স্মার্ট ওয়াচ কি, স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা ,স্মার্ট ওয়াচ এর প্রকারভেদ

স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা

Last Updated on: 17th এপ্রিল 2022, 04:10 অপরাহ্ন

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা স্মার্টওয়াচ কি, স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা ,স্মার্ট ওয়াচ এর প্রকারভেদ কিছু সেরা স্মার্ট ওয়াচ সম্পর্কে আলোচনা করব।

বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন স্মার্ট ফোন বা স্মার্ট ওয়াচ শুধুমাত্র একটি অর্থ অপচয়ের উপায় কিন্তু যদি একটু ভালো করে ভাবা যায় তাহলে বুঝে যাবে স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচ আজকের আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন শুরু করা যাক।

স্মার্ট ওয়াচ কি ?

স্মার্টওয়াচ হল একটি ওয়্যারলেস ডিভাইস যেটি হাত ঘড়ি আকারে ব্যাবহার হয়। স্মার্টওয়াচ গুলি মূলত ব্লুটুথ ভিত্তিক হয় যার সাহায্যে আমরা আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজ যেমন ক্যালকুলেশন, সময় দেখা , ট্রানসলেশন বা অনুবাদ এই সমস্ত কাজ গুলি করতে পারি।

স্মার্টওয়াচ কি
স্মার্টওয়াচ কি

কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এই স্মার্টওয়াচের ও অনেক প্রযুক্তিগত উন্নতি বা পরিবর্তন হয়েছে। যার ফলে অনেক অতিরিক্ত সুবিধা আমরা পেয়ে যাই আমাদের স্মার্টওয়াচ এ. বর্তমানে স্মার্টওয়াচ শুধুমাত্র আজ সময় দেখার কাজেই সীমাবদ্ধ নয় স্মার্টওয়াচটি আপনার মোবাইল ফোনের সঙ্গে সহজেই কানেক্ট হয়ে ইন্টার্নেট ব্রাউজিং থেকে শুরু করে এন্টারটেনমেন্ট ,মুভি দেখা, গান শোনা, কলিং ফেসিলিটি এই সমস্ত সুবিধা গুলো প্রদান করে থাকে।

সিম সাপোর্টেড স্মার্ট ওয়াচ কি?

আজকাল অনেক স্মার্টওয়াচ বাজারে আছে যার মধ্যে GSM সিম লাগিয়ে তা প্রায় ফোন এর মতোই ব্যাবহার করা যায়। এই সিম ওয়ালা স্মার্টওয়াচ গুলি মোবাইল ফোনের মতোই ৪জি সেলুলার প্রযুক্তি ব্যাবহার করে।

এইসব স্মার্ট ওয়াচ আবার সিম সাপোর্টেড হয় যার ফলে এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্ট্যান্ডঅ্যালোন ডিভাইস হিসাবে কল করতে সক্ষম হয়.

এই বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচ গুলি এলসিডি বা ওলেড ডিসপ্লে হয়ে থাকে। কিছু কিছু স্মার্টওয়াচ ইলেকট্রনিক পেপার ব্যবহার করে কম শক্তি ব্যাবহার করে। ব্যাটারী এর কথা বলতে গেলে এই স্মার্টওয়াচ গুলি মূলত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির সাহায্যে কাজ করে এবং এর মধ্যে ক্যামেরা ,থার্মোমিটার ,হার্ট রেট মনিটর ,ব্যারোমিটার ,জিপিএস রিসিভার আর প্রেসার এই সমস্ত বায়োমেট্রিক বিষয়গুলির হিসাব আপনার স্মার্ট ওয়াচ অনায়াসে করে দিতে পারে।

স্মার্ট ওয়াচ কি ভাবে কাজ করে ?

স্মার্টওয়াচ মূলত একটি কম্পিউটার ওয়াচ যার মধ্যে নিজের অপারেটিং সিস্টেম থাকে যা এন্ড্রোইড (Android Wear) বা Watch from Apple app এর মাধমে আপনার স্মার্টফোনে এর ব্লুটুথ প্রজক্তি ব্যাবহার করে স্মার্ট ফোন এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে শুরু করে যেমন ম্যাসেজ,নোটিফিকেশন যা পানি আপনার ফোন থেকে স্মার্টওয়াচ এ দেখতে পান।

তাই আশা করি এখন বুঝতে পারছেন বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট এর জমানায় স্মার্টওয়াচের ভূমিকা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। মোবাইল ফোনের মতোই স্মার্টওয়াচ আজ আমাদের কাছে অনেক কাজের ডিভাইস হয়ে উঠেছে এতে সন্দেহ নেই।

স্মার্ট ওয়াচ এর দাম কত ?

