তমানে একই আর্টিকেল এর বিভিন্ন অংশ বুঝে সেগুলি কে গুগল এ আসা নানা সার্চ query এর সাথে মিলিয়ে গুগল সার্চ এ দেখায় তাই আপনার আর্টিকেল টি সহজেই নানা রকম টপিক বা বিষয়ের উপর রাঙ্ক করতে শুরু করবে। এছাড়া পুরো কনটেন্ট টি কে বুলেন্ট পয়েন্ট এর ব্যাবহার,নিয়মিত underline ,bold টেক্সট এর ব্যাবহার আপনার কনটেন্ট কে ইউসার তথা গুগল এর কাছে সহজবোধ্য করে তোলে।

এসইও ফ্রেন্ডলি (SEO Friendly URL )ইউ আর এল স্ট্রাকচার :

এসইও এর ক্ষেত্রে URL স্ট্রাকচার সুন্দর আর ছোট হয় দরকার।অযথা underscore.কোনো স্পেশাল ক্যারেক্টার URL এ দিলে গুগল তথা ইউসার এর কাছে এটা দুর্বোধ্য মনে হয় যা এসইও এর ভালো নয়।

ইমেজ এসইও

যদিও গুগলের সার্চ ইঞ্জিন বর্তমানে ইমেজ কি ভালোভাবে পড়তে শুরু করেছে তবুও ইমেজটি আরো সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন এ উপস্থাপন করার জন্য ইমেজ এসইও এর দরকার হয়ে পড়ে। ছোট ইমেজ সাইজ, ইমেজ নেম ,ইমেজ অল্ট ট্যাগ এ সঠিক কীওয়ার্ড এর ব্যাবহার এবং ইমেজের চারিদিকে কাছাকাছি অংশের বর্ণনা করার জন্য কিছু LONGTAIL কীওয়ার্ড থাকা উচিত কারণ।

আপনি যদি ইমেজের চারিধারে ইমেজটিকে ভালোভাবে বর্ণনা করতে পারেএমন শব্দ লেখেন সেক্ষেত্রে গুগল আপনার ইমেজ সম্পর্কে ভালো জানতে পারে এবং গুগল ইমেজ সার্চে আপনার সাইটের ইমেজ গুলি দেখায় যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট এ অতিরিক্ত ট্রাফিক পাবার সুযোগ এসে যায়।

টেকনিকাল এসইও

বর্তমানে অনপেজ এসইও ,অফ পেজ এসইও এর মতোই টেকনিকাল এসইও দারুন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে।আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট টিকে টেকনিক্যালি ভালো ভাবে এসইও এর জন্য উপস্থাপন না করেন তবে কিন্তু বেশ সমস্যা হতে পারে। টেকনিকাল এসইও বলতে প্রথমেই বলতে হয় https এর কথা। বর্তমানে https এ একটি গুগল রাঙ্কিং ফ্যাক্টর। তাই আপনার ওয়েবসাইট যদি https না এখনই উচিত তা https এ কনভার্ট করা।

বর্তমানে গুগল কোর ওয়েব ভিটালস (Google Core Webvitals ) এর আওতায় মোবাইল ফ্রেইন্ডলী ওয়েবসাইট,সেফ ব্রাউসিং ,https ,অকারণ বড় বিজ্ঞাপনী ব্যানার যা আপনার প্রাইমারি কনটেন্ট কে লোড হতে বাধা দেয় সেগুলি দূরে রাখা দরকার।এছাড়া আপনার ওয়েবসাইট এর লোডিং দ্রুত হতে হবে। গুগল এর সাজেশন ধরলে আপনার ওয়েবসাইট কে ২.৫ সেকেন্ড এর ভিতর পুরো লোড হতে হবে ।

আপনার ওয়েবসাইট যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ হয়ে থাকে আপনি নানা প্লাগিন যেমন Wp-Rocket ,WP Fastest Cache ব্যাবহার করে ওয়েবসাইট এর স্পিড বাড়াতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস ছাড়া অন্য CMS ব্যাবহার করলে ইমেজ কম্প্রেশন ,জাভাস্ক্রিপ্ট কম্প্রেশন এর উপরে গুগল এর recommendation এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এছাড়া ভয়েস সার্চ এর কথা মাথায় রেখে সঠিক স্কিমা(Schema data ) বা স্ট্রাকচার্ড ডাটা ব্যাবহার করা অবশ্যই দরকার। সঠিক স্কিমা ডাটা আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে গুগল কে আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানায় যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট featured snippet সার্চ আর রিচ টেস্ট ডাটা তে আস্তে পারে। আর এই সব গুলির জন্য আগে দরকার আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল সার্চ কনসোল এ সাবমিট করা।

