ইন্টারনেট কাকে বলে ? শিক্ষায় ইন্টারনেট :সুবিধা অসুবিধে

শিক্ষায় ইন্টারনেটের সুবিধা অসুবিধে

Last Updated on: 27th আগস্ট 2024, 08:40 পূর্বাহ্ন

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা ইন্টারনেট কাকে বলে,  শিক্ষায় ইন্টারনেটের ভূমিকা (Role of Internet in Education)সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ইন্টারনেট আধুনিক দুনিয়ার একটি বিস্ময়। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি স্তম্ভ বলে ইন্টারনেটকে আজ মনে করে যেতে পারে। যোগাযোগ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা বিনোদন থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সমস্ত ক্ষেত্রেই আজ ইন্টারনেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আজকের এই পোস্টে আমরা বিশেষ করে শিক্ষায় ইন্টারনেটের ভূমিকা,অনলাইন শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে একটু বিশদে আলোচনা করব।

তো আসুন শুরু করা যাক।

ইন্টারনেট কাকে বলে ?

ইন্টারনেট হল পরস্পর সংযুক্ত অনেকগুলি কম্পিউটারের বিশ্ব বাপি নেটওয়ার্ক যা সাহায্যে সহজেই আমরা তথ্য আদান-প্রদান থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারি। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে বসে অনুপ্রান্তের মানুষের সাথে কোন বাধা ছাড়াই যোগাযোগের মাধ্যম হলো ইন্টারনেট।

সাধারণভাবে ট্রান্স মিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল এবং ইন্টারনেট প্রটোকল এর উপরে কাজ করে থাকে এই ইন্টারনেট বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি প্রাইভেট পাবলিক বিজনেস এবং গভমেন্ট সেক্টরের উপরে সর্বক্ষণ কাজ করে থাকে তো আজকের জীবনে আমরা ঘরে বসে ইউটিউব ভিডিও দেখি বা বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজই করি সমস্ত কিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে যাবে।

ইন্টারনেটের প্রকার

মোটামুটিভাবে বলা যায় , ইন্টারনেট বর্তমানে সাত রকম নিচে এই সাত রকম ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে

ডায়ালাপ ইন্টারনেট

ইন্টারনেট সবচেয়ে পুরনো ইন্টারনেটের মধ্যে অন্যতম এই ডায়ালাপ ইন্টারনেট মূলত কি টেলিফোন লাইনকে ব্যবহার করে তার ইন্টারনেট পরিষেবার দিয়ে থাকে মূলত ওই ডায়লাপ ইন্টারনেট বর্তমানে আর ব্যবহার করা হয় না এটি ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে এবং ২০০০ সালের শেষ পর্যন্ত অনেক জায়গায়ই ব্যবহার হতো এবং এই প্রকার ইন্টারনেটের পিঠ খুবই কম ৫৬ কেবিপিএস এর বেশি হয় না।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

বর্তমানে এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সবচেয়ে জনপ্রিয়তম ইন্টারনেট পরিষেবার মধ্যে একটি এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বর্তমানে সকল মানুষকেই হাই স্পিড ইন্টারনেট দিয়ে থাকে এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আবার দুই রকম হয় । একটি হলো ডিএসএল বা ডিজিটাল subscriber line জেটি টেলিফোন লাইনকে তাদের কানেকশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও টেলিফোনের কথোপকথন কি কোনোভাবে ব্যবহার করেন এই ডিএসএল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পিড কয়েকটি বিপিএস থেকে শুরু করে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে।

ফাইবার অপটিক কেবল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

এরপরে আসছে কেবল ব্রডব্যান্ড যার মাধ্যমে হাই স্পিড ইন্টারনেট ফাইবার অপটিক কেবল এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং এই হাই স্পিড ফাইবার অপটিক কেবলের ইন্টারনেট স্পিড ১০০ এমবিপি থেকে শুরু করে প্রায় ১ জিবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে জনপ্রিয়তম ইন্টারনেট পরিচিত হিসেবে সকল দেশে পরিচিতি হচ্ছে মূলত অনলাইন গেমিং থেকে শুরু করে ইউটিউব ভিডিও দেখা অনলাইন স্টিমিং দৈনন্দিন ঘরের এবং নানা বিজনেসের কাজ এই হাই স্পিড ফাইবের অপটিক কেবল এর মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়।

