Last Updated on: 17th এপ্রিল 2022, 03:30 অপরাহ্ন
হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আমরা সামাজিক নেটওয়ার্ক এর সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। আজকের দুনিয়াতে সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থা আর ইন্টারনেট আমাদের কাছে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
শিক্ষা ,বিনোদন, যোগাযোগ,আলাপচারিতা ,আড্ডা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সমস্ত কিছুতেই আজ আমাদের ফেইসবুক,ইউটিউব,ইনস্টাগ্রাম,হোয়াটস্যাপ ছাড়া যেন চলে না। একটা ক্লিক এ আমরা হাজার হাজার মিলে দূরে থাকা বন্ধুর সান্নিধ্য পাই। সব মিলিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্ক বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ।
Stastistica এর হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে সারা পৃথিবীর মানুষ গড়ে প্রায় ১৪৫ মিনিট সময় প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়া তে ব্যায় করে। ফিলিপিনিস এর মানুষ সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া আসক্ত।
ফিলিপিনিস এ একজন মানুষ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ঘন্টা ৫৩ মিনিট সময় খরচ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর সংখ্যা হলো ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারত এর মানুষ গড়ে প্রায় ২.৫ ঘন্টা সময় সোশ্যাল মিডিয়া তে ব্যায় করেন যেটি প্রতিদিন বাড়ছে বিশেষ করে জিও আসার পরে।
বাংলাদেশ এর কথা বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া এর দাপট সেখানেও বাড়ছে। বাংলাদেশ এ প্রায় ৫৯ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করছেন।
কিন্তু প্রদীপের নিচে যেমন অন্ধকার থাকে তেমন এই সামাজিক নেটওয়ার্ক বা সোশ্যাল মিডিয়া এর কিছু কুফল আছে যা আমাদের প্রভূত ক্ষতি করে। তাই সামাজিক নেটওয়ার্ক এর সুফল ও কুফল এই দুই সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা থাকা খুব জরুরি।
আজকের আমাদের পোস্ট এ তাই সোশ্যাল মিডিয়া এর সুফল ও কুফল সংক্ৰান্ত এই পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে বলে আশা করি।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কি?
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মানে আসলে হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম যা ব্যাক্তিগত বা ব্যাবসায়িক কাজে ব্যাবহার করা হয়। চ্যাটিং,ম্যাসেজ ,ভিডিও অডিও কল যার অন্তর্ভক্ত। ফেইসবুক ,টুইটার,ইনস্টাগ্রাম,হোয়াটস্যাপ YouTube এই সব গুলি হলো প্রধান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
সূচিপত্র
সামাজিক নেটওয়ার্ক এর সুফল
১. শিক্ষা তে সোশ্যাল মিডিয়া এর প্রভাব
বর্তমান শিক্ষাবাবস্থার কথা বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ার তাতে গুরুত্ব স্বীকার করতেই হবে। আপনি যেই বিষয়ের উপরই পড়াশোনা করুন না কেন প্রত্যেকের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া তে অনেক সুযোগ পাবেন।
ফেইসবুক গ্রুপ ,ইনস্টাগ্রাম লাইভ ক্লাস,জুম্ ক্লাস এর মধ্যে হাজার হাজার পড়ুয়া আজ অনলাইন এ শিক্ষা গ্রহণ করছে। তাছাড়া কোনো কিছু বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষার জন্য ইউটিউব এ ছড়িয়ে আছে অগুনিত ইউটিউব চ্যানেল যেখানে আপনি বিনামূল্যে ভিডিও ক্লাস ,টিউটোরিয়াল পাবেন।
তাই সেগুলি কাজে লাগিয়ে আপনারা সহজেই সব বিষয়ে যাতে পারবেন। আর আনন্দের কথা এই যে এর জন্য আপনার কম্পিউটার এর ও দরকার পড়বে না। আপনার একটি স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই চলবে।
এছাড়াও অনেক সময় নানা বিশ্ববিদ্যালয় ,প্রতিষ্ঠান এর তাবড় শিক্ষক থেকে শুরু করে নানা বিষয়ের প্রফেশনাল লাইভ webinar করে থাকেন যাতে করে আপনি তাতে যোগদান করে সেই বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আপনাকে শুধু আপনার চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