স্মার্ট ওয়াচ এর দাম এর এইরকম কোনো নিয়ম নেই। সবই পছন্দ এর উপর নির্ভর করে। স্মার্ট ওয়াচ এর দাম কয়েক হাজার থেকে শুরু করে কয়েক কোটি হতে পারে। তবে সাধারণ ভাবে বলা যায় অপার বাজেট যদি ১০ হাজার এর মধ্যে থাকে তবেই আপনি কিন্তু একটি ভালো মানের স্মার্ট ওয়াচ পেয়ে যেতে পারেন। কম দামে স্মার্ট ওয়াচ চাইলে আপনি Fire-Boltt Beast SpO2 মডেল টি দেখতে পারেন।দাম পড়বে ৩৫০০ টাকার মতো।

স্মার্ট ওয়াচ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

এবার একটু জেনে নেয়া যাক স্মার্টওয়াচ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে।

প্রথম স্মার্ট ওয়াচ ১৯৭২ সালে হ্যামিল্টন ওয়াচ কোম্পানি( Hamilton Watch Company) তৈরি করে। এর পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালে সেইকো (Seiko )আরো উন্নত স্মার্টওয়াচ তৈরি করতে শুরু করে তাদের তৈরী The Data 2000 watch ১৯৮৩ সালে বাজারে এসেছিল।

তার একটি এক্সটার্নাল কিবোর্ড ছিল যাতে করে বাইরে থেকে যে কোন ডাটা এন্ট্রি করা হতো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক কাপলিং টকিং প্রযুক্তির মাধ্যমে। এর মেমরি ছিল মাত্র ১১২ ডিজিটের। কি আশ্চর্য তাই না ? আজকের দিনে এটি কল্পনা করা কঠিন হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ছিল অনেক।

পরবর্তীকালে ১৯৮০ তেই Casio কোম্পানি আরো উন্নত কম্পিউটার ওয়াচ তৈরি করে।

এরপরে আসি ১৯৯০ এর দশকে। নব্বইয়ের দশকে বা রায় ভালো করে বলতে গেলে ১৯৮৯ সালের সর্বপ্রথম লিনাক্স রিস্টওয়াচ তৈরি করেন স্টিভ ম্যান(Steve Mann )।

স্টিভ ম্যান কে বলা হয় দা ফাদার অফ ওয়েবেল কম্পিউটার।

এর পরবর্তীকালে ২০০০ এ আইবিএম প্রথম লিনাক্স এর উপর ভিত্তি করে একটি রিস্টওয়াচ এর প্রোটোটাইপ আনে যা প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ৬ ঘন্টা ব্যাটারী লাইফ ছিল। পরবর্তীকালে যা ১২ ঘন্টায় এক্সটেন্ড করা হয় বা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

এর পর ২০১০ সালে সনি এরিকসন প্রথম লঞ্চ করে সনি এরিকসন লাইভ ভিউ যেটি ছিল একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টওয়াচ । এরপর প্রযুক্তির নানা হাত ধরে বর্তমানে স্যামসাং থেকে শুরু করে অ্যাপেল সমস্ত বড় প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল ,মাইক্রোসফট , আরো উন্নত স্মার্টওয়াচ তৈরি করছে যার মধ্যে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ওয়াচ অ্যাপেল কোম্পানির অ্যাপেল ওয়াচ আজ অনেক বিখ্যাত।

স্মার্টওয়াচের প্রকারভেদ

এবারে আছি স্মার্টওয়াচের প্রকারভেদ সম্পর্কে যদিও অভ্যন্তরীণ ও টেকনোলজি এবং হার্ডওয়ার এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচের মধ্যে বেশি তফাৎ নেই তবুও কার্যগত ভাবে ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে স্মার্টওয়াচ গুলি কে মোটামুটি ৬টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেগুলোর সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :

১. জেনারেল পারপাস স্মার্টওয়াচ (সাধারণ স্মার্টওয়াচ)

জেনারেল পারপাস স্মার্টওয়াচ মূলত গান শোনা, সময় দেখা ,ম্যাসেজ আর সোশ্যাল মিডিয়া নোটিফিকেশন চেক, মেসেজের উত্তর দেওয়া এসমস্ত সাধারণ কাজে ব্যবহার করা হয়।

