RAM কি? RAM এর কাজ কি?(What is RAM in Bengali)

RAM এর কাজ কি

Last Updated on: 23rd অক্টোবর 2022, 03:39 অপরাহ্ন

হ্যালো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা কম্পিউটার RAM কি? RAM এর কাজ কি এর সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করব। কম্পিউটার RAM এর পূর্ণরূপ হল রেনডম এক্সেস মেমোরি(Random Access Memory)। এটি কম্পিউটার ,মোবাইল এবং স্মার্ট টিভি একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ সময়ে কম্পিউটার RAM সম্পর্কে আলোচনা করা হয় যা মূলত মোবাইল, ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপের RAM সম্পর্কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা কম্পিউটার RAM সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে জেনে নেব।

RAM কি? RAM এর পূর্ণরূপ কি? RAM এর কাজ কি?

আগেই যেমন বলেছি RAM এর পূর্ণরূপ হলো রেনডম এক্সেস মেমোরি। RAM মূলত একটি হার্ডওয়্যার ডিভাইস যেটি সাধারণভাবে কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে। RAM কম্পিউটার এর টেম্পোরারি মেমোরি হিসেবে কাজ করে এটি একটি Read/Write মেমরি। সমস্ত কিছুকে পড়তে এবং রাইট .করতে পারে।

RAM কি
RAM কি? RAM এর কাজ কি?

RAM একটি টেম্পোরারি মেমরি মেমরি যার ফলে এর জমা হওয়া সমস্ত তথ্য এবং ইনস্ট্রাকশন গুলি যতক্ষণ কম্পিউটার চালু থাকে সেই সময় পর্যন্ত থাকে।

কম্পিউটার অফ হলে সমস্ত তথ্য এবং ইনস্ট্রাকশন গুলি মুছে যায়। আমাদের সিস্টেম যখন শুরু হয় তখন সমস্ত অপারেটিং সিস্টেমের কম্পোনেন্টগুলো থেকে শুরু করে নানা রকম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম যেগুলি আমরা কম্পিউটারে চালাতে কাজে লাগে সেগুলি টেম্পোরারি সাময়িকভাবে RAM এ এসে জমা হয় এরপর সিপিইউ এর প্রোগ্রাম আর ইন্সট্রাকশন সমন্বয় সাধন করে কাজ করা শুরু করে।

আমরা কম্পিউটার শাটডাউন করা সাথে সাথে জমে থাকা সমস্ত ডেটা হারিয়ে এগুলি পুনরায় আমাদের হার্ডডিস্কে জমা হয়ে যায়।

তাই সহজেই বোঝা যাচ্ছে RAM একটি ভোলাটাইল মেমরি আর এর মধ্যে থাকা ইন্সট্রাকশন,এপ্লিকেশন,প্রোগ্রাম সব সাময়িক ভাবে জমা থাকে শুধু। যতক্ষণ আমাদের কম্পিউটার টি অন অবস্থায় রয়েছে ততক্ষন এই RAM এর কাজ। যখনই আমরা কম্পিউটার বন্ধ করব সমস্ত ডেটা হার্ডডিস্ক এ চলে যায়।

RAM হার্ডডিস্ক বা SSD ড্রাইভ এর থেকে অনেক দ্রুত তাই প্রতি ক্ষেত্রে RAM এর দরকার হয় যার ফলে আমাদের কম্পিউটার ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ সুন্দর হয়ে চলতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের কম্পিউটার বা ডেস্কটপ বা মোবাইল কিছুদিন চলার পর ধীরে ধীরে চলুন শুরু করে তখন এক্ষেত্রে আমাদের কম্পিউটার ডেস্কটপ এর মধ্যে অতিরিক্ত প্রোগ্রাম চালানোর ফলে আমাদের RAM এর পরিমান পর্যাপ্ত থাকে না এর ফলে আমাদের অতিরিক্ত রেম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

RAM এর বিবর্তন এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

RAM এর প্রথম শুরু হয় উনিশশো সাতচল্লিশ সালে (১৯৪৭) এ উইলিয়ামস টিউব হাত ধরে আছে. এটি মূলত CRT তে ব্যাবহার হতো। এরপর ১৯৪৭ সালে আবার আসে ম্যাগনেটিক কোর মেমোরি। মেটাল রিং এবং তার দিয়ে তৈরি হয়েছিল।

