Last Updated on: 22nd সেপ্টেম্বর 2024, 06:40 পূর্বাহ্ন
বন্ধুরা, চলুন আজকে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি (Virtual Reality) সম্পর্কে আলোচনা করি। এই টেকনোলজি
একটি 3-D পরিবেশ তৈরি করতে পারে, যার মাধ্যমে গেমিং ইন্ডাস্ট্রি, বিনোদন জগত ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্রে
এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
সূচিপত্র
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality) কি?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR হল এমন একটি টেকনোলজি যা কম্পিউটার মডেলিং এবং সিমুলেশনের ব্যবহারের
মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে একটি ত্রিমাত্রিক বা 3-D পরিবেশের সাথে পরিচিত করায়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি?
কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা ভিজুয়্যাল পরিবেশে ইউজার প্রবেশ করেন এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে, তার সামনে ঘটা ঘটনা বা দৃশ্যপট গুলোকে জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করা হয়। আর এটাই হল সেই আধুনিক প্রযুক্তি, যাকে আমরা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বলে থাকি।
কোন তত্ত্বের উপর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রতিষ্ঠিত?
VR অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহারকারীকে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট একটি পরিবেশে সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত করে।
ইন্টারেক্টিভ ডিভাইসগুলি (তথ্য আদান প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয়) ব্যবহারের মাধ্যমে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল
পরিবেশ তৈরি করা হয় যা একেবারে বাস্তবের মত অনুভূতি প্রদান করে ইউজারকে।
এই সমস্ত VR ডিভাইস গুলি মূলত মস্তিস্ক আর চক্ষু কে বোকা বানিয়ে একটি কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে যাতে মনে হয় আপনি আর আপনার ঘরে নেই বরং চলে গেছেন অন্য জগতে। গগলস, হেডসেট, গ্লাভস বাবডি স্যুট ইত্যাদি পরিধান করাও এই টেকনোলজির অংশবিশেষ। এগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে
সর্বোচ্চ বিনোদন প্রদানকারী পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কোন ধরণের উদ্দীপনা তৈরী করা যায়?
একটি সাধারণ VR ফরম্যাটে, একটি স্টিরিওস্কোপিক স্ক্রীনে, হেলমেট পরিহিত ব্যবহারকারী কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট
পরিবেশের অ্যানিমেটেড ছবিগুলি দেখেন ও সেখানে শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকা যাকে বলা হয় টেলিপ্রেজেন্স (Telepresence) – ব্যবহারকারীর উপলব্ধিতে এই ইলিউশন বা বিভ্রম সৃষ্টি করা হয় মোশন সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে।
ডিভাইসগুলি ব্যবহারকারীর গতিবিধিকে সিস্টেমের নজরে রাখে এবং সেই অনুযায়ী স্ক্রিনে ভিউ অ্যাডজাস্ট করে, এবং সেটাও সাধারণত রিয়েল টাইমে অর্থাৎ খুব কম সময়ের মধ্যেই বা তাৎক্ষণিকভাবে ভিউগুলোকে ইউজারের মুভমেন্টের সাথে অ্যাডজাস্ট করানো হয়।
এইভাবে, একজন ব্যবহারকারী একটি কম্পিউটার সিমুলেটেড পরিবেশে ভ্রমণ করতে পারেন, এবং নিজের
চোখের সামনে নানারকম পটভূমির পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন যা পুরোপুরি তার নিজের চিন্তাভাবনা এবং
তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের সাথে সম্পর্কিত।
ফোর্স-ফিডব্যাক ডিভাইসের সাথে কানেক্টেড ডেটা গ্লাভস হাতে পরলে ইউজার স্পর্শের অনুভূতিও পেতে পারেন।
ব্যবহারকারী, এমনকি, ভার্চুয়াল পরিবেশে যে বস্তুগুলি দেখেন তা নিজের পছন্দমত বাছাই করতেও পারেন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR বাস্তবেই একটি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করে দিতে সক্ষম যা আপনার ইন্দ্রিয়গুলিকে
ইলিউশনের মাধ্যমে বিশেষভাবে প্রভাবিত করতে পারে। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের একটি উন্নততম দিক বলা যেতে পারে
এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR টেকনোলজিকে।ভার্চুয়াল রিয়ালিটি আসলে হলো একটি অনন্য কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা যা আপনার অনুভূতিকে একটি ত্রি-মাত্রিক জগতে নিয়ে যায়। অকুলাস, HTC Vive, Oculus Rift হলো এই ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এর জগতে বেশ নামকরা কোম্পানি।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কত সালে আবিষ্কার হয়?