স্যামসাং গ্যালাক্সি ওয়াচ ৩ পারপাস জেনারেল পারপাস স্মার্টওয়াচের এর মধ্যে অন্যতম। এই জেনারেল পারপাস স্মার্টওয়াচ গুলি অনেক কাজ একসাথে করে যার ফলে ব্যাটারী লাইফে এই সব স্মার্ট ওয়াচ একটু পিছিয়ে। জেনারেল পারপাস স্মার্টওয়াচগুলি মূলত WearOS বা Tizen অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার করে। এই স্মার্টওয়াচগুলি ব্যাটারী রিচার্জ করতে হয় অনেক বেশি।

২.ফিটনেস ফোকাস স্মার্ট ওয়াচ

আগেই বলেছি যে স্মার্টওয়াচ আজ শুধু আর সময় দেহের কাজে সীমাবদ্ধ নয় তাই ফিটনেস ফোকাস স্মার্ট ওয়াচগুলি মূলত আপনার দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরার ফিটনেস এবং বায়োমেট্রিক বিভিন্ন সমীকরণ গুলি কে আপনার কাছে আরো ভালোভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করে।

সে আপনি দিনে কত কিলোমিটার হেঁটেছেন তার হিসেবে হোক বা আপনার আজ হার্ট বিট কত আছে সেই হিসাব হোক। এই সমস্ত স্মার্টওয়াচ গুলি এই সমস্ত বিষয়গুলি খুবই নিপুণভাবে আপনার কাছে তুলে ধরে আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনাকে প্রতিমুহূর্তে জানাতে থাকে।

এই ফিটনেস ফোকাস সমস্ত স্মার্টওয়াচ গুলি মূলত ব্লুটুথ এর মাধ্যমে আপনার মোবাইল এর সাথে যুক্ত হয় এবং জিপিএস অ্যাক্সেলেরোমিটার এই সমস্ত বিষয়গুলি যুক্ত থাকায় সহজেই সকল স্বাস্থসচেতন মানুষের কাছে এই স্মার্টওয়াচ গুলি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফিটনেস ফোকাস স্মার্ট ওয়াচ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো OnePlus Smart Band . এই সমস্ত ফিটনেস ফোকাস স্মার্ট ওয়াচ গুলি সাধারণ ভাবে সিলিকন স্ট্র্যাপ দিয়ে টোরি হওয়ায় পরলে বেশ আরামদায়ক হয়।

৩. লাক্সারি স্মার্ট ওয়াচ

এই জাতীয় স্মার্টওয়াচ গুলি মানুষ তার মূলত শখের জন্য ব্যবহার করে। এই লাক্সারি স্মার্ট মূলত বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে। স্মার্টওয়াচ গুলি তৈরি করে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য Tag Heuer, Breitling, and Frederique Constant.

অন্যান্য স্মার্টওয়াচ এর সাথে এদের কোনো বিশেষ ফারাক নেই ব্যাবহৃত টেকনোলজি এর দিক থেকে। শুধু তফাৎ হলো এইগুলির ব্র্যান্ডভ্যালু অনেক বেশি আর অসাধারণ পার্সোনাল customization. লাক্সারি স্মার্ট ওয়াচ এর সেরা উদহারণ হলো TAG Heuer Modular 45 smartwatch (ডায়মন্ড ভার্সন) যার দাম হলো ১.২৫ কোটি টাকা।

ভাবুন একবার কোটি টাকার স্মার্টওয়াচ !

৪.জিপিএস স্মার্ট ওয়াচ

জিপিএ স্মার্ট ওয়াচ মূলত যারা হাইকার পর্বতারোহী ,এডভেঞ্চার প্রিয় তাদের জন্য আদর্শ। খেলাধুলা ,ভ্রমণ করতে বেশি ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জিপিএ স্মার্টওয়াচ গুলি বেশ অনেক কাজের ফীচার এনেছে। মনে করুন আপনি কোন একটি অজানা জায়গাতে trekking করতে গেছেন ওই সমস্ত দুর্গম অঞ্চলে যদি আপনার দিক নির্ণয় এর প্রয়োজনীয় পরে তো আপনার মোবাইলের সাথে সাথে আপনার স্মার্টওয়াচটির আপনার সেই সমস্ত ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। ছোট এবং পোর্টেবল হওয়ার জন্য এগুলি ব্যবহার করা খুবই সহজ।

জিপিএস স্মার্ট ওয়াচ এর সেরা উদহারণ হলো Garmin Forerunner 245 Music ভার্সন। এই স্মার্টওয়াচটিতে আপনি পেয়ে যাবেন ৬ ঘন্টার টানা জিপিএস ট্র্যাকিং সাপোর্ট আর সঙ্গে গান শুনতে চাইলেও সেটিও পাবেন। তাই বেড়াতে বেরিয়ে হারিয়ে যাবার আর ভয় থাকলো না কি বলেন?