তবে আমরা যে আধুনিক RAM সম্পর্কে জানি সেটি প্রথম চালু হয় ১৯৬৮ সালে IBM Thomas J Watson Research Centre এ. এটি আবিষ্কার করেন Robert Dennard . এটি ছিল মূলত ডাইনামিক রেনডম এক্সেস মেমোরি( dynamic random access memory (DRAM) ) নামে পরিচিত। যার মধ্যে ছিল অসংখ্য ট্রানজিস্টার ধরে রাখতো।

এরপর ১৯৬৯ সালে ইন্টেল প্রথম নিয়ে এলো DRAM, the Intel 1103 নামে। এরপর ১৯৯৩ সালে স্যামসাং সিনক্রোনাস ডিজাইন করা RAM তৈরি করে। এর পর আসে RDRAM ১৯৯৯ সালে।

তারস্র ধীরে ধীরে ২০০৩ সাল এ DDR2 SDRAM রাম বাজারে আসা শুরু করে যা পরে DDR3 SDRAM এর হাত ধরে বর্তমানে বাজারে DDR4 চালু আছে। তাই RAM এর বিবর্তন বেশ চমকপ্রদ আর উল্লেখযোগ্য।

DDR RAM
DDR RAM

RAM এর প্রকারভেদ ও RAM এর বৈশিষ্ট্য

এইবারে আসুন RAM এর শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। RAM মূলত দুইরকম হয়।
Static RAM (SRAM)
Dynamic RAM (DRAM)

Static RAM (SRAM):

Static RAM (এসআরএএম) হ’ল একধরনের টেম্পোরারি রান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি যা ডেটা বিটগুলি ধরে রাখে বা যতক্ষণ পাওয়ার গ্রহণ করবে ততক্ষণ। এটি মেমরি কোষ দ্বারা গঠিত এবং এটি একটি Static RAM বলা হয় কারণ এটি নিয়মিতভাবে রিফ্রেশ করার প্রয়োজন হয় না কারণ ডাইনামিক RAM এর মতো। কার্যকারিতার দিক থেকে এটি DRAM এর চেয়ে দ্রুত।

Dynamic RAM (DRAM):

Dynamic RAM (ডিআরএএম) ও মেমরি কোষ দিয়ে তৈরি। এটি লক্ষ লক্ষ ট্রানজিস্টর এবং ক্যাপাসিটারগুলির দ্বারা গঠিত একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) যা আকারে অত্যন্ত ছোট এবং প্রতিটি ট্রানজিস্টর একটি খুব কমপ্যাক্ট মেমরি সেল তৈরি করতে একটি ক্যাপাসিটারের সাথে সারিবদ্ধ থাকে যাতে তাদের কয়েক মিলিয়ন একক মেমোরি চিপে ফিট করতে পারে।

এছাড়াও Dynamic RAM কে আবার Asynchronous DRAM ও Synchronous DRAM এই দুভাগে ভাগ করা যায়।

Asynchronous DRAM:

এই জাতীয় DRAM সিপিইউ ঘড়ির সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করা থাকে না। Asynchronous DRAM এ ঠিক কখন ডাটা আসে সিপিইউ এটা নিখুঁতভাবে বুঝতে পারে না যা তার পারফরমেন্স এর উপর প্রভাব ফেলে। এই রকম সীমাবদ্ধতা এর পরের জেনারেশন এর Synchronous DRAM এসে অনেকটাই সমাধান করে দিয়েছে।

Synchronous DRAM :

(সিঙ্ক্রোনাস ডিআরএএম) ১৯৯৬ এর শেষদিকে ব্যাবহার শুরু হয়েছিল।এর সবচেয়ে বোরো সুবিধা হলো Synchronous DRAM সিপিইউ ঘড়ির সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করা হয়েছিল।

এটি সিপিইউকে বা সঠিক মেমরি নিয়ামককে সঠিক ঘড়ির চক্র বা সময় বা সঠিক সময় বা চক্রের সংখ্যা জানার পরে ডেটা উপলভ্য করার অনুমতি দেয়। সুতরাং, মেমরি অ্যাক্সেসের জন্য সিপিইউ প্রয়োজন হয় না এবং এইভাবে মেমরি পড়ার এবং লেখার গতি বাড়ানো যায়।Synchronous DRAMকে অনেক সময় single data rate SDRAM হিসাবেও মনে করা হয় কারণ কারণ এটি সিপিইউ এর ঘড়ির চক্রের প্রতিটি ক্রমবর্ধমান প্রান্তে ডেটা স্থানান্তর করে।