ওয়ারলেস ইন্টারনেট

ওয়ারলেস ইন্টারনেট এই ওয়ারলেস ইন্টারনেট হল ইন্টারনেট পরিষেবা যেখানে কোন তারে সাহায্য ছাড়াই রেডিও তরঙ্গ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে তারের ঝামেলা না থাকায় বর্তমানে এই ওয়্যারলেস ইন্টারনেটে জনপ্রিত দুদিন অনেক বাড়ছে।

এই ওয়ারলেস ইন্টারনেট পরিষেবার মধ্যে প্রতিমা উল্লেখ করতে হবে মোবাইল ব্রডব্যান্ড বর্তমানে জনপ্রিয় একটি ইন্টারনেট পরিষদের মাধ্যম যার মাধ্যমে মোবাইল থেকে শুরু করে ল্যাপটপ ট্যাব ইত্যাদি বিভিন্ন পার্সোনাল ডিভাইসে মানুষ হাই স্পিড ইন্টারনেট বর্তমানে কয়েক এমবিপিএস থেকে শুরু করে প্রায় ৩০০ ৪ ৫০০ হতে পারে মূলত ফোরজি /৫ জি ইন্টারনেট পরিষেবা আসার পরে মানুষ এই মোবাইল ইন্টারনেট বা মোবাইল ব্রডব্যান্ড যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করছেন।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট হলো বর্তমানে ইন্টারনেট পরিষেপারেটি আধুনিক মাধ্যম যার ফলে সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট মানুষের ঘরে পৌঁছে যায়। বিভিন্ন গ্রামীন এলাকা বিভিন্ন পার্বত্য পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় যেখানে ব্রডব্যান্ড বা অন্যান্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেয়া সম্ভব হয় না বর্তমানে এই রকম স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার খরচ প্রথমদিকে কিছুটা বেশি হলেও পরবর্তীকালে এই খরচ কমার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

ধীরে ধীরে এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেটেও অনেক মানুষ ব্যবহার করছে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের উদাহরণ বলতে গেলে জিও এয়ার ফাইবার , ভারত এয়ার ফাইবার, স্টার লিংক এই সমস্ত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা কথা বলতে হয় এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবারও ইন্টারনেটের গতি অনেক বেশি কয়েক এমবিপিএস থেকে শুরু করে কয়েক জিবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে এই স্যাটেলাইটের স্পিড।

শিক্ষায় ইন্টারনেট এর সুবিধা

১. চটজলদি প্রশ্নের সমাধান (সার্চ ইঞ্জিন এর ব্যাবহার)

যত দিন যাচ্ছে ইন্টারনেট এর ব্যাবহার তত বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সার্চ ইঞ্জিন এর ব্যাবহার।গুগল,ইয়াহু,বিং এই সব সার্চ ইঞ্জিন গুলি আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সারা বিশ্বে গুগল এ প্রতি সেকেন্ড এ প্রায় ৪০০০০ সার্চ করা হয়।

শুধু বাংলাদেশ এ আজ প্রায় ৯ কোটি মানুষ আজ ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন। তাই শিক্ষায় সার্চ ইঞ্জিন এর ব্যাবহার অনস্বীকার্য হয়ে উঠবে এটা আর আশ্চর্য কি।

দৈনন্দিন জীবনে বা শিক্ষাক্ষেত্রে যখন কোন প্রশ্নের সম্মুখিন আমরা হই তখনই গুগোল ইয়াহু ইত্যাদি সার্চ ইঞ্জিন এর সাহায্যে আমরা মিনিটের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই তা কোন ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট ই হোক কিংবা কোনো অনলাইন সাইন্স প্রজেক্ট বিষয়ক বিষয় ই হোক গুগল, ইয়াহু ,বিং এই সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহার করে আমরা তৎক্ষণাৎ আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যাই।