৫. হাইব্রিড স্মার্টওয়াচ

হাইব্রিড স্মার্টওয়াচ হলো সেই গোত্রের স্মার্টওয়াচ যেগুলোর মধ্যে আপনি আপনার পুরাতন ছাদের সাধারণ ঘড়ির সুবিধা যেমন ভাবেন তেমনি আবার আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট স্ক্রিন এর মেলবন্ধন পাবেন অনায়াসে। বেশিরভাগ সময় হাইব্রিড স্মার্টওয়াচ গুলি কিন্তু তার প্রথাগত ডায়ল পাশে ছোট করে তার স্মার্ট স্ক্রিনটি ডিসপ্লে করা থাকে যার ফলে আপনি আপনার দৈনন্দিন নোটিফিকেশন মিউজিক থেকে শুরু করে কলিং বা অন্যান্য কাজ কম বেশি করে নিতে পারেন।

এই হাইব্রিড স্মার্টওয়াচগুলির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এদের ব্যাটারি লাইফ। এদের ব্যাটারি লাইফ গুলি অন্যান্য স্মার্টফোনের এর থেকেও অনেক বেশি সময়ের জন্য হয় তাই একবার চার্জ দিয়ে এদের ব্যাটারি গুলি অনেক সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।

তবে বর্তমানকালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল স্মার্টওয়াচ এসে যাওয়ার ফলে কি হাইব্রিড স্মার্টওয়াচ গুলি জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও কমেছে। হাইব্রিড স্মার্টওয়াচ এর সেরা উদহারণ হলো Hybrid Smartwatch HR Neutra Black Stainless Steel, দাম প্রায় ১৭০০০ তাকে ভারতীয় মুদ্রায়।

৬.স্পোর্ট ভিত্তিক স্মার্ট ওয়াচ

যারা খেলাধুলার জন্য বিশেষভাবে তৈরী স্মার্টওয়াচ খুঁজছেন তাদের জন্য স্পোর্ট ভিত্তিক স্মার্ট ওয়াচ বেশ ভালো।

একটি নির্দিষ্ট খেলার জন্যই স্পোর্ট ভিত্তিক স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করা হয় যেমন গল্ফ ইত্যাদি। যেমন গল্ফ জিপিএস ব্যবহার করে আপনাকে অটোমেটিক্যালি বলে দিতে পারে আপনার শর্ট এবং হোল এর হিসেবে। আর আপনি যদি এডভেঞ্চার ভিত্তিক খেলা যেমন মাউন্টেন বাইকিং ভালোবাসেন তবে এই সমস্ত ক্ষেত্রে স্মার্টওয়াচ গুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।স্পোর্ট ভিত্তিক স্মার্ট ওয়াচ এর সেরা উদহারণ হলো Fossil Sport Smartwatch Black Silicone যার মধ্যে আছে TIMEZONE ,জিপিএস ,Accelerometer, Altimeter, Ambient Light, Gyroscope, Heart Rate, Microphone, NFC. দাম প্রায় ১০০০ টাকা।

আরো পড়ুন :কম দামে ভালো স্মার্ট টিভি

স্মার্ট ওয়াচের সুবিধা

স্মার্ট ওয়াচ এ সম্পর্কে এই পোস্ট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এবার আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন স্মার্টওয়াচের সুবিধা ঠিক কতটা। আরো বিস্তারিত স্মার্টওয়াচের সুবিধা সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক।

ফিটনেস ট্র্যাকার হিসেবে স্মার্টওয়াচ এর ব্যবহার

আগে যেমন বলেছি এই স্মার্টওয়াচ গুলি অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ফিটনেস এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমাদের হার্টবিট কত ,আমাদের ব্লাড প্রেসার কত , আমরা দিনে কতটা হাটলাম ,কটা স্টেপ নিলামে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আমাদেরকাছে হাতে রেখে চলে যার ফলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সুন্দর একটিভিটি চার্ট পটে পারি আর সেই অনুযায়ী আমরা ডায়েট থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক কিছু জানতে পারি আগে যা জানার জন্য আমাদের ক্লিনিক এ ছুটে যেতে হতো।

এই সমস্ত বায়োমেট্রিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমাদের বর্তমানের শরীরর্চচা থেকে শুরু করে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টওয়াচ।

ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং এবং কল

অনেক ক্ষেত্রেই আপনার কাছে দেখতে ভালো স্মার্ট ওয়াচ থাকে এবং সেক্ষেত্রে আপনারা কোন মেসেজ আসা মাত্র সেগুলি রিপ্লাই অনেক দ্রুত করতে পারবেন।