তাই তথ্যের অভাব বলে আর কিছু নেই আজকের সোশ্যাল মিডিয়া জগতে। আপনাকে শুধু বেছে নিতে হবে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কোনটি।
২. যোগাযোগ ব্যাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া বিপ্লব
যোগাযোগ ব্যাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়া বিপ্লব আজ সর্বজনীন। মানুষ আজ চিঠি লিখতে প্রায় ভুলেই গেছে। ফেইসবুক,হোয়াটস্যাপ ব্যাবহার করে আজ মানুষ পলকের মধ্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ইন্টারনেট এর উন্নতির সাথে সাথে ,আজ দ্রুতগতির ইন্টারনেট গতি অনেক সহজলভ্য। তাই টেক্সট থেকে শুরু করে অডিও কল,ভিডিও কল আজ আর কোনো ব্যাপার নয়।
স্কাইপে ,গুগল ডুও,হোয়াটস্যাপ আজ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে যোগাযোগ মাধ্যমে আজ ভার্চুয়াল রিয়ালিটি যুক্ত হচ্ছে ধীরে ধীরে। নানা ভার্চুয়াল ডিভাইস যেমন Oculus ,ফেইসবুক হরাইজন আজ দূরের মানুষ কে আজ অনেক কাছে এনে দিয়েছে।
৩.ব্র্যান্ড প্রমোশন ,অনলাইন মার্কেটিং এ সোশ্যাল মিডিয়া
বর্তমানে অনলাইন বিপণনে সোশ্যাল মিডিয়া এর প্রভাব দারুন। ফেইসবুক থেকে শুরু করে ইউটিউব ,ইনস্টাগ্রাম সব ক্ষেত্রেই আজ মানুষের কাছে সহজে আর কম খরচে পৌছিয়ে যাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমে। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়া কে আশ্রয় করে ছোট থেকে বড়ো ব্র্যান্ড আজ এটিকে তাদের বরং এর প্রচার ,নতুন প্রডাক্ট এর প্রচার,কোনো নতুন সার্ভিস এর আগাম প্রচার সেরে নিচ্ছে কম সময়ে আর কম খরচে।
সোশ্যাল মিডিয়া এর সাহায্যে আপনি আপনার সঠিক অডিয়েন্স এর কাছে সঠিক সময়ে আপনার বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন। আর যার জন্য আছে অগুনিত টুলস। ফেইসবুক বিসনেস সুইট ,Hootsuite ,বাফার এগুলি আপনারা ব্যাবহার করে আরো ভালো করে সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার এর মাধ্যমে নিজের বাড়ান কে সবার কাছে তুলে ধরতে পারেন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে তাদের মতামত সংগ্রহ করে নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কে আরো ভালো করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া এর প্রভাব এর কারণে এই খাতে তাই ব্রান্ডগুলি খরচ করতেও পিছপা নয়। ভারতের কথা বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া এর পিছনে ব্র্যান্ড গুলি আজ মাসেই কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করে।
আরো পড়ুন:ফেসবুক লাইট কি ?ফেসবুক লাইট ডাউনলোড কি ভাবে করবেন ?
৪.কর্মসংস্থান এ সোশ্যাল মিডিয়া
কর্মসংস্থান এ সোশ্যাল মিডিয়া আজ বেশ ভালো ভূমিকা এনেছে।সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার আর বিপণনের সাথে সাথে আজ দরকার হয়ে পড়েছে সেই সোশ্যাল মিডিয়া বিপণন সামলানোর জন্য দক্ষ পেশাদার। তাই আজ চাকরির বাজারে সোশ্যাল মিডিয়া প্রফেশনাল দের চাহিদা বেশ ভালো আর বেতন ও বেশ ভালো।
এখন বাজারে সকাল মিডিয়া শেখানোর জন্য নানা প্যাকেজ বা কোর্স চালু আছে। নানা প্রতিষ্ঠান আজ তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এ সোশ্যাল মিডিয়া কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মডিউলে হিসাবে তাদের কোর্স এ অন্তর্ভুক্ত করছে তা সেটি ফেইসবুক মার্কেটিং,লিঙ্কেডিন প্রোমোশন ,ইউটিউব মার্কেটিং যাই হোক না কেন। যেকোনো এই রকম ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে আজ প্রায় খরচ কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে।
উদহারণ হিসাবে যদি আমরা জনপ্রিয় NIIT এর ‘Full Stack Digital Marketing Programme’ এর কথা বলি তার খরচ প্রায় ৬০ হাজার টাকা।এটি ২০ সপ্তাহের কোর্স যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া সহ ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রায় সব কিছুই শেখানো হয় যার পর ভালো বেতনের চাকরি আজ অনেকেই করছেন।