বর্তমানে বাজারে প্রচলিত কিছু জনপ্রিয় RAM:


এবার আসুন বর্তমানে বাজারে প্রচলিত কিছু জনপ্রিয় RAM সম্পর্কে জেনে নি। আমরা যতরকম RAM বাহার তারমধ্যে বেশিরভাগ এই DDR3 SDRAM ও DDR4 SDRAM এর মধ্যে পড়ে।

DDR3 SDRAM:

এই সংস্করণে,RAM এর ভোল্টেজটি ১.৮ ভি থেকে ১.৫ ভিতে কমিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বের প্রজন্মের DDR2 RAM তুলনায় ডেটা রেট দ্বিগুণ করা হয়েছে এছাড়া RAMএর অভ্যন্তরীণ ডেটা বাসের প্রস্থটি গত প্রজন্মের চেয়ে ২ গুণ বাড়ানো হয়েছে।

DDR4 SDRAM :

সবচেয়ে আধুনিক RAM এর সংস্করণে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে হচ্ছে। এই সংস্করণে, অপারেটিং ভোল্টেজটি আরও কমিয়ে ১.৫ ভি থেকে ১.২ ভি তে কমিয়ে আনা হয়েছে। RAM অভ্যন্তরীণ ঘড়ির ফ্রিকোয়েন্সি পূর্ববর্তী সংস্করণের দ্বিগুণ। আপনি যদি ৪০০মেগাহার্টজ এ অপারেটিং করছেন তবে ইনপুট আউটপুট বাসের ঘড়ির ফ্রিকোয়েন্সি চারগুণ হবে।

১৬০০ মেগাহার্টজ এবং স্থানান্তর হার প্রতি সেকেন্ডে ৩২০০ মেগা ট্রান্সফারের সমান হবে। এর পর বাজারে আসবে DDR5 RAM যাকে ভবিষতের RAM হিসাবে মনে করা হচ্ছে। পারফরমেন্স,ডাটা ট্রান্সফার থেকে শুরু করে এটি সব দিক থেকেই আধুনিকতম হবে বলে সবার বিশ্বাস। DDR5 RAM কমপক্ষে ৬৪০০মেগাহার্টজ পৌঁছাতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এবার আসুন আলোচনা করে নি কোন RAM কেনা আপনার পক্ষে ঠিক হবে:

আপনি ঠিক কত RAM ব্যাবহার করবেন তা নির্ভর করে আপনি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এ ঠিক কি কাজ করছেন তার উপর।


আপনি যদি সাধারণ টুকটাক ইন্টারনেট ব্রাউসিং,অফিস এর কাজ করেন তবে আপনার জন্য ৮ জিবি DDR4 SDRAM ঠিক হবে। এটি অনেক বেশি মনে হতে পারে কিন্তু বর্তমানে যে গতিতে সফটওয়্যার আর ইন্টারনেট এগোচ্ছে তাতে আপনার কম্পিউটার এর RAM পর্যাপ্ত না থাকলে আপনার কম্পিউটার অনেক স্লো হবে আর ধীর গতিতে কাজ করবে।

আবার আপনি গেমিং মাল্টিটাস্কিং ,ওয়েবডেভেলোপমেন্ট ,ভিডিও স্ট্রিমিং আমাজন প্রাইম,নেটফ্লিক্স এর মতো সার্ভিস ব্যাবহার করেন তবে আপনার পক্ষে কমকরে হলেও ১৬জিবি DDR4 SDRAM প্রয়োজন হবে।

বর্তমানকালে যদি আমার যে কোন একটি আধুনিক ব্রাউজার খুলি থেকে কিংবা একসাথে ১০ থেকে ২০ টি ট্যাব একসাথে খুলি করি সেটি একসাথে প্রায় ২ জিবি RAM এর জায়গা নিয়ে নেয় সেক্ষেত্রে আমাদের কম্পিউটারে যদি কমকরে ৮ জিবি RAM ইনস্টল করা না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যেতে পারে।

তাই এই সব ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো কমকরে হলেও ৮ জিবি RAM ইনস্টল করা দরকার আর ক্লক স্পিড বেশি দিকে থাকে মূলত ২১৩৩ থেকে ৩০০০ মেগাহার্জ এর মধ্যে।

এবার আসুন জেনে নি আপনি কোন RAM আপনি কিনবেন?