ভয়েস কল সাপোর্ট করে এমন স্মার্ট ওয়াচ যদি আমার কাছে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কোন ইনকামিং কলের উত্তরও সঙ্গে সঙ্গে যেতে পারবেন এটি স্মার্টফোনের থেকে অনেক দ্রুত ভাবে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন তবে একথা মনে রাখতে হবে যে একটি স্মার্টওয়াচ শুধুমাত্র আপনার কিছু বেসিক প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। একটি স্মার্টওয়াচ কখনোই একটি স্মার্টফোনের সাথে পাল্লা দিতে পারে না।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আগ্রহ থাকে ও আপনার কাছে যদি একটি ভালো স্মার্টওয়াচ থাকে তবে সোশ্যাল মিডিয়া এর জন্য স্মার্টফোনে আর বিশেষ দরকার হয় না সোশ্যাল মিডিয়া আপনি যদি ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রাম হোয়াটসঅ্যাপ এই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি উন্মুক্ত থাকেন আর তার নোটিফিকেশন ,বার্তা ম্যানেজ করতে চান তবে তবে আপনার জন্য এই সমস্ত স্মার্টওয়াচ গুলি তে থাকা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনারা সহজেই এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি কোনদিন ব্যস্ত এক্সিকিউটিভ মার্কেটিং ম্যানেজার হন সেক্ষেত্রে স্মার্টওয়াচ থাকে তো আপনি এই স্মার্টওয়াচের সাহায্যে আপনার প্রতিনিয়তঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বেসিক কাজ রয়েছে যেমন বার্তা প্রেরণ বার্তা লেখা এসমস্ত কাজগুলি সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর জন্য আপনার কোন অতিরিক্ত খরচ হবে না যেহেতু ব্লুটুথ /WIFI কানেক্টিভিটি ডিভিডির মাধ্যমে আপনার স্মার্ট ওয়াচ আপনার মোবাইল এর সাথে যুক্ত থাকে।

ব্যাটারি লাইফ এর কথা বলতে গেলে সেক্ষেত্রে আপনার ফোনের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে আপনার স্মার্টওয়াচটি আপনাকে সাহায্য করবো বর্তমানকালে এম আই শাওমি তৈরি করা গুলি চার্জ দিলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন।

তাই বলা যায় যে স্মার্টওয়াচে ব্যাটারি লাইফের অনেক উন্নতি হয়েছে যার ফলে আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন এবং একটি স্মার্টওয়াচ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার কার্যকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে ডিজিটাল ক্ষেত্রে।

আরো পড়ুন :মোবাইলে আবহাওয়ার খবর জানার ৫টি সেরা অ্যাপ

গান বাজনার উপর স্মার্টওয়াচের প্রভাব

গান-বাজনা যদি আপনি শুনতে ভালোবাসেন আপনার ক্ষেত্রে স্মার্ট ওয়াচ ভালো হতে পারে। ফেসবুক ,YOUTUBE স্ট্রিমিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি খুলতে পারবেন এবং এর সঙ্গে যদি আপনার প্রয়োজনীয় হেডফোন মোবাইলে সেট করা থাকে তো সে ক্ষেত্রে আপনি যে কোন জায়গাতে আপনার প্রিয় গান বা মুভি দেখে নিতে পারবেন।

ফোন হারিয়ে গেলে স্মার্টওয়াচ এর ব্যাবহার

ফোন হারিয়ে গেলে এক্ষেত্রে স্মার্টওয়াচ গুলি ওয়াজ ভালো ভূমিকা নিচ্ছে। স্মার্টওয়াচ এর ‘ফাইন্ড এ ফোন অপশন’ ব্যাবহার করে অনেক সময়ই আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় স্মার্টফোনটি কোথায় রাখি সে সম্পর্কে জানতে পারি। তাই বলতে গেলে বর্তমানে যদি আপনার স্মার্টফোন আর স্মার্টফোনে দুটি একসাথে থাকে তো এই দুই এর মেলবন্ধনে কিন্তু আপনার জগৎ অন্যরকম হয়ে যাবে বলাই যায়।

শেষ কথা :

আশা করছি স্মার্টওয়াচ কি, স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা ,স্মার্ট ওয়াচ এর প্রকারভেদ সম্পর্কে পোস্ট আপনার ভালো লাগলো। আপনারা কি স্মার্ট ওয়াচ ব্যাবহার করেন? নিচের কমেন্ট বাক্স এ জানাতে ভুলবেন না। আর পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে দেবেন প্লিজ।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১৪ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা। | দেখুন LinkedIn প্রোফাইল

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।