এখন এই রকম কোর্স এর দুইরকম ভাবে কর্মসংস্থান করছে। প্রথমত এখানে যারা কোর্স করছেন তারা কাজ পাচ্ছেন আর যারা এই সব কোর্স করেছেন তারাও প্রশিক্ষক হিসাবে নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পারছেন। তাই যখন বেকারত্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে তখন সোশ্যাল মিডিয়াতাই একটি আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছু নয়।
৫.Non Profit সংস্থা এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া
Non Profit সংস্থা মূলত নানা সমাজ সেবী কাজে জড়িয়ে থাকে কিন্তু প্রথাগত নানাও কোম্পানি এর মতো বিজ্ঞাপনী খাতে তেমন বাজেট বরাদ্দ না থাকতে অনেক সময় তারা এই সব প্রচারমূলক কাজ ভালো ভাবে করতে পারে না। তাই তাদের জন্য সকাল মিডিয়া বেশ ভালো।
ফেইসবুক পেজ ব্যাবহার করে তারা তাদের নানা কথা মানুষের কথা বলতে পারে ,ফেইসবুক গ্রুপ বানিয়ে সেখানে নিজেদের বিষয়ে আলোচনা করতে পারে ও তা আরো মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারে। ফেইসবুক লাইভ ব্যাবহার করে সংস্থা এর নানা কর্মকান্ড ,ডোনেশন এর বিষয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারে। ফেইসবুক fundraiser অপশন ব্যাবহার করে ডোনেশন ও তুলতে পারে।
৬.সোশ্যাল মিডিয়া monetization
আপনার যদি নিজস্ব ব্লগ থাকে বা লেখালেখি ,ভিডিও তৈরীতে ভালো লাগে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি ঘরে বসেই ভালো আয় করতে পারবেন।Quora স্পেস,ফেইসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ,ইউটিউব থেকে আপনি প্রতি মাসে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।ইউটিউব এর জন্য শুধু দরকার ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম শেষ ১২ মাসে।
আপনার কনটেন্ট যদি ভালো হয় তাহলে কিন্তু আপনি সহজেই এটি করতে পারেন। আর একবার ইউটিউব monetization পেয়ে গেলে আপনি সেখানে এডসেন্স এর এড দেখিয়ে,স্পন্সরড প্রমোশন করে অনেক সহজে একটি বিকল্প আয়ের উপায় পেয়ে যাবেন।
তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে শুধু টাকার জন্য আপনি যদি ইউটিউব করেন তবে কিন্তু আপনার চেষ্টা সফল হবে না। তাই শুরুতেই ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে আপনাকে আপনার আগ্রহ কোন বিষয়ে আছে আর কোন বিষয়ে আপনি নিয়মিত ভালো ভিডিও কনটেন্ট দিয়ে যেতে পারবেন তাই ঠিক করতে হবে।
আর একবার আপনার ইউটিউব চ্যানেল দাড়িয়ে গেলে আপনি তারপর ক্রস প্রমোশন এর মাধ্যমে নিজের ব্লগ,ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার বাড়িয়েও সেখান থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
অনেক সময় দেখা যায় গুগল এডসেন্স এর থেকেও পরোক্ষ ভাব affliate marketing ,স্পন্সরড প্রমোশন এ অনেক বেশি ইনকাম করা যায় কিন্তু তার জন্য দরকার ভালো অর্গানিক ট্রাফিক। এর জন্য আপনি ইউটিউব SEO এর সাহায্য নিতে পারেন।
৭. সামাজিক স্বীকৃতি তে সোশ্যাল মিডিয়া
শুধু টাকা ইনকাম,ব্র্যান্ড প্রমোশন এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া কে ধরে রাখলে আজ তার অবদান সম্পর্কে অনেক কম বলা হয়। এমন অনেকেই আছেন আজ যারা সোশ্যাল মিডিয়া আর মানুষের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন কোনো আর্থিক দিক চিন্তা না করেই।
তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা ইউটিউব ভিডিও আজ কোটি কোটি মানুষের কাছে অনুপ্রেরনা যোগাচ্ছে। উদহারণস্বরূপ বলা যায় পাবলিক স্পিকার সন্দীপ মাহেশ্বরী এর কথায় যিনি নিজের মোটিভেশনাল স্পিচ এর ভিডিও এর আজ কোটি কোটি ভারতীয় যুবসমাজের কাছে আইকন। আর হয় এই সব করেন তিনি বিনি পয়াসাতে তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে তিনি একটাকাও রোজগার করেন না বলে তার দাবি।
এবার আসুন সোশ্যাল মিডিয়া এর কিছু কুফল সম্পর্কে আলোচনা করি।
সোশ্যাল মিডিয়া এর কিছু কুফল
১. প্রাইভেসী আর সিকিউরিটি অভাব
অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া তে আমরা জেনে না জেনে অনেক তথ্য দিয়ে দি। যার মধ্যে নাম ঠিকানা থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর সব কিছু থাকে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া তে যেহেতু নানা মানুষ নানা কারণে থাকে তারা সেই সব তথ্য ,ছবি নিয়ে অনেক সময় অপব্যাবহার করে ,অনেকে অপরকে নানা কারণে অপদস্থ করে তাই এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এর সুরক্ষার দিকটি নিয়ে সত্যি ভাবা দরকার।
সাইবার ক্রাইম এ আজ কাল বহু মানুষের টাকা হয়রানী থেকে ভুয়ো একাউন্ট,ভুয়ো কল এ বিষয়ে নানা অভিযোগ আসছে তাই সোশ্যাল মিডিয়া তে নিজের তথ্য দেবার আগে তা ভালো করে দেখে নেয়া উচিত।কোনো ব্যাক্তিগত ফোন নম্বর ,ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর না দেয়াই ভালো।
এছাড়া ফেইসবুক থেকে শুরু গুগল সব সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম আজ সোশ্যাল মিডিয়া প্রাইভেসী ব্যাপার টি বেশ ভাবিত যে কারণে গুগল তার GDPR আইন ,থার্ড পার্টি কুকি এই সব বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করছে শুধু সকলের প্রাইভেসী আর সিকিউরিটি এর কথা চিন্তা করে।
আরো পড়ুন :শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট কি ভাবে করা যায়?
২.একাগ্রতার অভাব
সোশ্যাল মিডিয়া তে মানুষ অনেক সময় কাটানোর ফলে আজ মানুষের মনে একাগ্রতার অভাব দেখা দিচ্ছে যা পড়াশোনা বা পেশাগত জগতে অনেক সময় একাগ্রতার অভাব দেখাচ্ছে। সর্বক্ষণ মোবাইল এ ব্যাস্ত থাকার জন্য অনেক সময়ই অনেক প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়ে উঠছে না।
তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আমাদের স্মার্টফোনে ব্যাবহার কম করা উচিত।একটি নির্দিষ্ট সময় শুধু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করলে অনেক ভালো হয়। তাছাড়া অফিস এ থাকাকালীনমোবাইল এর ইন্টারনেট কানেকশন টি অফ করে রাখলেও অনেক ভালো হয় যাতে অযথা সোশ্যাল মিডিয়া নোটিফিকেশন থেকে আপনি দূরে থাকেন। শুধুমাত্র কাজের ফোন কল এই আপনি পাবেন তবে এই সময়ে।
৩.বাচ্চাদের উপর সোশ্যাল মিডিয়া এর কুপ্রভাব
অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার এর কুফল হিসাবে বাচ্চাদের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। দেখা গেছে যে বাচ্চারা বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়া কাটানোর ফলে তাদের ওবেসিটি বাড়ে।
তাছাড়া ঘুমের ব্যাঘাত,একাকিত্ব তাদের ঘিরে ধরে। ওদিক সময় সোশ্যাল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার এর ফলে বাচ্চাদের সামাজিক দূরত্ব তৈরী হয় যা কখনই কাম্য নয়। সাম্প্রতিক অতীতের কথা বললে ‘Blue Whale Challenge’ কথা বেশ কুখ্যাত। ২০১৬ সালে চালু হয় এই গেম সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে টিনএজার দের অনেক সমস্যায় ফেলেছিলো। এই গেম টি প্রথমে কিছু সহজ টাস্ক থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী পর্যন্ত করতে বাধ্য করতো যার জন্য বহু টিনএজার প্রাণ হারিয়ে ছিল।
তাই সোশ্যাল মিডিয়া এর প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে সহজেই অনুমেয়।
তাই এর প্রতিকার হিসাবে একমাত্র দরকার সচেতনতা আর আপনার বাচ্চার উপর কড়া নজর। একটা নির্দিষ্ট বয়েসের আগে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যাবহার এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা একান্ত দরকার। এর জন্য আপনারা পেরেন্টাল কন্ট্রোল APP থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ব্যাবহার এর উপর নজর রাখা দরকার।
শেষ কথা: সামাজিক নেটওয়ার্ক এর সুফল ও কুফল সম্পর্কে এই পোস্ট পড়ে আপনার অনেক কিছু জানতে পারলেন। পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে দেবেন প্লিজ আর কোনো কমেন্ট থাকলে নিচে কমেন্ট বাক্স এ তা করে দেবেন। আমরা অপেক্ষায় থাকবো।
ধণ্যবাদ।