২.অতিমারী Covid -১৯ এর দাপট (অনলাইন শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার)

বিগত কয়েক মাসে অতিমারী Covid -১৯ এর দাপটে ইন্টারনেটের গুরুত্ব এক বাক্যে বহুগুণ বেড়ে গেছে। Covid -১৯ এর কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ছাত্র-ছাত্রী প্রথাগত ক্লাসরুম থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং সেই সুযোগে ইন্টারনেটে শিক্ষাক্ষেত্রে একমাত্র সহায় উঠেছে।

তাই এই সময়ে বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজে ভার্চুয়াল টিউটরিং,ভিডিও কনফারেন্সিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন লার্নিং সফটওয়্যারট ব্যাপক ভাবেপ্রসারিত হয়েছে।

উদহারণ হিসাবে ভারতবর্ষের বাই জুস অ্যাপ টি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে বর্তমানে এই বাই জুস অ্যাপ টি পৃথিবীর শীর্ষ এডুটেক কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বাই জুস এর ফ্রি ক্লাসের এনাউন্সমেন্ট হওয়ার পর থেকে অ্যাপটির প্রায় ২০০ % বৃদ্ধি হয়েছে।

তাই এখান থেকে সহজেই বয়ে যাচ্ছে অনলাইন শিক্ষায় ইন্টারনেটের গুরুত্ব ঠিক কতটা ! এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সহজেই ভবিষতে কোনো এই রকম অতিমারী বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর সময় ইন্টারনেট কে প্রথাগত শিক্ষার বিকল্প ভাবতে শুরু করতে পারি।

৩.ইন্টারনেট শিক্ষাব্যাবস্থা কম খরচ

অতিমারী Covid -১৯ যেমন একদিকে বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে তেমন বহু মানুষ জীবিকায় হারিয়েছে। তাই এই অবস্থায় প্রথাগত শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় খরচেও টান পড়েছে।

তাই একদিকে সংক্রমণ আর একদিকে কম খরচ এর জন্য ইন্টারনেট শিক্ষাব্যাবস্থা দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়াল, পিডিএফ সার্চ, পিডিএফ ডকুমেন্ট, অনলাইন ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, পাওয়ারপয়েন্ট প্রেসেন্টেশন এই সমস্ত অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার মান অনেকটা বেড়ে গেছে।

৪.ওয়ান টু ওয়ান সেশন

অনলাইন শিক্ষা কম খরচের সাথে সাথে ওয়ান টু ওয়ান সেশন ও ইন্টারসেটিভ সেশন এর দৌলতে শিক্ষক আর ছাত্রছাত্রী উভয়েই উপকৃত হচ্ছেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, মেসেজিং অ্যাপ, হোয়াটস্যাপ গ্রুপ এর সাহায্যে স্টুডেন্ট এবং টিচার পরস্পর একে অপরের সাথে মতামত আদান প্রদান করতে পারে। বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম যেমন জুম্ ,ফেসবুক লাইভ হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ভালো মানের শিক্ষা পেতে পারেন।

আরো পড়ুন :নষ্ট সিম কার্ড ঠিক করার উপায় জেনে নিন

৫. ঘরে বসে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যাবস্থা

শুধুমাত্র দূরত্ব আজ অনলাইন শিক্ষা তে আজ আর কোনো বাধা নয়। আপনি মিরপুরে বসে দেখে নিতে পারেন অক্সফোর্ড এর কোনো রিসার্চ পেপার। প্রয়োজনে সরাসরি লেখক এর সাথে ইমেইল এ যোগাযোগ করতে পারেন আপনার মতামতের জন্য। এর এই সবই সম্ভব হয়েছে শিক্ষায় ইন্টারনেটের প্রসার এর জন্য।

অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় স্টুডেন্টরা শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের উপর নির্ভর না থেকে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে নিজেদের জ্ঞান কে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে ঘরে বসে শুধু মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে। এই রকম ব্যবস্থা ইন্টারনেট ছাড়া আর কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না।

অতীতে শিক্ষার জন্য শুধু প্রাচ্য সম্পর্কে জানতে হুয়েন স্যাং থেকে শুরু করে ইবন বতুতা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছিলেন।প্রসঙ্গত ইবন বতুতা প্রায় ৭২০০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিলেন। ইন্টারনেট এর জামানায় সেটি আজ একটি ক্লিক এ পরিণত হয়েছে।

আরো পড়ুন :সামাজিক নেটওয়ার্ক এর সুফল ও কুফল

৬. লেটেস্ট ইনফরমেশন

শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে আবদ্ধ না থেকে থেকে সদা পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীর নানা রকম তথ্য খুব সহজেই আমরা একটি ক্লিকের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছি হাতে হাতে। তাই সব সময় আমরা নিজেরা আপডেটেড থেকে সেই তথ্য গুলি আমরা আমাদের প্রয়োজনে শিক্ষার জন্য কাজে লাগাচ্ছি। বিভিন্ন রিসার্চ পেপার জার্নাল ঘেঁটে সুন্দরভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে স্টুডেন্টরা এগিয়ে যাচ্ছে।

৭. যখন খুশি তখন পড়ুন

অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার আরেকটি সুবিধা হল আপনি আপনার সময় মত যখন খুশি আপনার পড়াশোনাগুলো করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে রেকর্ড করে রাখে ওয়েবিনার, ভিডিওস, স্লাইড শেয়ার গুলি আপনি আপনার সময় মত দেখে নিয়ে অংশটি পূর্ণ করতে পারেন।

শিক্ষায় ইন্টারনেট এর অসুবিধা

এবার আসা যাক শিক্ষায় কিছু অসুবিধা সম্পর্কে। যদিও অনলাইন শিক্ষায় ইন্টারনেটের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবুও এই ব্যাবস্থার মধ্যে রয়েছে কিছু সীমাবদ্ধতা।

আরো পড়ুন :শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট কি ভাবে করা যায়?

সেলফ ডিসিপ্লিনের অভাব (অনলাইন শিক্ষা কে হালকা করে নেয়া)

অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেকেই হালকা ভাবে নেন সে ক্ষেত্রে আসল শিক্ষার বদলে পরিবর্তে শুধুমাত্র কিছু পিডিএফ ডাউনলোড এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করেই অনেকে ক্ষান্ত হন এবং প্রকৃত শিক্ষা এর ফলে তারা এর থেকে নিতে পারেন না।

এটি ইন্টারনেটে কোনো দোষ না। যিনি অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় এইভাবে স্বচ্ছন্দ নন। প্রকৃত যোগাযোগ নাথাকর কারণে বা ক্লাসরুম এ না যাবার ফলে অনেকে এটি কে একটি সময় কাটাবার মাধ্যম হিসাবে নেন। শুধু চ্যাটিং ,বিনোদনের জন্য ব্যাবহার করেন।

দ্রুত ইন্টারনেট না থাকলে অসুবিধে

অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় ভালো ইন্টারনেট কানেকশন না থাকলে এই অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকরী নয়। এর সাথে আপনাকে ইন্টারনেট , কম্পিউটার পিসি এবং মোবাইল চালাতে জানতে হবে অন্তত প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে।

ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশে যদিও ইন্টারনেটের বিস্তার আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তবুও ভারতের এমন এমন প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে এখনো ইন্টারনেটের দৌড় তেমন নয় তাই সে ক্ষেত্রে এই সমস্ত জায়গাতে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা অসুবিধা হতে পারে।

শেষ কথা :
আশা করি শিক্ষায় ইন্টারনেটের ভূমিকা পোস্ট আপনাদের ভালো লাগলো।পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন।

আরো পড়ুন :১০টি দারুন ফ্রি অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।