সার্চ কনসোল এ সাবমিট করলে গুগল আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ন তথ্য যেমন crawling ,indexing ,ওয়েবসাইট error কোড,স্কিমা error কোড সম্পর্কে বিশদে জানাবে সমাধান করার উপায়সহ। এছাড়া গুগল পেজ এক্সপেরিন্স সম্পর্কে আপনার ওয়েবসাইট কে অপটিমাইজেশন করতে গেলে আপনার সার্চ কনসোল এর ডাটা প্রভূত সাহায্য করবে।

এছাড়া কীওয়ার্ড রাঙ্কিং ,ইম্প্রেশন ,ল্যান্ডিং পেজ এর পারফরমেন্স সম্পর্কে অনেক বিষয় আপনি জানতে পারবেন যেগুলি ব্যাবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গুগল ছাড়াও বিং ওয়েবসমাস্টার টুল এ ও আপনি আপনার ওয়েবসাইট টিকে সাবমিট করে বিং এসইও এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট টি কে অপটিমাইজেশন এর কাজ করতে পারবেন। অনেকেই বিং কে বিশেষ গুরুত্ব দেন না.কিন্তু এটা মনে রাখা উচিত গুগল এর মতো না হলেও মাইক্রোসফট বিং এর market share প্রায় ৬.১৮% যা প্রতিবছর বাড়ছে তাই বিং এর জন্য এসইও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট কে ভালো ট্রাফিক দিতে পারে।

অফ পেজ এসইও কি?

এবার আসা যাক অফ পেজ এসইও সম্পর্কে। টেকনিকাল এসইও,অনপেজ এসইও এর পর গুগল এর র্যাংকিং এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যাকলিংক বা অফপেজ সাবমিশন।

গুগল এর পুরো ক্রলিংএর ব্যাপারটি সরিয়ে আছে লিংক এর উপর। তাই অফপেজ এসইও এর জন্য প্রথমেই দরকার ভালো মানের একটু লিংক প্রোফাইল বানানো। গুগল কিন্তু বর্তমানে লিংক বিল্ডিং এর ব্যাপারে বেশ সতর্ক আর করা পদক্ষেপ নিয়েছে। গুগল পান্ডা ,পেংগুইন এলগোরিদম এর সাথে গুগল কিন্তু এখন প্রতিটি লিংক এর মানের ব্যাপারে বেশ বুঝতে পারে।

তাই আপনি যদি পুরাতন হিসাবে প্রচুর ডিরেক্টরি লিংক,আর্টিকেল লিঙ্ক করতে শুরু করেন গুগল সহজেই আপনাকে ধরে ফেলবে আর আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক প্রোফাইল spammy হিসাবে মনে করবে। লিংক বিল্ডিং এর কথা বলতে গেলে অনেকেই dofollow আর nofollow লিংক এর কথা মনে করেন। কিন্তু বর্তমানে গুগল nofollow লিংক কেও বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

তাই ইটা বলা যায় যে লিংক যদি ভালো সোর্স থেকে আসে আর রিলেভেন্ট মানে প্রাসঙ্গিক হয় তো যেকোনো লিংক এসইও এর জন্য ভালো।শুধুমাত্র হাই DA যুক্ত ওয়েবসাইট থেকে লিংক পেলেই যে আপনার ওয়েবসাইট ভালো র্যাংক করবে তা কিন্তু নয়। DA বা ডোমেইন অথরিটি Moz এর মেট্রিক গুগল এর নয় এটি মাথায় রাখতে হবে।

তাই অফপেজ এসইও এর জন্য আপনাকে লিংক বিল্ডিং করতে হবে ধীরে ধীরে।শুরু করুন ভালো গেস্ট পোস্ট ,ইন্ডাস্ট্রি স্পেসিফিক ডিরেক্টরি সাবমিশন আর অবশ্যই দরকার গুগল মাই বিসনেস (Google My Business ) এ প্রোফাইল ক্রিয়েশন।প্রতিটি ব্যাবসার ক্ষেত্রে আজ লোকাল এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে।

Google My Business লোকাল এসইও
Google My Business লোকাল এসইও

তাই শুরুতেই গ্লোবাল এসইও এর দিকে না ঝুকে আস্তে আস্তে লোকাল এসইও থেকে সিরু করা উচিত। সাথে সাথে long tail কীওয়ার্ড ব্যাবহার করে এসইও করতে হবে। এছাড়া youtube এসইও বা ভিডিও এসইও এর মাধ্যমে আপনার কনটেন্ট কে নানা মাদ্ধমে ছড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়া নানা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল এর সাহায্য প্রোফাইল তৈরী করে সোশ্যাল সিগন্যাল এর মাধ্যমে গুগল এর এসইও করতে হবে।

এনালিটিক্স এর ব্যাবহার:

সমস্ত এসইও এর কাজ করার পরে যেটি আসল ব্যাপার সেটি হলো তার সঠিক পরিমাপ। আর এর জন্য গুগল আমাদের হাতে দিতেছে গুগল এনালিটিক্স। গুগল এনালিটিক্স একটি এমন এনালিটিক্স সার্ভিস যার সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর যাবতীয় ইউসার তথ্য পেয়ে যাবেন।

গুগল এনালিটিক্স
গুগল এনালিটিক্স
গুগল এনালিটিক্স

কোন ল্যান্ডিং পেজ এর পারফরমেন্স কেমন,বাউন্স রাতে,কনভার্সন রিপোর্ট সমস্ত কিছু আপনাকে গুগল এনালিটিক্স বলে দেবে যা ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে এসইও এর সাথে সাথে পুরো ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্ট্রাটেজি করতে সহায় করবে। বর্তমানে গুগল এনালিটিক্স ৪ বাজারে এসেছে যেটি মূলত ইভেন্ট নির্ভর ও আগের Universal এনালিটিক্স এর থেকে উন্নত। গুগল তার মেশিন লার্নিং আর অ্যাডভান্সড রিসার্চ এর সব কিছু ধীরে দিতে এতে প্রয়োগ করছে যা এসইও তথা ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন এর জন্য সুন্দর কাজ করছে।

এস ই ও শিখতে কত দিন লাগে?

অনেকেই এস ই ও শিখতে ঠিক কতদিন লাগে সেটি জানতে চান.এখন এখানে মনে রাখতে হবে এস ই ও একটি খুবই প্রসারিত ক্ষেত্র। গুগল বছরে বহুবার তাদের সার্চ আলগোরিদম পরিবর্তন করে। সেই হিসাবে সব এস ই ও প্রফেশনাল কেই সেই হিসাবে নিজেদের স্কিল উন্নীত করতে হয়। এস ই ও তাই সব সময় পরিবর্তনশীল।

তবে এস ই ও এর প্রাথমিক বিষয় গুলি যেমন অন পেজ এস ই ও ,অফ -পেজ এস ই ও ,লিংকবিলডিং এই সব বিষয় গুলি মন দিয়ে শিখলে ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে। তবে আবার মনে রাখতে হবে যে এই তিন বা চার মাসে কিন্তু আপনি শুধু গোড়ার বিষয় গুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন তারপর আপনার আগ্রহ আর পরিশ্রমই আপনাকে একজন দক্ষ এস ই ও প্রফেশনাল হিসাবে গড়ে তুলবে।

এস ই ও এর ভবিষ্যৎ:

এস ই ও এর ভবিষ্যৎ উত্তর করতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে এস ই ও এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।যদিও যত দিন যাচ্ছে এস ই ও এর কাজ করার পদ্ধতি বদলাচ্ছে। এস ই ও কেবল আর কীওয়ার্ড ,কনটেন্ট optimization এর কাজ হচ্ছে না এর চেয়েও বেশি কিছু প্রয়োজন।

বর্তমানে সকল মানুষজন এর কাছেই ইন্টারনেট তথা মোবাইল ফোন এসে গেছে যার ফলে রোজি নতুন নতুন মানুষ ইন্টারনেট সার্চ এর সাথে যুক্ত হচ্ছেন এর ফলে এস ই ও প্রফেশনাল দেড় ও সঠিক তথ্য সঠিক সময় তুলে ধরার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। এস ই ও এর বিশ্বব্যাপি বাজার প্রায় ১২২ বিলিয়ন ডলার হতে যাচ্ছে ২০২৮ সাল নাগাদ।

বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল যেমন চ্যাট gpt আসার ফলে এস ই ও এর কাজ করার কিছু সুবিধা হয়েছে। তাই নতুন দিনে নতুন প্রযুক্তির বলে বলীয়ান হয়ে এস ই ও এর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এটা বলাই যায়.

মোবাইল দিয়ে এসইও:

মোবাইল দিয়ে এসইও করা যায়। প্রথমেই বলে নেয়া যাক আজকাল যে উন্নত মানের মোবাইল এসেছে সেই সব দিয়ে খুব সহজেই কনটেন্ট লেখা থেকে শুরু করে ,ভয়েস কম্যান্ড এর মাধ্যমে ভয়েস এর দিয়েই কনটেন্ট লেখা হয়ে যায়। এছাড়া কনটেন্ট এর গ্রামার এর জন্য গ্রাম্মারলি ,ইমেজ অল্ট টেক্সট ঠিক করা,ব্লগ কনটেন্ট ডুপ্লিকেট কনটেন্ট চেক ,ব্লগ পাবলিশ সব কিছুই মোবাইল দিয়ে করা যায়।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১৪ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা। | দেখুন LinkedIn প্রোফাইল

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

2 Comments on “এসইও কি?(seo ki bangla )এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।