আপনি যদি নতুন RAM কিনতে যান বা পুরানো RAM আপগ্রেড করতে যান তবে কিন্তু আপনি হাজারো অপশন পাবেন।তবে এর মধ্যে থেকে ভালোটি বেছে নেয়া কিন্তু আসল ব্যাপার।আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নিচে কিছু ভালো ব্র্যান্ড এর RAM এর কথা বললাম:

  • Adata Spectrix D80 – গেমিং এর জন্য উপযুক্ত RAM
  • G.Skill TridentZ Royal – ভালো RGB RAM
  • G.Skill Mac RAM – Mac পিসি এর জন্য RAM
  • Crucial Ballistix Sport – Laptopএর জন্য আদর্শ RAM
  • HyperX Fury RGB 3733MHz – হাই ফ্রিকোয়েন্সি RAM
  • G.Skill Trident Z RGB DC – ডাবল ক্যাপাসিটি memory

আপনার কম্পিউটার কত RAM সাপোর্ট করে জানবেন কি ভাবে?

অনেক সময় আমরা দুমদাম RAM কিনে ফেলি কিন্তু আপনার অপারেটিং সিস্টেম ঠিক কত RAM সাপোর্ট করে তা না জেনে কিনলে পরে কিন্তু পস্তাতে হতে পারে। আপনার কম্পিউটার কত RAM সাপোর্ট করে এটি জানার জন্য সহজ কিছু স্টেপ আছে।

স্টেপ ১. একসাথে উইন্ডোজ কী +R টিপুন। তারপরে সার্চ বক্সে সিএমডি(cmd) টাইপ করুন এবং এন্টার টিপুন।

স্টেপ ২.কমান্ড প্রম্পট উইন্ডোতে, টাইপ করুন wmic memphysical get maxcapacity এবং এন্টার টিপুন।

কম্পিউটার কত RAM সাপোর্ট করে
কম্পিউটার কত RAM সাপোর্ট করে

এবার আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ঠিক কত RAM সাপোর্ট করে নিন আর সেই অনুযায়ী RAM কিনুন।খানে উল্লেখযোগ্য, প্রদর্শিত যে RAM এর হিসাবটি আপনাকে এটি দেখাবে সেটি কিলোবাইট এর হিসাব।

আপনি এটিকে গিগাবাইট এর পরিবর্তন করে দেখে নিন। উদহারণ রূপে আমার কম্পিউটার এর সর্বোচ্চ রাম সাপোর্ট করে ৬৭ জিবি। নিচের ছবি থেকে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।আপনার ক্ষেত্রে এটি আলাদা হতে পারে।

ফোনের ram কি ?

কম্পিউটার এর মতোই ফোনের ram ও হলো একরকম দ্রুত গতির মেমরি যার ফলে যখন আমরা সব রকম এপ্লিকেশন খুলি তখন সেইগুলি দ্রুত গতিতে কাজ করে।

উপযুক্ত ram ছাড়া এই সব এপ্লিকেশন গুলো একসাথে ঠিক মতো কাজ করবে না। বর্তমানে ফোন এর ram অনেক উন্নত হয়। যখন আমরা ফোন ও করি তখন ফোন এর অপারেটিং সিস্টেম আর এপ্লিকেশন গুলি স্লো সেকেন্ডারি মেমরি থেকে সব তথ্য ram এ লোড করে আর আমাদের দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে।

ram কি স্থায়ী মেমোরি?

না ram হলো একটি অস্থায়ী মেমরি যা শুধু ওই সময়ে চলা প্রসেস আর প্রোগ্রাম গুলি ধরে রাখে। পাওয়ার অফ হলে ওই ram এর সব মেমরি মুছে যায়।

শেষ কথা : আশা করছি RAM কি? RAM এর কাজ কি এই সম্পর্কে আপনাদের পোস্ট ভালো লাগলো।কম্পিউটার RAM সম্পর্কে আরো কিছু প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বাক্স এ জানতে ভুলবেন না আর পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে দেবেন প্লিজ।

সৌমিক ঘোষ

About সৌমিক ঘোষ

সৌমিক ঘোষ একজন ইন্টারনেট মার্কেটিং প্রফেশনাল, ব্লগার। তিনি ইন্টারনেট মার্কেটিং এ প্রায় ১২ বছর ধরে কাজ করছেন ।ব্লগিং ছাড়াও অবসর সময় এ গান শোনা তার একটি নেশা।

View all posts by সৌমিক ঘোষ →

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।