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রথম আবিষ্কার হয় ১৯৬৮ সালে।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এর গোড়ার কথা বলে গেলে আমাদের বেশ কিছু সময় পিছিয়ে যেতে হবে। ১৯৬৮ সালে Ivan Sutherland আর তার টীম প্রথম বলার মতো একটি ভার্চুয়াল সিস্টেম তৈরী করেন (হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে সিস্টেম) এই হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে সিস্টেম গুলি খুবই ভারী হতো তাই উপরের সিলিং থেকে এগুলি ঝুলিয়ে রাখা হতো আর দর্শক এতে মাথা গলিয়ে ব্যাবহার করতেন। এর পর ১৯৭৭-১৯৮৪ এই সময়ে David Em নাসার প্রোপালশন ল্যাবরোটরি এর একটি ভার্চুয়াল ডিসাইন তৈরী করেন।
১৯৮০ এর দশকেই ভার্চুয়াল রিয়ালিটি আরো জনপ্রিয়তা পায় যখন Jaron Lanier নানারকম VR ডিভাইস তৈরী করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো DataGlove, EyePhone, ও AudioSphere.
এর পর ১৯৯০-২০০০ এর দশকে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এর জগতের আরো বিস্তার শুরু হয় বিশেষ করে গেমিং এর দুনিয়াতে।১৯৯১ সালে Sega VR হেডসেট তৈরী করে তাদের মেগা ড্রাইভ হোম কনসোল এর জন্য যা এলসিডি স্ক্রিন,ইন্টারনাল সেন্সর এর সাহায্যে ব্যাবহারকারির মাথার নাড়াচাড়া ধরতে পারতো
এর পর Virtuality এই বছরেই এটি মাল্টিপ্লায়ার VR সিস্টেম তৈরী করলো যার দাম ছিল পার ৭৩০০০ মার্কিন ডলার সেই সময়ে।
এর পরে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি আরো উন্নতি করে আর যার মধ্যে উলেখযোগ্য হলো ২০১৪ সালে সোনি এর প্রজেক্ট মরফাস যা ছিল একটি VR হেডসেট সোনি প্লেস্টেশন ৪ গেমিং কনসোল এর জন্য তৈরী। এর পর ২০২১ সালে , EASA সর্বপ্রথম ফ্লাইট স্টিমুলেশন ট্রেনিং শুরু করে VR ডিভাইস এর দ্বারা। বিমান কাহালানোর জন্য যে নানা রকম ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয় একজন পাইলট কে তার বিষয়ে নানান খুঁটিনাটি ট্রেনিং করা হয় এই VR ডিভাইস এ।
এবার আসুন জেনে নিই, এআর এবং ভিআর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পার্থক্য:
গেমিং, মার্কেটিং, ই-কমার্স, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড
রিয়েলিটি (এআর) ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা যাবে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উপভোক্তার কাছে
পৌঁছানোর অত্যাধুনিক সুযোগও পাওয়া যাবে।
উভয় প্রযুক্তিই তাদের সমৃদ্ধ উপস্থিতির জন্য পরিচিত যা 3-ডি ভিজ্যুয়াল তৈরির মাধ্যমে একটি ভার্চুয়াল জগত
তৈরি করে। তবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য
পার্থক্য রয়েছে।
এআর (Augmented reality or AR) কি?
