Last Updated on: 5th সেপ্টেম্বর 2021, 04:56 পূর্বাহ্ন
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা এই পোস্ট এ LED মনিটর (এলইডি মনিটর) কি তার নানা ব্যাবহার আর led মনিটর ব্যাবহার এর সুবিধাগুলি ,এলসিডি ও এলইডি মনিটরের পার্থক্য কি সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।তো আসুন শুরু করা যাক।
আসুন জেনে নি ।
সূচিপত্র
LED মনিটর কি ?
LED মনিটর এর পুরো কথাটি হলো light-emitting diode monitor. led মনিটর মূলত কম্পিউটার বা টেলিভশন এর ফ্লাট ডিসপ্লে ইউনিট হিসাবে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। LEDমনিটর আর LCD মনিটর এর তফাৎ মূলত এর বাকলাইটিং এর উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে।
প্রাথমিক সময়ের LCD স্ক্রিনগুলি মূলত CCFL (cold cathode fluorescent lamp) ব্যাবহার হতো কোনটা মনিটর এর ব্যাকপ্যানেল আলোকিত করার জন্য যা পরে LED এ পর্যবসিত হয়। বর্তমানে এর উজ্জ্বলতার কারণে LED মনিটর বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নানা আউটডোর স্পেস ,যানবাহন,ডিজিটাল বিলবোর্ড এ আজ LED মনিটর প্রচুর ব্যাবহার হচ্ছে।
LED মনিটর এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
প্রথম LED মনিটরটি James P. Mitchell,১৯৭৭ সালে তৈরী করেছিলেন। যদিও প্রথম আনুষ্ঠানিক ভেবে SEF (Science and Engineering Fair) এ ১৯৭৮ সালে ১৮মার্চ প্রথম LED মনিটর এর প্রোটোটাইপ সর্বসাধারণ এর কাছে উন্মুক্ত করা হয়েছিল।এর পর ১৯৮০ সালে Aluminium Indium Gallium Phosphide LEDs বাজারে এলো। এর পর Shuji Nakumura, Blue LED এর Indium Gallium Nitride এর আবিস্কার করলেন যা পরবর্তী কালে LED টেকনোলজির জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
আরো পড়ুন :কম দামে ভালো স্মার্ট টিভি
এলসিডি ও এলইডি মনিটরের পার্থক্য কি?
আমরা অনেকে LCD ও LED মনিটর এর মধ্যে গুলিয়ে ফেলি।কিন্তু LCD আর LED মনিটর এর মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। LED যেখানে PN-Junction diode ব্যাবহার করে লাইট এমিশন এর জন্য সেখানে LCD ব্যাবহার করে liquid crystal plasma.এছাড়া LED মনিটর gallium arsenide আর gallium phosphide ব্যাবহার করে যেখানে LCD ব্যাবহার করে liquid crystal filament এর পাতলা পরত যা ফোটন কোন রূপে আলোক বিচ্ছুরণ এর সময় কাজ করে। তাই LCD ও LED এই দুই টেকনোলজি এর মধ্যে ভালোই প্রযুক্তিগত তফাৎ আছে।
OLED vs. LED মনিটর এর পার্থক্য কি?
OLED মনিটর আবার LED মনিটর এর থেকে কিছুটা আলাদা।যদিও OLED মনিটর LED মনিটর এর কিছুটা আধুনিক বিবর্তিত রূপ তবে এদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। LED মনিটরগুলির যেখানে আলোক বিচ্ছুরণ এর জন্য বাকলাইটিং এর দরকার হয়ে পরে সেখানে OLED মনিটর self -illuminating টেকনোলজি তে কাজ করে। OLED মনিটর গুলির ব্রাইটনেস LED মনিটর এর থেকে বেশি তাই স্বভাবতই OLED মনিটর এর দাম LED মনিটর এর থেকে কিছুটা বেশি।
আরো পড়ুন :ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
FULL LED ও . LED মনিটর এর পার্থক্য কি?
বাজারে আবার এখন FULL LED মনিটর এসেছে। তাই FULL LED ও . LED মনিটর এর তফাৎ বোঝা দরকার। FULL LED মনিটর এর ক্ষেত্রে সারা মনিটর এর মধ্যে সমান ভাবেআলো ছড়িয়ে থাকে সমান ভাবে যেটা LED মনিটর এর ক্ষেত্রে হয় না ও LED মনিটর diffuser এর উপর নির্ভর করে।
LED মনিটর ব্যাবহার করার সুবিধে :
LED মনিটর ব্যাবহার করার অনেক সুবিধে আছে। যা নিচে বর্ণনা করা হলো.
১.LED মনিটর দামে কম আর এর Dimming রেঞ্জ বেশ ভালো।
২.LED মনিটর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ি আর অনেক সময় ২০ watt এর কম বিদ্যুৎ এ চলতে সক্ষম যেগুলি অন্যান্য মনিটরদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
৩.LED মনিটর এর dynamic contrast ratio বেশ ভালো।
৪.সর্বোপরি LED মনিটর পরিবেশ বান্ধব আর দীর্ঘকালীন ব্যাবহারের জন্য উপযোগী।
এলইডি মনিটরের দাম:
আধুনিক প্রযুক্তির সুবাদে আজ এলইডি মনিটরের দাম কিন্তু বেশ আয়ত্বের মধ্যে। বাংলাদেশ এর কথা বলতে গেলে ভালো মানের এলইডি মনিটরের দাম ১৮.৫ Inch থেকে ২৪ Inch এর দাম ৩৫০০ BDT থেকে ৬৫০০ BDT এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে। উদহারণ রূপে বলা যাই আপনি যদি স্যামসাং এলইডি মনিটর এর খোঁজ করেন তবে Samsung S19F350 18.5 Inch Widescreen HD LED Monitor মডেলটি আপনি দেখতে পারেন। এর স্পেসিফিকেশন নিচে দেয়া হলো:
স্ক্রিন সাইজ: ১৮.৫ Inch
প্যানেল: ওয়াইড স্ক্রিন
কনট্রাস্ট রাসিও : ১০০০:১
রেসপন্স টাইম: ১৪ ms
রিসোলিউশন : ১৩৬৬ x ৭৬৮
কানেক্টিভিটি : VGA, 1 D-Sub
ভিউইং অ্যাঙ্গেল : 178°/ 178°
দাম পড়বে ৳ ৬,৫০০