Last Updated on: 22nd সেপ্টেম্বর 2024, 10:21 পূর্বাহ্ন
ফ্রিল্যান্সিং অর্থ কি? ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি: হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এই পোস্ট এ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।
আধুনিক জীবনযাত্রার অঙ্গ হিসাবে বর্তমানে মানুষ এ জীবিকার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগের মতো অনেক মানুষ আজ আর শুধু ৯ ঘন্টার বাধা চলে কাজ করতে চায় না। অনেকে বাধা গত এর চাকরি করতে চায় না।
বরং নিজের সময়মতো ঘরে বসে কাজ করতে সে বেশি স্বচ্ছন্দ। আর এই সুবিধা একমাত্র ফ্রীল্যানসিং এ পাওয়া সম্ভব। আর এই সমস্ত কারণে ফ্রিল্যান্সিং তাই অনেকের কাছে আজ দারুন উপার্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Upwork এর হিসাব অনুযায়ী, শুধু ২০১৯ সালে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক ফ্রীল্যানসিং এ যুক্ত ছিলেন যা ২০১৪ এর তুলনাতে প্রায় ২ মিলিয়ন বেশি। আবার অনেকে এমন আছেন যারা নিজের চাকরি ছেড়ে ফ্রীল্যানসিং করছেন শুধু স্বাধীনভাবে কাজ করবেন বলে।
উদহারণ হিসাবে Melyssa Griffin এর নাম করা যেতে পারে। যিনি জাপান এ একজন প্রিস্কুলঃ টিচার ছিলেন। কিন্তু একদিন হঠাৎ একটা স্কুল এর ফ্লায়ার এর প্রজেক্ট হাতে পেয়ে বুঝতে পারেন যে তার আসল ভালোলাগা ব্লোগ্গিং আর গ্রাফিক্স ডিসাইন। তিনি এখন টিচার এর কাজ ছেড়ে একজন সফল ব্লগার ও ফ্রীলান্সার।
ফ্রীল্যানসিং এর কথা বলতে গেলে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে। সকল ফ্রীলান্সার দের মধ্যে প্রায় ২৪% ফ্রীলান্সার এর যোগান দেয়। বাংলাদেশ এর ক্ষেত্রে সংখ্যা টি হলো ১৬% .Oxford Internet Institute (OII) এর মতে প্রায় ৫০০০০ সক্রিয় ফ্রীলান্সার বাংলাদেশ এ বর্তমানে কাজ করছেন। রেজিস্টার্ড ফ্রীলান্সার দের সংখ্যা তা ধরলে তা হয় প্রায় ৬৫০০০।
তাই এই সমস্ত হিসাব বা পরিসংখ্যান সহজেই বলে দেয় আজ ফ্রীল্যানসিং এর গুরুত্ব ঠিক কতখানি।তাই বাংলাদেশ বা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের কাছে আধুনিক অর্থনীতির দিশারী হয়ে দাঁড়িয়েছে ফ্রীল্যানসিং যেকানে আপনি কোনো বাধানিষেধ বা কারোর কাছে চাকরি না করেও মাসে ভালো উপার্জন করতে পারেন।
শুধু সফল ভাবে ফ্রীল্যানসিং শুরু করার জন্য আপনার দরকার কিছু বিশেষ স্কিল। ফ্রীল্যানসিং মানেই কিন্তু চটজলদি সাফল্য নয়। ফ্রীল্যানসিং এর জন্য লাগে প্রচুর ধৈর্য আর সঠিক স্কিল। তাই আজকের এই পোস্ট এ আপনাদের জানাবো ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এমন ৮টি কাজের কথা।
তাহলে আসুন শুরু করা যাক! নিচে প্রতিটি কাজের একটি গড় অনলাইন আয় এর হিসাব দেয়া হয়েছে।তবে সময়বিশেষে আর ক্লায়েন্ট এর চাহিদা অনুযায়ী এত কমতে বাড়তে পারে।
সূচিপত্র
ফ্রিল্যান্সিং অর্থ কি?
ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থ হলো একটি বিকল্প পেশা যেখানে আপনি আপনার সময়মতো এক বা একাধিক ক্লায়েন্ট এর কাজ অনলাইন বা অফ লাইন হোক যেকোন মাধ্যমেই করতে পারেন।তবে আপনাকে বাঁধাধরা ৯ঘন্টার কোনো সীমার মধ্যে কাজ করতে হয় না। ক্লায়েন্ট এর কাজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করলেই আপনার কাজ শেষ।
ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ
১. Account Executive
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন তার মধ্যে Account Executive বেশ ভালো একটি কাজ।
আপনি যদি হিসাব নিকাশ, ফিনান্স এই সব সম্পর্কে আগ্রহী হন আর এই সম্পর্কিত কাজ জেনে থাকেন তবে ফ্রীল্যানসিং এর দুনিয়া তে আপনার অনেক কদর থাকবে এটা নিশ্চিত!
একজন সফল একাউন্টেন্ট হিসাবে একাউন্ট সামলে,নতুন ব্যাবসার জন্য সুযোগ তৈরী ,পোর্টফোলিও বানানো, ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং এই সব কাজ যদি আপনি ফ্রীলান্সার হিসাবে করে থাকেন তবে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন।
একজন Account Executive হিসাবে আপনার যায় গড়ে ঘন্টায় ৪৩ মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
২. Copywriter
আপনি কি লেখালেখি তে দক্ষ? তবে আপনি একজন সফল Copywriter হিসাবে ভালো আয় করতে পারবেন শুধু ফ্রীল্যানসিং করে। SEO,অনলাইন এডভার্টাইসিং এ জ্ঞান যদি থাকে তবে তো আরো ভালো।
ট্যাগলাইন ,আর্টিকেল ,ইবুক ,ব্লগ ,ল্যান্ডিং পেইজ ডিসাইন করে আপনি সহজেই গড়ে ঘন্টায় ৩৮ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন ।যেহেতু কনটেন্ট মার্কেটিং যেকোনো এডভার্টাইসিং এর একটি অবিচ্ছদ্য অংশ তাই ভালো কপিরাইটার দের চাহিদা সব সময় আছে।
৩. PR Manager
আপনার যদি PR Manager হিসাবে ৫ বা ৬ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনার জন্য ফ্রীল্যানসিং বেশ আকষর্ণীয় হতে পারে।PR Manager হিসাবে আপনার কাজ হবে আপনার ক্লায়েন্ট বা কোম্পানি এর ভাবমূর্তি গড়ে তোলা।প্রতিটি ছোট বড় কোম্পানি PR Manager নিযুক্ত করে।
গণমাধ্যম যেমন সংবাদপত্র ,ডিজিটাল মিডিয়া ,প্রেস কনফারেন্স সামলানোর মতো সব কাজ PR Manager করে থাকেন। ভালো কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি গড়ে ঘন্টায় ৫২ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন ।
আরো পড়ুন :বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
৪. Professor
ই -লার্নিং বর্তমান সময় বেশ ভালো একটি শিক্ষামাধ্যম। বিশেষ করে করোনা আবহে মানুষ যখন একপ্রকার গৃহবন্দী ছিল তখন কিন্তু ই -লার্নিং ব্যাবস্থার মাহাত্ম সকলে বুজতে পেরেছেন আশা করি। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে প্রফেশনাল এডুকেশন সব ক্ষেত্রেই আজ ই -লার্নিং দারুন কার্যকরী।
তাই আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন বিশেষ করে প্রফেসর বা টিচার হন তবে ফ্রীল্যানসিং আপনার জন্য বেশ ভালো আয়ের সন্ধান দিতে পারে।আপনি যদি পোস্ট ডক্টরেট হন তবে আপনি সহজেই সেশন হিসাবে ঘন্টায় গড়ে ৪১ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
৫.Technical Writer
টেকনিকাল রাইটার হিসাবে আপনার যদি দক্ষতা থাকে তবে ফ্রীল্যানসিং আপনার জন্য বেশ ভালো। টেকনিকাল রাইটার বলতে আপনাকে কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে বেশ ভালো করে হবে।