একটি স্মার্টফোন হাতে থাকলে প্রায় যেকোনো ব্যক্তিই এই অগমেন্টেড রিয়েলিটির অ্যাক্সেস পেতে পারেন, যে
কারণে ব্র্যান্ডিং এবং গেমিং টুল হিসাবে VR এর চেয়ে AR আরও বেশি এফিসিয়েন্ট।
AR একটি ফোনের ক্যামেরা বা ভিডিও ভিউয়ারের সাহায্যে ভার্চুয়াল ছবি এবং ক্যারেক্টারগুলোকে প্রজেক্ট করার
মাধ্যমে জাগতিক, ভৌত জগতকে একটি রঙিন বাস্তব জগতে রূপান্তরিত করে৷
ভিআর (VR) কি?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার-জেনারেটেড সিমুলেশন তৈরি করে। এই সিমুলেশনগুলি কম্পিউটার,
সেন্সর, হেডসেট এবং গ্লাভসের মতো বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করে তৈরি করা হয় যা ইউজারের জন্য কল্পনাযোগ্য
যে কোনও দৃশ্য বা স্থান তৈরি করতে পারে।
(VR) /(AR )প্রযুক্তির মূল পার্থক্যগুলো হল –
✓AR একটি রিয়েল ওয়ার্ল্ড সেটিং ব্যবহার করে যেখানে VR সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল।
✓AR ব্যবহারকারীরা বাস্তব জগতে তাদের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে;
VR ব্যবহারকারীরা সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
✓VR-এর জন্য একটি হেডসেট ডিভাইস প্রয়োজন, কিন্তু AR একটি স্মার্টফোন দিয়ে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।
✓AR ভার্চুয়াল এবং বাস্তব উভয় জগত নিয়েই কাজ করে কিন্তু VR শুধুমাত্র একটি কাল্পনিক বাস্তব তৈরি করতে
পারে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বাস্তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়? ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধারণা এবং বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ ও প্রভাব
আপনারা কি জানতে চান, এই মুহূর্তে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়? আসুন জেনে
নিই,
1) গেমিং (Gaming):
VR-এর সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী অ্যাপ্লিকেশন ছিল গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে এবং এখনও রয়েছে। ইমার্শন গেম খেলতে VR
টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়।
2) কর্মক্ষেত্র (Workplace Collaboration):
VR টেকনোলজি কর্মক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে। অনেক সময় কর্মচারীরা উপস্থিত না থেকেও, উপস্থিতির
অনুভূতির সাথে সাথে দূর থেকে অ্যাসাইনমেন্টে সহযোগিতা করতে পারে। এছাড়া, কোনো ডেমো টাস্ক থাকলে
সেগুলো ভিজ্যুয়াল পরিবেশের মাধ্যমে বোঝার এবং সম্পূর্ণ করার জন্য VR বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷
3) পেন ম্যানেজমেন্ট (Pain Management):
VR ভিজ্যুয়ালগুলি রোগীর মস্তিষ্ককে ব্যথার অনুভূতি থেকে বিভ্রান্ত করতে এবং যন্ত্রণা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য
করে৷ রোগীদের পেন থেকে রিলিফ দেওয়ার জন্য অনেক সময় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
4) ট্রেনিং এবং লার্নিং (Training and Learning):
নানা রকম প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে, শেখার সময় VR ডেমোর জন্য ভাল একটি উপায় হিসেবে কাজ করে এবং
শল্যচিকিৎসা পদ্ধতির প্রাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের সময় ডেমোর জন্য এই প্রযুক্তিকে অনেক সময় কাজে লাগানো
হয়। এই উপায়ে প্রশিক্ষণ, রোগীদের বা প্রশিক্ষণপ্রার্থীদের জীবনকে বিপদে ফেলে না ।
5) PTSD চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Treatment of PTSD):
পোস্ট এক্সপিরিয়েন্স ট্রমা যুদ্ধের সৈন্যদের মধ্যে একটি সাধারণ ব্যাধি এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেক
সময় ধরা পড়ে, যারা জীবনে কোনো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। তাদের অভিজ্ঞতা পুনরুজ্জীবিত করে,
চিকিৎসক রোগীদের অবস্থা এবং সমস্যা সমাধানের উপায় বুঝতে VR প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকেন।
6) অটিজম ম্যানেজমেন্ট (Autism Management):
অটিজম আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপকে অনেক বেশি সাবলীল করার ক্ষেত্রে VR একটি নির্ভরশীল
প্রযুক্তি। অটিজম এমন একটি রোগ যা মানুষের বোধ-বুদ্ধি, চিন্তাশক্তি, কথোপকথন শক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্থবিরতা
বয়ে আনে। VR ব্যবহার করা হয় রোগীদের এবং তাদের পিতামাতাকে বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতির সাথে পরিচয়
করিয়ে দিতে এবং প্রত্যেক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় সে সম্পর্কে তাদের প্রশিক্ষণ
দিতে।
7) সামাজিক ব্যাধিগুলির চিকিৎসা (Treatment of Social disorders):
VR টেকনোলজির মাধ্যমে কম্পিউটার সৃষ্ট পরিবেশে রোগীকে প্রবেশ করিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার শ্বাস-
প্রশ্বাসের ধরণগুলি পর্যালোচনা করে, উদ্বেগজনিত রোগের লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করা হয়। চিকিৎসকরা সেই
ফলাফলগুলির উপর ভিত্তি করে উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসা করতে পারেন বা ওষুধ দিতে পারেন৷
8) পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে (Treatment of Paraplegics):
প্যারাপ্লেজিক্স বা যাদের শরীরের কোনো অংশ অবশ হয়ে গেছে, এমন রোগীদের জন্য থেরাপি হিসেবে VR
টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়। প্যারাপ্লেজিকদের বন্দিদশার বাইরে বিভিন্ন পরিবেশের অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য এই
প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যাতে ভ্রমণ না করেই তারা বিভিন্ন পরিবেশে ভ্রমণের রোমাঞ্চ অনুভব করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, প্যারাপ্লেজিকদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য এটি প্রয়োগ করা
হয়ে থাকে।
9)পর্যটন শিল্প (Tour and Travels):
ট্যুর এবং ট্রাভেলস শিল্পে ব্যাপকভাবে VR প্রয়োগ করা হয়। যেমন, ভ্রমণকারীদের প্রকৃত পরিদর্শন করার আগে,
ভ্রমণ গন্তব্যের ভার্চুয়াল প্রদর্শন করানো হয় অনেক সময় যা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থানগুলি বেছে নিতে সাহায্য
করে।
10) ব্রেনস্টর্মিং, এডভার্টাইজিং (Brainstorming, Advertising):
ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সৃজনশীল আইডিয়া চালু করার আগে বিজনেস পার্টনার এবং সহযোগীদের সাথে আলোচনা
করতে, নতুন ডিজাইন এবং মডেলের ডিভাইস পরীক্ষা করতে VR ব্যবহার করা যেতে পারে। গাড়ির মডেল এবং
ডিজাইন পরীক্ষা করার জন্য VR খুবই উপযোগী। বর্তমানে সমস্ত গাড়ি নির্মাতাদের এই সিস্টেমগুলি রয়েছে।
এছাড়া, সামগ্রিক ভাবে মার্কেটিংয়ের প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে VR ইমারসিভ বিজ্ঞাপনগুলি খুবই কার্যকর।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কিছু প্রশ্নোত্তর
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অন্য নাম কি?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অন্য নাম হলো আর্টিফিশিয়াল রিয়েলিটি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক কে?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জনক হলো Jaron Lanier.
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে কত মাত্রিক জগৎ সৃষ্টি হয়?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রি মাত্রিক জগৎ তৈরী হয়।