উদহারণ হিসাবে আপনি যদি এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট এর উপর টেকনিকাল রাইটার হিসাবে লিখতে চান তবে আপনাকে এন্ড্রয়েড app ডেভেলপমেন্ট সাইকেল ,কোডিং,IDE ,বাগ ফিক্সিং এই সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে। আপনার যদি এক্ষেত্রে এন্ড্রয়েড app এর বিষয়ে কোনো ডিগ্রী বা টেকনিকাল কোর্স করা থাকে তবে টেকনিকাল রাইটার হিসাবে আপনি অনেক বেশি পরিশ্রমিক দাবি করতে পারবেন।
একজন টেকনিকাল রাইটার হিসাবে আপনাকে প্রেস রিলিজ,জার্নাল,প্রোডাক্ট ম্যানুয়াল,ট্রাবলশ্যুটিং গাইড লিখতে হতে পারে।কাজটি একসঙ্গে চ্যালেঞ্জিং আর দারুন ইন্টারেষ্টিং। ঘন্টায় গড়ে ৪৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুন:সেরা ১৮টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া
৬. Freelance Data Analyst
ডাটা এনালাইসিস বর্তমানে একটি অত্যন্ত সম্ভবনাময় ক্ষেত্র। বর্তমানে কম্পিউটার তেজে শুরু করে মোবাইল ,ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে’ Big Data’ সবক্ষেত্রে ডাটা এনালাইসিস এর ব্যাবহার বাড়ছে।অনেক বড়ো আর জটিল ডাটা বা তথ্য কে বিশ্লেষণ করে তার থেকে কাজের জন্য দরকারি ডাটা বা তথ্য কে নিয়ে নানা প্রাকটিক্যাল কাজে লাগানো মূলত ডাটা অন্যালসিসিস এর মূল বক্তব্য।
একজন সফল Data Analyst হতে গেলে আপনাকে গণিত ,স্ট্যাটিসটিক্স ,সম্পর্কে ভালো করে জানতে হবে। এছাড়া নানা ডাটা প্রসেসসিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন SQL ,Excel, Tableau সম্পর্কে ভালো জানতে হবে। এছাড়া Python, algorithms, R for statistical analysis, Unix, Git সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
একজন পেশাদার Freelance Data Analyst হিসাবে আপনি ৩৬ থেকে ২০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ইনক্যেমে করতে পারবেন প্রতি ঘন্টায়।
৭. Freelance SEO consultants
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর বিষয়ে যদি আপনার জ্ঞান থাকে আর আপনার যদি মোটামুটি ২-৪ বছরের মতো এই বিষয়ে কাজ করে থাকেন তবে ফ্রীল্যানসিং এর মতো আর কিছু হয় না। আপনি যদি অনপেজ ,অফপেজ এসইও সম্পর্কে ভালো ভাবে জানেন,কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন তবে আপনি সহজেই ফ্রীল্যানসিং করে আপনার ক্যরিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
এসইও এর সাথে সাথে গুগল এনালিটিক্স ,গুগল এডস সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অনেক প্রজেক্ট এর উপর ফ্রীল্যানসিং এর উপরে কাজ করতে পারবেন যা আপনার অনলাইন ইনকাম কে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারবে।এছাড়া টেকনিকাল এসইও বিষয়ে আপনি দক্ষ হলে আপনার এসইও করে আয় এর পরিমান আরো বেড়ে যাবে। Search Engine Journal এর তথ্য অনুজীয়ে ২০১৮ সালে একজন Freelance SEO consultant এর প্রজেক্ট পিছু আয় ছিল প্রায় ১৭৭৯ মার্কিন ডলার।
৮. Web Developer
Web Developer হিসাবে আপনার প্রধান দায়িত্ব হলো ওয়েবসাইট তৈরী তথা তার রক্ষনাবেক্ষন। তাই ফ্রীল্যানসিং এর দুনিয়াতে একজন Web Developer এর আয় বেশ ঈর্ষণীয়। কোডিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ইন্টিগ্রেশন সব কাজ একজন ওয়েব ডেভেলপার কে করতে হয়।
তবে ওয়েব ডেভেলোপলমেন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার। তাই আপনি যদি একজন ভালো ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হন আর আপনার প্লাগিন,থিম customization সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে তবে আপনি সোহকেই ঘন্টায় গড়ে ৩৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন অনেকেই এই প্রশ্ন করে থাকেন।কিন্তু মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে গেলে আপনাকে কিন্তু যেকোনো একটি স্কিল তৈরী করতে হবে একটি বিষয়ে। সেটি গুগল এড হতে পারে,ফেইসবুক এড হতে পারে,গ্রাফিক ডিসাইন হতে পারে।
আবার আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং করতে ভালোবাসেন তবে upwork ,ফ্রীলান্সার এই সমস্ত ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলিতে এর চাহিদাও অনেক। এরসাথে থাকে হবে আপনার ইংলিশ লেখা আর বোঝার ক্ষমতা আর বেসিক কমিউনিকেশন স্কিল। এছাড়া আপনার কাছে কাজের জন্য একটি ইন্টারনেট কানেকশন ব্রডব্যান্ড কানেকশন হয়ে ভালো আর ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ।
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?
হাঁ ফ্রিল্যান্সিং মোবাইলে করা যায়। তবে ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল থেকে করতে গেলে এর কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিছু কিছু কাজ যেমন কনটেন্ট রাইটিং ,সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ,অনলাইন ভয়েস রেকর্ডিং এই সব কাজ ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল থেকে করা যায়।
বর্তমানে WPS অফিস,ভয়েস টু টেক্সট এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে আপনি মুখে বলেই কনটেন্ট রাইটিং মোবাইল থেকে করে নিতে পারবেন শুধু একটু এডিটিং দরকার পড়বে। তবে সকল কাজ এ অনেক বেশি মাত্রায় হার্ডওয়্যার রিসোর্সে এর দরকার থাকে যেমন ভালো মানের ভিডিও এডিটিং ,মেশিন লার্নিং কোডিং এর জন্য মোবাইল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করা একটু অসুবিধাজনক।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি?
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।বর্তমানে অনেকেই এর অফিস গিয়ে রেগুলার শিফট এ কাজ করতে চাইছেন না. এর অনেক কারণ আছে অফিস এ গেলে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম গন্ডির মধ্যে থাকতে হয় যা অনেক ক্রিয়েটিভ মানুষ পছন্দ করেন না। তারা নিজের সময় আর মুড মতো কাজ করতে চান।
এই জন্যই বর্তমানে covid এর পরবর্তী সময়ে অনেকেই রেগুলার জব ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইছেন। ভারতে বর্তমানে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ফ্রীলান্সার নানা বিষয়ে কাজ করছেন আর সংখ্যাটা ২০২৫ নাগাদ ২০-৩০ বিলিয়ন হয়ে যাবে বলেই সংশ্লিট মহলের ধারণা।
ফ্রিল্যান্সিং এই জনপ্রিয়তার কারণ যেমন একদিকে কাজের স্বাধীনতা আর ওপর দিকে বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি তাদের খরচ বাঁচানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে আগ্রহী হচ্ছেন।
শেষ কথা :
আশা করি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে।যদি এই বিষয়ে আরো জানতে চান তবে দয়া করে কমেন্ট বাক্স এ কমেন্ট করতে ভুলবেন না আর পোস্ট ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।